নিউইয়র্ক ০৭:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ব্রিটেনের পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়ছেন রেকর্ড ৩৪ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী

হককথা ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৬:১১:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪
  • / ২১ বার পঠিত

ব্রিটেনের জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে যাচ্ছেন এক নারী। ছবি: সংগৃহীত

ব্রিটেনের জাতীয় নির্বাচনে লড়ছেন রেকর্ড ৩৪ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক প্রার্থী লড়ছেন স্বতন্ত্র হয়ে। দলীয় জায়গা বিবেচনায় সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী আছেন লেবার পার্টিতে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির দেওয়া তথ্য বলছে, এই ৩৪ জনের অধিকাংশই এবার প্রথমবারের মতো নির্বাচনে লড়ছেন।

বর্তমান বিরোধী দল লেবার পার্টির ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখা গেছে, দলটি থেকে মোট আটজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী লড়ছেন নির্বাচনে। এর মধ্যে ছয়জনই নারী। ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ তথা টোরি পার্টি থেকেও লড়ছেন দুই বাংলাদেশি। অন্যান্য দলের মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে লড়ছেন ছয়জন, নাইজেল ফারাজের রিফর্ম ইউকে থেকে লড়ছেন একজন, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (লিব ডেম) থেকে একজন, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি থেকে একজন, গ্রিন পার্টি থেকে তিনজন এবং সোশ্যালিস্ট পার্টি থেকে লড়ছেন একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ।

এই ২৩ জন ছাড়াও আরও ১১ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক এবার জাতীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। মূলত গাজা ইস্যুতে লেবার পার্টির নীরবতার প্রতিবাদেই অনেকে দলটি ছেড়ে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে গেছেন। সাধারণভাবে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতরা নির্বাচনে লেবার পার্টির প্রতিই বেশি পক্ষপাত প্রদর্শন করেন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীরা গাজা ইস্যুকে কেন্দ্র করে লেবার পার্টির বাংলাদেশি ভোটব্যাংক নিজেদের দিকে টেনে নিতে চান।

ব্রিটিশ পার্লামেন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়া ৩৪ প্রার্থীর মধ্যে চারজন বর্তমান পার্লামেন্টেরই সদস্য। তাঁরা হলেন—রুশনারা আলী, রুপা হক, টিউলিপ সিদ্দীক এবং আপসানা বেগম। ২০১০ সালের ব্রিটিশ পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্যক্তি হিসেবে জয়লাভ করে ইতিহাস গড়েন রুশনারা আলী।

এই চারজনই লেবার পার্টির টিকিটে এবার নির্বাচনে লড়ছেন। দলটি থেকে টিকিট পাওয়া বাকি চার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক হলেন রুফিয়া আশরাফ, নুরুল হক আলী, নাজমুল হোসাইন ও রুমি চৌধুরী। কনজারভেটিভ তথা টোরি পার্টির টিকিট পাওয়া দুই প্রার্থী হলেন আতিক রহমান ও সৈয়দ সাইদুজ্জামান।

ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে টিকিট পাওয়া ছয় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হলেন গোলাম টিপু, প্রিন্স সাদিক চৌধুরী, মোহাম্মদ শাহেদ হুসাইন, ফয়সাল কবির, মোহাম্মাদ বিলাল ও হালিমা খান। রিফর্ম ইউকে পার্টি থেকে লড়ছেন রাজ ফরহাদ। লিব ডেম পার্টির প্রার্থী হয়েছেন রাবিনা খান। উল্লেখ্য, রাবিনা ও রুশনারা আলী একই আসন অর্থাৎ বেনথাল গ্রিন অ্যান্ড স্টেপনিতে লড়ছেন।

এর বাইরে স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির একজন প্রার্থী হলেন নাজ আনিস মিঞাহ। গ্রিন পার্টির মনোনয়ন পাওয়া তিন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হলেন সাঈদ সিদ্দিকী, শাসুজ্জামান সাঈদ এবং শারমিন রহমান। সোশ্যালিস্ট পার্টি থেকে লড়ছেন মমতাজ খানম।

এই নির্বাচনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে তিনজনই লড়ছেন গ্রিন বেনথাল অ্যান্ড স্টেপনি আসন থেকে। তাঁরা হলেন আজমল মাসরুর, মো. সুমন আহমেদ এবং স্যাম উদ্দিন। বাকি আটজন হলেন ওইয়াজ ইসলাম, এহতেশাম হক, নূরজাহান বেগম, হাবিব রহমান, রাজা মিয়া, আবুল আজাদ, ওমর ফারুক এ নিজাম আলী।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের মতে, যুক্তরাজ্যের এই সাধারণ নির্বাচনে বড় ও ছোট উভয় ধরনের মোট ৯৫টি রাজনৈতিক দল প্রার্থী দিয়েছে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমনসের ৬৫০টি আসনের বিপরীতে এবার মোট ৪ হাজার ৫১৫ জন প্রার্থী লড়ছেন। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের নির্বাচনে মোট ১১ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী লড়েছিলেন। ২০১৯ সালে সেই সংখ্যা ছিল ১৯ এবং এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ জনে। সূত্র: আজকের পত্রিকা।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ব্রিটেনের পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়ছেন রেকর্ড ৩৪ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী

