নতুন বিশ্বব্যবস্থার ইঙ্গিত
- প্রকাশের সময় : ০২:০০:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ৪৭ বার পঠিত
বিশ্বের ইতিহাসে বিগত বছরগুলোর তুলনায় ২০২৪ সালটা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই বছর সর্বাধিক দেশের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই ভোটাভুটি ভূরাজনীতির গতি-প্রকৃতিতে আনতে পারে বড় পরিবর্তন। বর্তমান ব্যবস্থাকে হিসাবে ধরে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, ২০২৪ সালে কট্টরপন্থী সরকার বাড়তে পারে, যা উদারপন্থার জন্য সংকট সৃষ্টি করতে পারে।
দেশে দেশে নির্বাচন :২০২৪ সালে ৪০ দেশে ৭০টি নির্বাচন হবে, যা বিশ্বব্যবস্থাকে বদলে দিতে পারে। আফ্রিকা মহাদেশের ১৫টি দেশ, আমেরিকার ৯টি, এশিয়ার ১১টি, ইউরোপের ২২টি ও ওসেনিয়া মহাদেশের চারটি দেশে ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। বাংলাদেশে ৭ জানুয়ারি দিয়ে শুরু এবং ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্র দিয়ে নির্বাচন আয়োজনের সমাপ্তি ঘটবে। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভোটও এ বছরই অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্বের ৪২ শতাংশ জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে।৪০টি দেশের দখলে বিশ্বের মোট জিডিপির ৪২ শতাংশ; অর্থাৎ ২০২৪ সালের নির্বাচন অর্থনীতিতেও বড় ভূমিকা পালন করবে।
গুরুত্বপূর্ণ যেসব নির্বাচন
চারটি নির্বাচন সবচেয়ে বেশি প্রভাব রাখবে বৈশ্বিক ব্যবস্থায়। দেশগুলো হচ্ছে—যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এসব এলাকায় ২৩০ কোটি মানুষের বসবাস এবং এসব দেশের সম্মিলিত জিডিপি (বার্ষিক দেশজ উৎপাদন) ৪২ ট্রিলিয়ন ডলার বা ৪২ লাখ কোটি ডলার। তবে তাইওয়ানের ভোটাভুটিও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়; কারণ এই নির্বাচন চীনকে প্রভাবিত করবে, যা বৈশ্বিক শৃঙ্খলাব্যবস্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
বাইডেন না ট্রাম্প
৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ ভোটার নির্বাচিত করবেন হোয়াইট হাউজের পরবর্তী উত্তরসূরিকে। এখন পর্যন্ত ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী জো বাইডেন ও রিপাবলিকান পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করা হচ্ছে; যদিও তাদের কারোরই নির্বাচন করার বিষয়টি নিশ্চিত নয়। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা ঝুলছে। শেষ পর্যন্ত তিনি নির্বাচন করতে পারবেন কি না, অর্থাৎ আদালতের নিষেধাজ্ঞায় পড়েন কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে। আবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তার প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে ট্রাম্পের ওপর। ট্রাম্প প্রার্থী না হলে তিনিও সরে দাঁড়াতে পারেন। ৫ নভেম্বরই সিদ্ধান্ত নেবেন, তারা ৮২ বছর বয়সী বাইডেন, নাকি ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্পকে ভোট দেবেন। যদিও তারা কমান্ডার ইন-চিফ হিসেবে কতটুকু দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, তা নিয়ে বিভিন্ন জরিপে আমেরকিানদের ভিন্নমত লক্ষ করা গেছে। এই নির্বাচনে সাইবার হামলা ও ভুয়া তথ্য ব্যাপক হারে ছড়ানোর আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও ছয় বছর ক্ষমতার স্বপ্ন দেখছেন পুতিন
১৯৯৯ সাল থেকে রাশিয়ার ক্ষমতায় আছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ২০৩৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাতে যেন বাধা না থাকে, তার জন্য ২০২০ সালে সংবিধান সংশোধন করেছিলেন পুতিন। রাশিয়ায় ১৫ মার্চ থেকে ১৭ মার্চ ভোটাভুটি হবে। মে মাসে নতুন প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব নেবেন। এবারের নির্বাচনে ইউক্রেনের অধিকৃত কিছু এলাকার মানুষও ভোট দেবে। রাশিয়ায় ১১ কোটি ভোটার। তবে সাধারণত ৭ কোটি থেকে ৮ কোটি ভোট দেন। ২০১৮ সালে ভোটদানের হার ছিল ৬৭.৫ শতাংশ।
