নিউইয়র্ক ০৮:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ভাষণে নির্বাচন নিয়ে খোঁচা, মোদিবিরোধী স্লোগানে উত্তাল রাজ্যসভা

হককথা ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৫:৪৮:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪
  • / ২৪ বার পঠিত

ভারতের লোকসভার পুনরাবৃত্তি হলো রাজ্যসভায়। সংসদের উচ্চকক্ষে জবাবী ভাষণ দিতে উঠেও বিরোধীদের স্লোগানের মুখে পড়তে হলো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে।

বুধবার (৪ জুলাই) রাজ্যসভায় ভাষণ দিতে উঠলে এমন পরিস্থিতিতে পড়েন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

ভাষণের শুরুতেই বিরোধী ইনডিয়া জোটকে খোঁচা দিয়ে নরেন্দ্র মোদি বলেন, স্বাধীনতার পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার আবারও একটি সরকারকে (এনডিএ জোট) তৃতীয়বারের জন্য বেছে নিয়ে দেশের জনগণ। বিপুল সমর্থন-আশীর্বাদ করে ফের এনডিএ জোট সরকারকে ক্ষমতায় এনেছে তারা। কিছু মানুষ জেনেবুঝেও বাস্তব দেখতে পাচ্ছে না। কেউ কেউ আবার বুঝতে পারেনি। যারা বুঝতে পেরেছে তারা চেষ্টা করেছে জনগণের এই গুরুত্বপূর্ণ নির্ণয়টিকে কীভাবে ব্ল্যাক আউট করা যায়। গত দু’দিন ধরে দেখছি, শেষ পর্যন্ত পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছে অনেকেই।

নরেন্দ্র মোদির ভাষণের মাঝেই শুরু হয় বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যদের (এমপি) স্লোগান। রাজ্যসভার বিরোধী নেতাকে কথা বলার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানাতে শুরু করেন বিরোধী এমপিরা। বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদের উচ্চকক্ষ। এরপরই ওয়াকআউট করেন তারা। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ চলাকালে বিরোধীদের ওয়াকআউট নিন্দাজনক বলে উল্লেখ করেন চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়।

নরেন্দ্র মোদির মুখে এ দিন ফের এনডিএ জোট সরকারের গুনগান শোনা যায়। তিনি বলেন, নির্বাচনে দেশের মানুষের বিবেক বুদ্ধি নিয়ে গর্ব হচ্ছে। তারা প্রোপাগান্ডার রাজনীতিকে পরাস্ত করেছে। পারফরম্যান্সকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। সংবিধানের ৭৫তম বর্ষে প্রবেশ করছি। সংসদেরও ৭৫তম বর্ষ এটি। সংবিধানের প্রতিটা শব্দ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের নীতি নির্ধারণে সংবিধানই মার্গ দর্শন করায়। যখন ২৬ নভেম্বর সংবিধান দিবস পালনের প্রস্তাব তোলা হয়, তখন যারা আজ সংবিধান নিয়ে প্রদর্শন করে তারা বিরোধিতা করেছিল।

তুমুল উত্তেজনার মাঝে বারবার থামতে হয় নরেন্দ্র মোদিকে। চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় বারবার বিরোধীদের থামতে অনুরোধ করেন। তারপরই ওয়াকআউট করতে দেখা যায় বিরোধীদলীয় এমপিদের।

নরেন্দ্র মোদি বলেন, এতগুলো মিথ্যা রটানোর পর সত্য শোনার ক্ষমতা নেই তাদের। দেশ দেখছে। জনতার নির্ণয় এবং পরাজয়ের পর অলি-গলিতে স্লোগান দেওয়া আর চিৎকার করা ছাড়া কোনও কাজ নেই তাদের। তাই আজ ময়দান ছেড়ে পালিয়ে গেলেন।

রাজ্যসভা থেকে ওয়াকআউট করা নিয়ে তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেন চেয়ারম্যান জগদীপ খনখড়। তিনি বলেন, সংসদের বিরোধী এমপিরা আমায় পিঠ দেখিয়ে যাননি, সংবিধানের অপমান করেছেন। সংসদের উচ্চকক্ষকে অসম্মান করেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ চলাকালীন কেন ওয়াকআউট? জবাবে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, রাষ্ট্রপতির ভাষণের জবাবে দেওয়া বক্তব্যে বেশ কিছু ভুল মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। সর্বদা মিথ্যা বলা তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। আমরা জিজ্ঞাসা করেছি আরএসএস (রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ) তো সংবিধান তৈরির সময় বিরোধিতা করেছিল। উনি বলছেন আমরা না কি বাবাসাহেব আম্বেদকরকে অসম্মান করেছি। আমি শুধু বলতে চেয়েছিলাম, বাবাসাহেব কী বলেছিলেন এবং আরএসএস কী ভূমিকা ছিল। কিন্তু, আমায় বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। সূত্র: ঢাকা পোষ্ট।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ভাষণে নির্বাচন নিয়ে খোঁচা, মোদিবিরোধী স্লোগানে উত্তাল রাজ্যসভা

