নিউইয়র্ক ০৬:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ভারতে ভাঙা হলো ১৮৫ বছরের প্রাচীন মসজিদের একাংশ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:২৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ১৮ বার পঠিত

ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য উত্তর প্রদেশের ফতেহপুরে বান্দা-ফতেহপুর সড়ক ‘দখলের’ অভিযোগে ১৮৫ বছরের পুরনো একটি মসজিদের একাংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। দেশটির কর্তৃপক্ষ। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সংবাদমাধ্যম আনাদুলুর প্রতিবেদনে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে।

ভেঙে ফেলা প্রাচীন মসজিদটির নাম নূরী জামে মসজিদ। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, নূরী জামে মসজিদের একাংশ সড়কের ওপর পড়ায় তা সরানোর জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশ দেওয়ার পরও সেই অংশ ভাঙা হয়নি। তবে নোটিশের পরও মসজিরে ওই অংশ ভাঙা হয়নি। তাই কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার মসজিদটির একাংশ ভেঙেছে।

এদিকে নোটিশ পাওয়ার পর মসজিদ কমিটি এর সুরাহার জন্য হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছিল। যার রায় এ সপ্তাহেই আসার কথা। আর এমন সময়ই মসজিদটির ওই অংশ ভেঙে ফেলা হলো।

ফতেহপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) অবিনাশ ত্রিপাঠী এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘মসজিদ কমিটি হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করেছে। কিন্তু এখনো এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য হয়নি। আজ মসজিদের যে অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে তা তিন বছরে নির্মিত হয়েছিল। মসজিদের মূল ভবন অক্ষত রয়েছে।’

ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, রাস্তা মজবুত করা ও ড্রেন তৈরির কাজ শুরু করার জন্য গণপূর্ত বিভাগ (পিডব্লিউডি) আগস্টে ওই মসজিদ সংলগ্ন এলাকার দোকানদার, বাড়ির মালিক ও মসজিদ কমিটিসহ ১৩৯ জনকে রাস্তা দখল করে নির্মিত অবকাঠামো ভেঙে ফেলতে নোটিশ দিয়েছে। যাদের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল তারা সবাই সেপ্টেম্বরেই চিহ্নিত অংশ ভেঙে ফেলে। মসজিদ কমিটিও সড়কের ওপর থাকা দোকানের অংশবিশেষ ভেঙেছে। তবে গণপূর্ত বিভাগকে প্রতিশ্রুতি দিয়েও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তারা মসজিদের অংশবিশেষ ভাঙেনি। তাই নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর মঙ্গলবার মসজিদের ওই অংশটি ভেঙে ফেলা হয়েছে।

এদিকে মসজিদ কমিটির সদস্য মোহম্মদ মঈন খান জানিয়েছেন, তারা মসজিদের কোনও অংশ ভেঙে ফেলার বিপক্ষে এলাহাবাদ হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করেছেন। আর চলতি সপ্তাহেই এর শুনানি হওয়ার কথা।

ভারতীয় বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে তিনি বলেছেন,‘মসজিদটি ১৮৩৯ সালে নির্মিত। আর এখানকার রাস্তাটি নির্মিত হয়েছে ১৯৫৬ সালে। তারপরও গণপূর্ত বিভাগ মসজিদের কিছু অংশকে অবৈধ বলছে।’

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ভারতে ভাঙা হলো ১৮৫ বছরের প্রাচীন মসজিদের একাংশ

প্রকাশের সময় : ০৩:২৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য উত্তর প্রদেশের ফতেহপুরে বান্দা-ফতেহপুর সড়ক ‘দখলের’ অভিযোগে ১৮৫ বছরের পুরনো একটি মসজিদের একাংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। দেশটির কর্তৃপক্ষ। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সংবাদমাধ্যম আনাদুলুর প্রতিবেদনে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে।

ভেঙে ফেলা প্রাচীন মসজিদটির নাম নূরী জামে মসজিদ। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, নূরী জামে মসজিদের একাংশ সড়কের ওপর পড়ায় তা সরানোর জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশ দেওয়ার পরও সেই অংশ ভাঙা হয়নি। তবে নোটিশের পরও মসজিরে ওই অংশ ভাঙা হয়নি। তাই কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার মসজিদটির একাংশ ভেঙেছে।

এদিকে নোটিশ পাওয়ার পর মসজিদ কমিটি এর সুরাহার জন্য হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছিল। যার রায় এ সপ্তাহেই আসার কথা। আর এমন সময়ই মসজিদটির ওই অংশ ভেঙে ফেলা হলো।

ফতেহপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) অবিনাশ ত্রিপাঠী এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘মসজিদ কমিটি হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করেছে। কিন্তু এখনো এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য হয়নি। আজ মসজিদের যে অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে তা তিন বছরে নির্মিত হয়েছিল। মসজিদের মূল ভবন অক্ষত রয়েছে।’

ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, রাস্তা মজবুত করা ও ড্রেন তৈরির কাজ শুরু করার জন্য গণপূর্ত বিভাগ (পিডব্লিউডি) আগস্টে ওই মসজিদ সংলগ্ন এলাকার দোকানদার, বাড়ির মালিক ও মসজিদ কমিটিসহ ১৩৯ জনকে রাস্তা দখল করে নির্মিত অবকাঠামো ভেঙে ফেলতে নোটিশ দিয়েছে। যাদের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল তারা সবাই সেপ্টেম্বরেই চিহ্নিত অংশ ভেঙে ফেলে। মসজিদ কমিটিও সড়কের ওপর থাকা দোকানের অংশবিশেষ ভেঙেছে। তবে গণপূর্ত বিভাগকে প্রতিশ্রুতি দিয়েও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তারা মসজিদের অংশবিশেষ ভাঙেনি। তাই নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর মঙ্গলবার মসজিদের ওই অংশটি ভেঙে ফেলা হয়েছে।

এদিকে মসজিদ কমিটির সদস্য মোহম্মদ মঈন খান জানিয়েছেন, তারা মসজিদের কোনও অংশ ভেঙে ফেলার বিপক্ষে এলাহাবাদ হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করেছেন। আর চলতি সপ্তাহেই এর শুনানি হওয়ার কথা।

ভারতীয় বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে তিনি বলেছেন,‘মসজিদটি ১৮৩৯ সালে নির্মিত। আর এখানকার রাস্তাটি নির্মিত হয়েছে ১৯৫৬ সালে। তারপরও গণপূর্ত বিভাগ মসজিদের কিছু অংশকে অবৈধ বলছে।’