পশ্চিমা বিশ্বে সমালোচনা থাকলেও, বিভিন্ন জরিপ বলছে, ইউক্রেন যুদ্ধের পর পুতিনের জনপ্রিয়তা বেড়ে ৮০ শতাংশে পৌঁছেছে। তাই নির্বাচনে তার জয় শুধুই সময়ের অপেক্ষা। এবার জিতলে তিনি ২০৩০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন। ২০০০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৫৩ শতাংশ, ২০০৪ সালে ৭১.৩ শতাংশ, ২০১২ সালে ৬৩.৬ শতাংশ ও ২০১৮ সালে ৭৬.৭ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন পুতিন। বাস্তবে পুতিনের বিরুদ্ধে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী বলতে তেমন কেউ নেই। ২০১৮ সালে পুতিনের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন স্ট্রবেরি ব্যবসায়ী ধনকুবের পাভেল গ্রুদুনিন। তিনি ১১.৮ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। পুতিনের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যালেক্সেই নাভালনি বিভিন্ন মামলায় ৩৩ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। তার আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী ইগোর গিরকিনও কারাগারে।
মোদির দুর্দান্ত শক্তির খেলা
২০২৪ সালের এপ্রিল-মে মাসে নতুন প্রধানমন্ত্রী বেছে নেবেন ভারতীয়রা। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার বিজেপি দল তৃতীয় মেয়াদেও ক্ষমতায় আসতে পারেন। ভারতের জাতীয়তাবাদী হিন্দুদের সমর্থনের ওপর ভিত্তি করেই রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে সাফল্য পেয়েছেন মোদি। আগামী নির্বাচনে মোদি নির্বাচিত না হলে ভারতের রাজনৈতিক দর্শনে বড় পরিবর্তন আসবে। গত জানুয়ারিতে চালানো জরিপের তথ্য বলছে, আগামী নির্বাচনেও বেশি আসন পাবে বিজেপি। তবে আগের চেয়ে কম আসন পাবে দলটি। ২০১৯ সালের তুলনায় আসন কমলেও ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনেও দাপট অটুট থাকবে গেরুয়া শিবিরের। বিরোধীরা ‘ইন্ডিয়া’ জোট গঠন করলেও সাম্প্রতিক পাঁচটি রাজ্যের নির্বাচনে তিনটিতেই বিজেপি জয় পেয়েছে। দেশটি ব্রিটেনকে টপকে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হয়েছে। গত আগস্ট ভারত চাঁদে মনুষ্যবিহীন যান প্রেরণ করে। ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে মানুষ প্রেরণ করারও পরিকল্পনা করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার।
পপুলিস্টদের জন্য ইইউ পরীক্ষা
২০২৪ সালের জুনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশ থেকে ৪০০ মিলিয়নেরও বেশি ভোটার ৭২০ জন ইউরোপীয় সংসদ সদস্য বাছাই করবেন। তারা মোবাইল ফোন রোমিং চার্জ থেকে শুরু করে অনলাইন ডেটার গোপনীয়তার মতো সমস্যাগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। এই নির্বাচনটি ডানপন্থী পপুলিস্ট সমর্থকদের জন্য একটি পরীক্ষা হবে। সম্প্রতি নেদারল্যান্ডসে ইসলামবিরোধী ও ইইউবিরোধী গ্রিন উইল্ডারসের দল ফ্রিডম পার্টি জয় পেয়েছে। গত বছর ইতালিতে কট্টর ডানপন্থি জর্জ মেলোনির দল জয়লাভ করে। গ্রিন উইল্ডারসের দলকে স্বাগত জানিয়ে ফ্রান্সের কট্টর ডানপন্থী ন্যাশনাল রেলি এমইপি জর্ডান বারডেলা ফেসবুকে লিখেছেন—‘২০২৪ সালের জুনেও আসুন’। নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন ইউরোপীয় কমিশন পাওয়া যাবে।
তাইওয়ান নির্বাচন
১৩ জানুয়ারি তাইওয়ানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাইওয়ানে দুই ধরনের মতাদর্শ আছে। একটি দল জাতীয়তাবাদী ও অন্যটি মূল ভূমি চীনকে গুরুত্ব দেয়। প্রার্থী বাছাই করার ক্ষেত্রে চীন ভূমিকা রাখে। চীনপন্থিরা জিতলে তাইওয়ানের সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক গড়ে উঠবে। তাইওয়ানের অর্থনীতিও চীনের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। তবে তখন যুক্তরাষ্ট্র কী ধরনের ভূমিকা নেয়, সেটাই দেখার বিষয়।
বিশ্বব্যবস্থায় কী পরিবর্তন
মুক্তবিশ্বের নেতৃত্বদানকারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের পরিচিতি আছে। তবে ২০২৪ সালের নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির উল্লেখযোগ্য প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজে বহুত্ববাদে বিশ্বাস করেন না। যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বের এক নম্বরে পৌঁছাতে তিনি তার প্রশাসনের সময় একলা পথে হেঁটেছিলেন। তিনি ‘আমেরিকা ফার্স্ট’, ‘গ্রেইট আমেরিকা মেইক এগেইন’ স্লোগানের জন্ম দিয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র গণমাধ্যম