নিউইয়র্ক ১২:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

৪ ঘণ্টার বৈঠক শেষে জিনপিংকে ‘স্বৈরাচার’ বললেন বাইডেন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:৩৬:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩
  • / ১১০ বার পঠিত

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে প্রায় চার ঘণ্টা বৈঠক হয়েছে। আলোচনায় উঠে এসেছে দ্বিপক্ষীয় নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বৈঠকে বিশ্বের এ দুই শক্তিধর দেশের মধ্যে সম্পর্কের পারদ গলে কি না সেদিকে নজর ছিল গোটা বিশ্বের। কিন্তু সুদীর্ঘ বৈঠক যে সেভাবে ফলপ্রসূ হয়নি, তা স্পষ্ট হয়ে গেলো বাইডেনের কথায়। জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পরই তাকে আবারও ‘স্বৈরাচার’ বলে কটাক্ষ করলেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) সান ফ্রান্সিসকোর প্রায় ২৫ মাইল দক্ষিণে ফিলোলি এস্টেটের একটি বাগানবাড়িতে বৈঠকে বসেন বাইডেন ও জিনপিং। প্রায় চার ঘণ্টা আলোচনা হয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে। এর আগে চলতি বছরের শুরুর দিকে জিনপিংকে ‘স্বৈরাচারী’ বলে বেইজিংয়ের তোপের মুখে পড়েছিলেন বাইডেন। বুধবার বৈঠক শেষে তাই এক সাংবাদিক যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্টকে জিজ্ঞেস করেন, তিনি এখনো চীনা প্রেসিডেন্টকে ‘একনায়ক’ বলে মনে করেন কি না?

উত্তরে বাইডেন বলেন, ওনাকে দেখে তাই মনে হয়। মানে, যেভাবে তিনি দেশশাসন করছেন, চীনের মতো একটি কমিউনিস্ট দেশ, যার সরকারের গঠন আমাদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা, সেসব বিবেচনায় জিনপিং একজন স্বৈরশাসক। এদিনের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রেকে খোঁচা দিতে পিছপা হননি চীনের প্রেসিডেন্টও। তাইওয়ান প্রসঙ্গ তুলে কড়া বার্তা দেন জিনপিং।

চীনা সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, জিনপিং বাইডেনকে বলেছেন, স্বাধীন তাইওয়ান নীতিকে সমর্থন না করার প্রতিশ্রতি দিয়েছেন আপনারাই। এবার তা প্রমাণ করুন এসময় যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্টকে ফের যুক্তরাষ্ট্রের ‘এক চীন’ নীতির কথা মনে করিয়ে দেন জিনপিং। জবাবে বাইডেন তাকে আশ্বস্ত করে বলেন, আমি এই নীতি পরিবর্তন করবো না। সূত্র: ব্লুমবার্গ

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

৪ ঘণ্টার বৈঠক শেষে জিনপিংকে ‘স্বৈরাচার’ বললেন বাইডেন

প্রকাশের সময় : ০২:৩৬:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে প্রায় চার ঘণ্টা বৈঠক হয়েছে। আলোচনায় উঠে এসেছে দ্বিপক্ষীয় নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বৈঠকে বিশ্বের এ দুই শক্তিধর দেশের মধ্যে সম্পর্কের পারদ গলে কি না সেদিকে নজর ছিল গোটা বিশ্বের। কিন্তু সুদীর্ঘ বৈঠক যে সেভাবে ফলপ্রসূ হয়নি, তা স্পষ্ট হয়ে গেলো বাইডেনের কথায়। জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পরই তাকে আবারও ‘স্বৈরাচার’ বলে কটাক্ষ করলেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) সান ফ্রান্সিসকোর প্রায় ২৫ মাইল দক্ষিণে ফিলোলি এস্টেটের একটি বাগানবাড়িতে বৈঠকে বসেন বাইডেন ও জিনপিং। প্রায় চার ঘণ্টা আলোচনা হয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে। এর আগে চলতি বছরের শুরুর দিকে জিনপিংকে ‘স্বৈরাচারী’ বলে বেইজিংয়ের তোপের মুখে পড়েছিলেন বাইডেন। বুধবার বৈঠক শেষে তাই এক সাংবাদিক যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্টকে জিজ্ঞেস করেন, তিনি এখনো চীনা প্রেসিডেন্টকে ‘একনায়ক’ বলে মনে করেন কি না?

উত্তরে বাইডেন বলেন, ওনাকে দেখে তাই মনে হয়। মানে, যেভাবে তিনি দেশশাসন করছেন, চীনের মতো একটি কমিউনিস্ট দেশ, যার সরকারের গঠন আমাদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা, সেসব বিবেচনায় জিনপিং একজন স্বৈরশাসক। এদিনের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রেকে খোঁচা দিতে পিছপা হননি চীনের প্রেসিডেন্টও। তাইওয়ান প্রসঙ্গ তুলে কড়া বার্তা দেন জিনপিং।

চীনা সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, জিনপিং বাইডেনকে বলেছেন, স্বাধীন তাইওয়ান নীতিকে সমর্থন না করার প্রতিশ্রতি দিয়েছেন আপনারাই। এবার তা প্রমাণ করুন এসময় যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্টকে ফের যুক্তরাষ্ট্রের ‘এক চীন’ নীতির কথা মনে করিয়ে দেন জিনপিং। জবাবে বাইডেন তাকে আশ্বস্ত করে বলেন, আমি এই নীতি পরিবর্তন করবো না। সূত্র: ব্লুমবার্গ