নিউইয়র্ক ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ফিলিস্তিনিদের হামলায় ২ ইসরায়েলি সেনা নিহত

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৪৩:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ১০১ বার পঠিত

গাজায় স্থল অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে ১২১ জন ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হয়েছে। ছবি: রয়টার্স

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনিদের হামলায় আরও দুই ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। রোববার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে। আল-জাজিরা জানিয়েছে, নিহত ইসরায়েলি সেনারা রিজার্ভ বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত ছিল। এখন পর্যন্ত গাজায় স্থল অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে ১২১ জন ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীও এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শনিবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দু’জন রিজার্ভ সৈন্যকে হত্যা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গাজা উপত্যকার নিরপরাধ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের ওপর প্রায় দুই মাস ধরে ইসরায়েল পাশবিকতা চালিয়ে গেলেও কোনো পশ্চিমা দেশ বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখন পর্যন্ত তেল আবিবকে আগ্রাসন বন্ধ করার আহ্বান পর্যন্ত জানায়নি।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ হাজার জন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই নিহতদের মধ্যে অন্তত ৮ হাজার শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্ক এবং ৬ হাজার ২০০ জন নারী রয়েছেন।

গাজার সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শতকরা ৭০ ভাগ নারী ও শিশু। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৫১ হাজার ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে নজিরবিহীন সামরিক অভিযান চালায়। ওই অভিযানে ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে বন্দী করে নিয়ে গাজা উপত্যকায় ফিরে যায়। সেদিন থেকেই ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গাজায় ভয়াবহ রক্তাক্ত অভিযান শুরু করে যা এখন পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলছে।

ইসরায়েলে সামরিক অভিযানের বিষয়ে আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের মুখপাত্র খালেদ কাদোমি বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো নৃশংসতার জবাবে এই সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। আমরা চাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর এবং আমাদের পবিত্র স্থাপনা আল-আকসায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধে উদ্যোগ নেবে। এগুলোই হামাসের এই অভিযানের কারণ।’সূত্র : আল-জাজিরা, আনাদোলু এজেন্সি

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ফিলিস্তিনিদের হামলায় ২ ইসরায়েলি সেনা নিহত

প্রকাশের সময় : ০৪:৪৩:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনিদের হামলায় আরও দুই ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। রোববার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে। আল-জাজিরা জানিয়েছে, নিহত ইসরায়েলি সেনারা রিজার্ভ বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত ছিল। এখন পর্যন্ত গাজায় স্থল অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে ১২১ জন ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীও এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শনিবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দু’জন রিজার্ভ সৈন্যকে হত্যা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গাজা উপত্যকার নিরপরাধ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের ওপর প্রায় দুই মাস ধরে ইসরায়েল পাশবিকতা চালিয়ে গেলেও কোনো পশ্চিমা দেশ বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখন পর্যন্ত তেল আবিবকে আগ্রাসন বন্ধ করার আহ্বান পর্যন্ত জানায়নি।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ হাজার জন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই নিহতদের মধ্যে অন্তত ৮ হাজার শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্ক এবং ৬ হাজার ২০০ জন নারী রয়েছেন।

গাজার সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শতকরা ৭০ ভাগ নারী ও শিশু। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৫১ হাজার ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে নজিরবিহীন সামরিক অভিযান চালায়। ওই অভিযানে ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে বন্দী করে নিয়ে গাজা উপত্যকায় ফিরে যায়। সেদিন থেকেই ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গাজায় ভয়াবহ রক্তাক্ত অভিযান শুরু করে যা এখন পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলছে।

ইসরায়েলে সামরিক অভিযানের বিষয়ে আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের মুখপাত্র খালেদ কাদোমি বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো নৃশংসতার জবাবে এই সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। আমরা চাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর এবং আমাদের পবিত্র স্থাপনা আল-আকসায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধে উদ্যোগ নেবে। এগুলোই হামাসের এই অভিযানের কারণ।’সূত্র : আল-জাজিরা, আনাদোলু এজেন্সি

হককথা/নাছরিন