নিউইয়র্ক ০৬:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতে আল–জাজিরার ১৩ সাংবাদিকের প্রাণ গেছে

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:০২:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৯০ বার পঠিত

 আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মধ্যপ্রাচ্যে কার্যক্রম শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত অঞ্চলটিতে বিভিন্ন সংঘাতে আল-জাজিরার ১৩ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। এ তালিকায় সর্বশেষ নাম সামের আবুদাকা। গতকাল শুক্রবার দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারান।

সামের আবুদাকা আল-জাজিরা আরবিতে ক্যামেরাম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। খান ইউনিসের ফারহানা স্কুল থেকে ইসরায়েলি হামলার ভিডিও ধারণ করছিলেন সামের। ওই সময় আল-জাজিরা আরবির গাজা ব্যুরোর প্রধান ওয়ায়েল দাহদুহ তাঁর সঙ্গে ছিলেন। ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন দাহদুহ। তিনি গত অক্টোবরে ইসরায়েলি হামলায় স্ত্রী-সন্তান হারিয়েছেন।

আল-জাজিরা জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে ১৯৯৬ সালে কার্যক্রম শুরু করে সংবাদমাধ্যমটি। এরপর ২০০৩ সালে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে সংবাদমাধ্যমটির এক সাংবাদিক নিহত হন। তাঁর নাম তারেক আইয়ুব। তিনি একজন ফিলিস্তিনি। ওই সময় ইরাক যুদ্ধ চলছিল। বাগদাদে আল-জাজিরার ভবনে বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্টরে বাহিনী। হামলায় গুরুতর আহত হন তারেক। পরে তাঁর মৃত্যু হয়।

সামের আবুদাকার আগে প্রাণ হারানো আল-জাজিরার সাংবাদিকদের তালিকায় ১২তম নাম শিরিন আবু আকলেহ। আরব বিশ্বে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত শিরিন। গত বছর জেনিনে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারান তিনি।

এ ছাড়া আল-জাজিরার অন্য নিহত সাংবাদিকেরা লিবিয়া, সিরিয়া ও ইয়েমেনের সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন। নিহত সহকর্মীদের স্মরণে কাতারের দোহায় প্রধান কার্যালয়ে একটি স্মৃতিস্তম্ভ বানিয়েছে আল-জাজিরা।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। হামলায় দেশটির ১ হাজার ২০০ জন মানুষের প্রাণ যায়। ওই দিন থেকে গাজা উপত্যকায় নির্বিচার পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।

দুই মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় চলা নির্বিচার হামলায় ১৮ হাজার ৭৮৭ জনের মৃত্যুর হয়েছে। তাঁদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ১৮ লাখ মানুষ। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা থেকে বিদ্যালয়, হাসপাতাল, শরণার্থীশিবির—কিছুই বাদ যাচ্ছে না। সূত্র : প্রথম আলো।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতে আল–জাজিরার ১৩ সাংবাদিকের প্রাণ গেছে

প্রকাশের সময় : ০২:০২:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩

 আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মধ্যপ্রাচ্যে কার্যক্রম শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত অঞ্চলটিতে বিভিন্ন সংঘাতে আল-জাজিরার ১৩ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। এ তালিকায় সর্বশেষ নাম সামের আবুদাকা। গতকাল শুক্রবার দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারান।

সামের আবুদাকা আল-জাজিরা আরবিতে ক্যামেরাম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। খান ইউনিসের ফারহানা স্কুল থেকে ইসরায়েলি হামলার ভিডিও ধারণ করছিলেন সামের। ওই সময় আল-জাজিরা আরবির গাজা ব্যুরোর প্রধান ওয়ায়েল দাহদুহ তাঁর সঙ্গে ছিলেন। ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন দাহদুহ। তিনি গত অক্টোবরে ইসরায়েলি হামলায় স্ত্রী-সন্তান হারিয়েছেন।

আল-জাজিরা জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে ১৯৯৬ সালে কার্যক্রম শুরু করে সংবাদমাধ্যমটি। এরপর ২০০৩ সালে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে সংবাদমাধ্যমটির এক সাংবাদিক নিহত হন। তাঁর নাম তারেক আইয়ুব। তিনি একজন ফিলিস্তিনি। ওই সময় ইরাক যুদ্ধ চলছিল। বাগদাদে আল-জাজিরার ভবনে বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্টরে বাহিনী। হামলায় গুরুতর আহত হন তারেক। পরে তাঁর মৃত্যু হয়।

সামের আবুদাকার আগে প্রাণ হারানো আল-জাজিরার সাংবাদিকদের তালিকায় ১২তম নাম শিরিন আবু আকলেহ। আরব বিশ্বে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত শিরিন। গত বছর জেনিনে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারান তিনি।

এ ছাড়া আল-জাজিরার অন্য নিহত সাংবাদিকেরা লিবিয়া, সিরিয়া ও ইয়েমেনের সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন। নিহত সহকর্মীদের স্মরণে কাতারের দোহায় প্রধান কার্যালয়ে একটি স্মৃতিস্তম্ভ বানিয়েছে আল-জাজিরা।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। হামলায় দেশটির ১ হাজার ২০০ জন মানুষের প্রাণ যায়। ওই দিন থেকে গাজা উপত্যকায় নির্বিচার পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।

দুই মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় চলা নির্বিচার হামলায় ১৮ হাজার ৭৮৭ জনের মৃত্যুর হয়েছে। তাঁদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ১৮ লাখ মানুষ। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা থেকে বিদ্যালয়, হাসপাতাল, শরণার্থীশিবির—কিছুই বাদ যাচ্ছে না। সূত্র : প্রথম আলো।