‘মুক্তির তালিকায় থাকা ইসরায়েলি ২৬ জিম্মির ৮ জন মৃত’

- প্রকাশের সময় : ১২:১৬:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৫১ বার পঠিত
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপে হামাসের হাত থেকে মুক্তির তালিকায় থাকা বাকি ২৬ জিম্মির মধ্যে আটজন এরই মধ্যে নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠীটির কাছ থেকে একটি তালিকা পাওয়ার পর ইসরায়েল সরকারের মুখপাত্র ডেভিড মেনসার সাংবাদিকদের এ তথ্য দিয়েছেন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
ডেভিড মেনসার বলেছেন, ‘ইসরায়েল ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠীটির কাছ থেকে একটি তালিকা পেয়েছি, জিম্মিদের অবস্থা সম্পর্কে এই তথ্য দিয়েছে হামাস।’ নিহত জিম্মিদের নাম উল্লেখ না করে ডেভিড মেনসার বলেন, ‘হামাসের কাছ থেকে পাওয়া তালিকাটি ইসরায়েলের গোয়েন্দাদের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে মিলে যায়। তাই আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারি যে… হামাসের হাতে আটজন নিহত হয়েছে। পরিবারকে তাদের স্বজনদের অবস্থা সম্পর্কে জানানো হয়েছে।’ ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দী থাকা ২৯০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনির বিনিময়ে ইসরায়েলের সাত নারীকে জীবিত মুক্ত করা হয়েছে।
রোববার রাতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় ঘোষণা করেছে, হামাস বৃহস্পতিবার নারী বেসামরিক আরবেল ইয়েহুদ, নারী সৈনিক আগাম বার্গার ও অন্য এক জিম্মিকে মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছে। আগামী শনিবার হামাসের পক্ষ থেকে আরও তিন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে নেতানিয়াহুর কার্যালয়।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে অভূতপূর্ব হামলা চালায় হামাস। ওই হামলায় প্রায় এক হাজার ২০০ জন নিহত হয় এবং জিম্মি করে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নিয়ে যাওয়া হয়। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) হামাসকে ধ্বংস করার জন্য গাজা উপত্যকায় হামলা শুরু করে। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় তখন থেকে যুদ্ধবিরতি পর্যন্ত ৪৭ হাজার ৩১০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। ১৫ মাসের এই যুদ্ধে আহত হয়েছে এক লাখের বেশি মানুষ।
ইসরায়েল বলছে, জিম্মিদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৮৭ জন বন্দী অবস্থায় রয়েছে, যাদের মধ্যে ৩৪ জনকে মৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া যুদ্ধের আগে অপহৃত হওয়া তিনজন ইসরায়েলি রয়েছে যাদের মধ্যে একজন মারা গেছে।