প্রকাশের সময় : ০৬:১১:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪

ব্রিটেনের জাতীয় নির্বাচনে লড়ছেন রেকর্ড ৩৪ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক প্রার্থী লড়ছেন স্বতন্ত্র হয়ে। দলীয় জায়গা বিবেচনায় সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী আছেন লেবার পার্টিতে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির দেওয়া তথ্য বলছে, এই ৩৪ জনের অধিকাংশই এবার প্রথমবারের মতো নির্বাচনে লড়ছেন।

বর্তমান বিরোধী দল লেবার পার্টির ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখা গেছে, দলটি থেকে মোট আটজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী লড়ছেন নির্বাচনে। এর মধ্যে ছয়জনই নারী। ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ তথা টোরি পার্টি থেকেও লড়ছেন দুই বাংলাদেশি। অন্যান্য দলের মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে লড়ছেন ছয়জন, নাইজেল ফারাজের রিফর্ম ইউকে থেকে লড়ছেন একজন, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (লিব ডেম) থেকে একজন, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি থেকে একজন, গ্রিন পার্টি থেকে তিনজন এবং সোশ্যালিস্ট পার্টি থেকে লড়ছেন একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ।

এই ২৩ জন ছাড়াও আরও ১১ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক এবার জাতীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। মূলত গাজা ইস্যুতে লেবার পার্টির নীরবতার প্রতিবাদেই অনেকে দলটি ছেড়ে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে গেছেন। সাধারণভাবে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতরা নির্বাচনে লেবার পার্টির প্রতিই বেশি পক্ষপাত প্রদর্শন করেন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীরা গাজা ইস্যুকে কেন্দ্র করে লেবার পার্টির বাংলাদেশি ভোটব্যাংক নিজেদের দিকে টেনে নিতে চান।

ব্রিটিশ পার্লামেন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়া ৩৪ প্রার্থীর মধ্যে চারজন বর্তমান পার্লামেন্টেরই সদস্য। তাঁরা হলেন—রুশনারা আলী, রুপা হক, টিউলিপ সিদ্দীক এবং আপসানা বেগম। ২০১০ সালের ব্রিটিশ পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্যক্তি হিসেবে জয়লাভ করে ইতিহাস গড়েন রুশনারা আলী।

এই চারজনই লেবার পার্টির টিকিটে এবার নির্বাচনে লড়ছেন। দলটি থেকে টিকিট পাওয়া বাকি চার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক হলেন রুফিয়া আশরাফ, নুরুল হক আলী, নাজমুল হোসাইন ও রুমি চৌধুরী। কনজারভেটিভ তথা টোরি পার্টির টিকিট পাওয়া দুই প্রার্থী হলেন আতিক রহমান ও সৈয়দ সাইদুজ্জামান।

ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে টিকিট পাওয়া ছয় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হলেন গোলাম টিপু, প্রিন্স সাদিক চৌধুরী, মোহাম্মদ শাহেদ হুসাইন, ফয়সাল কবির, মোহাম্মাদ বিলাল ও হালিমা খান। রিফর্ম ইউকে পার্টি থেকে লড়ছেন রাজ ফরহাদ। লিব ডেম পার্টির প্রার্থী হয়েছেন রাবিনা খান। উল্লেখ্য, রাবিনা ও রুশনারা আলী একই আসন অর্থাৎ বেনথাল গ্রিন অ্যান্ড স্টেপনিতে লড়ছেন।

এর বাইরে স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির একজন প্রার্থী হলেন নাজ আনিস মিঞাহ। গ্রিন পার্টির মনোনয়ন পাওয়া তিন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হলেন সাঈদ সিদ্দিকী, শাসুজ্জামান সাঈদ এবং শারমিন রহমান। সোশ্যালিস্ট পার্টি থেকে লড়ছেন মমতাজ খানম।

এই নির্বাচনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে তিনজনই লড়ছেন গ্রিন বেনথাল অ্যান্ড স্টেপনি আসন থেকে। তাঁরা হলেন আজমল মাসরুর, মো. সুমন আহমেদ এবং স্যাম উদ্দিন। বাকি আটজন হলেন ওইয়াজ ইসলাম, এহতেশাম হক, নূরজাহান বেগম, হাবিব রহমান, রাজা মিয়া, আবুল আজাদ, ওমর ফারুক এ নিজাম আলী।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের মতে, যুক্তরাজ্যের এই সাধারণ নির্বাচনে বড় ও ছোট উভয় ধরনের মোট ৯৫টি রাজনৈতিক দল প্রার্থী দিয়েছে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমনসের ৬৫০টি আসনের বিপরীতে এবার মোট ৪ হাজার ৫১৫ জন প্রার্থী লড়ছেন। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের নির্বাচনে মোট ১১ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী লড়েছিলেন। ২০১৯ সালে সেই সংখ্যা ছিল ১৯ এবং এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ জনে। সূত্র: আজকের পত্রিকা।