নিউইয়র্ক ০২:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

২০ বছর পর ডলার-ইউরোর মান সমান

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ জুলাই ২০২২
  • / ৬০ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ২০ বছর পর ইউরোর মান সর্বনিম্ন পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। এর ফলে ডলারের সাথে ইউরোর মান সমান সমান দাঁড়িয়েছে। যা ২০ বছরের মধ্যে এই প্রথম। খবর আল জাজিরা।
ইউরোর মান কমে যাওয়ায় ধস নেমেছে শেয়ার মার্কেটে। ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা চালানোর ফলে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। কারণ এই দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের কারণে জ্বালানি তেল এবং গ্যাস সংকটের প্রভাব পড়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনীতির ওপর।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধের আগে রাশিয়ান পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রায় ৪০ শতাংশ গ্যাস পেতো ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বর্তমানে রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের ওপর নির্ভরতা কমানোর চেষ্টা করছে তারা। একই সময়ে ইইউর কয়েকটি দেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া।
এদিকে পাইপলাইন মেরামতের জন্য ইউরোপে ১০ দিনের জন্য গ্যাস সরবরাহ বন্ধ ঘোষণা করেছে রাশিয়া। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জার্মানি। দেশটির অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন রাশিয়া হয়ত ইউরোপে স্থায়ীভাবে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করতে যাচ্ছে। এজন্য এখনই আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
ইউরোর মান পড়ে যাওয়ায় ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) ২০১১ সালের পর চলতি মাসে প্রথমবারের মতো সুদের হার বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে। ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতির হার বর্তমানে ৮ দশমিক ৬ শতাংশে পৌঁছেছে।
১৯৯১ সালের পর গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো পণ্যের বাণিজ্য ঘাটতি রেকর্ড করেছে জার্মানি। দেশটিতে জ্বালানির দাম এবং সাধারণ সরবরাহ শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ায় আমদানির ব্যয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে।
হককথা/এমউএ

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

২০ বছর পর ডলার-ইউরোর মান সমান

প্রকাশের সময় : ০১:০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ জুলাই ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ২০ বছর পর ইউরোর মান সর্বনিম্ন পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। এর ফলে ডলারের সাথে ইউরোর মান সমান সমান দাঁড়িয়েছে। যা ২০ বছরের মধ্যে এই প্রথম। খবর আল জাজিরা।
ইউরোর মান কমে যাওয়ায় ধস নেমেছে শেয়ার মার্কেটে। ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা চালানোর ফলে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। কারণ এই দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের কারণে জ্বালানি তেল এবং গ্যাস সংকটের প্রভাব পড়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনীতির ওপর।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধের আগে রাশিয়ান পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রায় ৪০ শতাংশ গ্যাস পেতো ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বর্তমানে রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের ওপর নির্ভরতা কমানোর চেষ্টা করছে তারা। একই সময়ে ইইউর কয়েকটি দেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া।
এদিকে পাইপলাইন মেরামতের জন্য ইউরোপে ১০ দিনের জন্য গ্যাস সরবরাহ বন্ধ ঘোষণা করেছে রাশিয়া। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জার্মানি। দেশটির অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন রাশিয়া হয়ত ইউরোপে স্থায়ীভাবে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করতে যাচ্ছে। এজন্য এখনই আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
ইউরোর মান পড়ে যাওয়ায় ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) ২০১১ সালের পর চলতি মাসে প্রথমবারের মতো সুদের হার বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে। ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতির হার বর্তমানে ৮ দশমিক ৬ শতাংশে পৌঁছেছে।
১৯৯১ সালের পর গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো পণ্যের বাণিজ্য ঘাটতি রেকর্ড করেছে জার্মানি। দেশটিতে জ্বালানির দাম এবং সাধারণ সরবরাহ শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ায় আমদানির ব্যয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে।
হককথা/এমউএ