প্রকাশের সময় : ০৫:৪৮:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪

ভারতের লোকসভার পুনরাবৃত্তি হলো রাজ্যসভায়। সংসদের উচ্চকক্ষে জবাবী ভাষণ দিতে উঠেও বিরোধীদের স্লোগানের মুখে পড়তে হলো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে।

বুধবার (৪ জুলাই) রাজ্যসভায় ভাষণ দিতে উঠলে এমন পরিস্থিতিতে পড়েন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

ভাষণের শুরুতেই বিরোধী ইনডিয়া জোটকে খোঁচা দিয়ে নরেন্দ্র মোদি বলেন, স্বাধীনতার পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার আবারও একটি সরকারকে (এনডিএ জোট) তৃতীয়বারের জন্য বেছে নিয়ে দেশের জনগণ। বিপুল সমর্থন-আশীর্বাদ করে ফের এনডিএ জোট সরকারকে ক্ষমতায় এনেছে তারা। কিছু মানুষ জেনেবুঝেও বাস্তব দেখতে পাচ্ছে না। কেউ কেউ আবার বুঝতে পারেনি। যারা বুঝতে পেরেছে তারা চেষ্টা করেছে জনগণের এই গুরুত্বপূর্ণ নির্ণয়টিকে কীভাবে ব্ল্যাক আউট করা যায়। গত দু’দিন ধরে দেখছি, শেষ পর্যন্ত পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছে অনেকেই।

নরেন্দ্র মোদির ভাষণের মাঝেই শুরু হয় বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যদের (এমপি) স্লোগান। রাজ্যসভার বিরোধী নেতাকে কথা বলার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানাতে শুরু করেন বিরোধী এমপিরা। বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদের উচ্চকক্ষ। এরপরই ওয়াকআউট করেন তারা। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ চলাকালে বিরোধীদের ওয়াকআউট নিন্দাজনক বলে উল্লেখ করেন চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়।

নরেন্দ্র মোদির মুখে এ দিন ফের এনডিএ জোট সরকারের গুনগান শোনা যায়। তিনি বলেন, নির্বাচনে দেশের মানুষের বিবেক বুদ্ধি নিয়ে গর্ব হচ্ছে। তারা প্রোপাগান্ডার রাজনীতিকে পরাস্ত করেছে। পারফরম্যান্সকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। সংবিধানের ৭৫তম বর্ষে প্রবেশ করছি। সংসদেরও ৭৫তম বর্ষ এটি। সংবিধানের প্রতিটা শব্দ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের নীতি নির্ধারণে সংবিধানই মার্গ দর্শন করায়। যখন ২৬ নভেম্বর সংবিধান দিবস পালনের প্রস্তাব তোলা হয়, তখন যারা আজ সংবিধান নিয়ে প্রদর্শন করে তারা বিরোধিতা করেছিল।

তুমুল উত্তেজনার মাঝে বারবার থামতে হয় নরেন্দ্র মোদিকে। চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় বারবার বিরোধীদের থামতে অনুরোধ করেন। তারপরই ওয়াকআউট করতে দেখা যায় বিরোধীদলীয় এমপিদের।

নরেন্দ্র মোদি বলেন, এতগুলো মিথ্যা রটানোর পর সত্য শোনার ক্ষমতা নেই তাদের। দেশ দেখছে। জনতার নির্ণয় এবং পরাজয়ের পর অলি-গলিতে স্লোগান দেওয়া আর চিৎকার করা ছাড়া কোনও কাজ নেই তাদের। তাই আজ ময়দান ছেড়ে পালিয়ে গেলেন।

রাজ্যসভা থেকে ওয়াকআউট করা নিয়ে তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেন চেয়ারম্যান জগদীপ খনখড়। তিনি বলেন, সংসদের বিরোধী এমপিরা আমায় পিঠ দেখিয়ে যাননি, সংবিধানের অপমান করেছেন। সংসদের উচ্চকক্ষকে অসম্মান করেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ চলাকালীন কেন ওয়াকআউট? জবাবে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, রাষ্ট্রপতির ভাষণের জবাবে দেওয়া বক্তব্যে বেশ কিছু ভুল মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। সর্বদা মিথ্যা বলা তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। আমরা জিজ্ঞাসা করেছি আরএসএস (রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ) তো সংবিধান তৈরির সময় বিরোধিতা করেছিল। উনি বলছেন আমরা না কি বাবাসাহেব আম্বেদকরকে অসম্মান করেছি। আমি শুধু বলতে চেয়েছিলাম, বাবাসাহেব কী বলেছিলেন এবং আরএসএস কী ভূমিকা ছিল। কিন্তু, আমায় বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। সূত্র: ঢাকা পোষ্ট।