ও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ট্রাম্প শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদে বিশ্বাস করেন। তিনি বিশ্ব ও দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা সংখ্যাগরিষ্ঠ অর্ধশিক্ষিত ও অশিক্ষিত শ্বেতাঙ্গ জনগোষ্ঠীকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন তার রাজনৈতিক ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য এবং একে ভিত্তি করে যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বের এক নম্বর অবস্থানে তুলে ধরার চেষ্টা চালিয়েছেন। এর ফলে কেবল যুক্তরাষ্ট্রে নয়, বিভিন্ন দেশেই রক্ষণশীলরা ক্ষমতায় আসছে। উদারপন্থী নীতি ধাক্কা খাচ্ছে। আগামী বছরের নির্বাচন এক্ষেত্রে আরও বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী ট্রাম্প প্রস্তাবিত ‘ট্রান্স প্যাসিফিক পার্টনারশিপ (টিপিপি)’ চুক্তি বাতিল করেছিলেন। তার সরকার ‘নর্থ আটলান্টিক ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট (নাফটা)’ ও আন্তর্জাতিক জলবায়ুচুক্তি থেকে সরে আসে। প্রত্যাখ্যান করেছিল ইরানের সঙ্গে করা প্রভাবশালী ছয় জাতির পরমাণুচুক্তি। যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে ট্রাম্প বহুজাতিক বাণিজ্যচুক্তির পরিবর্তে বেছে নিয়েছিল দ্বিপক্ষীয় ভিত্তিতে দরকষাকষির আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। ট্রাম্প পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোকে অগ্রাহ্য করে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ও অর্থনৈতিক আধিপত্য বজায় রাখতে চেয়েছেন। ট্রাম্প ইউরোপের সঙ্গে বিরোধে ও চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র-নীতির সমর্থনকারীরা মনে করেন, ট্রাম্পের আমলে যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র ও মানবাধিকার ইস্যু থেকে অনেকটাই সরে এসেছিল। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতা খর্ব হয়।
বিপরীতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও সাম্রাজ্যবাদী নীতিনৈতিকতার অনুসারী। তিনিও যুক্তরাষ্ট্রের পরাশক্তিগত অবস্থান ধরে রাখতে সচেষ্ট। তবে তিনি সেই চেষ্টা চালান ভিন্ন প্রক্রিয়ায়। প্রেসিডেন্ট বাইডেনও সামরিক ও বাণিজ্যিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে চীনের ক্রমবর্ধমান অগ্রগতিতে শঙ্কিত হয়ে পড়েন। বিশ্বমঞ্চে যুক্তরাষ্ট্রের এক নম্বর অবস্থান ধরে রাখা নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে। তাই বাম ধারার দুই অগ্রসরমান পরাশক্তি চীন ও রাশিয়াকে থামাতে চান বাইডেন।
রাশিয়ার সঙ্গে বাইডেনের সম্পর্ক কৌশলগতভাবে ভিন্ন। তবে ট্রাম্প তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের বিরুদ্ধে অবরোধ সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে এতটা যুদ্ধংদেহী ছিলেন না। কিন্তু বাইডেন চীন ও রাশিয়ার পথ রোধ করার ব্যাপারে আপসহীন। বাইডেন এরই মধ্যে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের তথাকথিত প্রতিরক্ষার জন্য কোয়াড ও আকাশ-চুক্তি সম্পাদন করেছেন। শুধু তা-ই নয়, তাইওয়ান প্রশ্নে বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি ছায়াযুদ্ধে পরিণত হয়েছে।
২০২৪ সালে ট্রাম্প নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্র আবারও ইউরোপের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়বে বলে ধারণা করা হয়। কারণ রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে তার সম্পর্কটা যে ঘনিষ্ঠ, তা ২০১৬ সাল থেকেই বোঝা যায়। এক্ষেত্রে ইউরোপও যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে পিছু হটতে পারে। তারা নিজেরাই সামরিক ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পথে হাঁটতে পারে। বাইডেন জিতলে ইউরোপ হয়তো কিছুটা স্বস্তি পেতে পারে। কিন্তু পশ্চিমারা ইউক্রেন যুদ্ধে কতটুকু সমর্থন অব্যাহত রাখতে পারবে, তা নিয়ে শঙ্কা কাটছে না। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম টাইম ম্যাগাজিন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২৪ সালে বিভিন্ন দেশের নির্বাচনের মাধ্যমে চীন ও রাশিয়া লাভবান হতে পারে। সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক
সায়মা/হককথা