নিউইয়র্ক ০৭:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

২০৫০ এর মধ্যে পেট্রল-ডিজেলের ব্যবহার বন্ধ করবে সুইজারল্যান্ড

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:০৭:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুন ২০২৩
  • / ৪৮ বার পঠিত

পরিবেশপন্থিদের পোস্টার, যেখানে বলা হয়েছে, পুতিনকে বিপর্যস্ত করুন।ছবি: ডয়চে ভেলে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  পরিবেশ বাঁচাতে নতুন জলবায়ু বিলের পক্ষে রায় দিল সুইজারল্যান্ডের সাধারণ মানুষ। এই বিলে ২০৫০ সালের মধ্যে সুইজারল্যান্ডে পেট্রল-ডিজেলের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে। ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্য করার কথা বলা হয়েছে। সেই সময় পুরোপুরি পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির ওপর নির্ভরশীল হবে এই দেশ।

উষ্ণায়নের ফলে সুইজারল্যান্ডে আল্পস হিমবাহের বরফ গলছে। পরিবেশগত বিপর্যয়ের সামনে থাকা এই দেশটি প্রস্তাবিত বিল নিয়ে গণভোটের আয়োজন করে। ৫৯ দশমিক এক শতাংশ মানুষ বিলের পক্ষে রায় দিয়েছেন। দক্ষিণপন্থি সুইস পিপলস পার্টি ছাড়া বাকি সব রাজনৈতিক দল বিলের পক্ষে।

সুইজারল্যান্ডে তেল ও গ্যাসের প্রায় পুরোটাই আমদানি করতে হয়। যার অনেকটাই আসে রাশিয়া থেকে। বিলে বলা হয়েছে, তেল ও গ্যাসের বদলে বিকল্প শক্তির পথে হাঁটবে সুইজারল্যান্ড। সেজন্য আগামী এক দশকে দুইশ কোটি সুইস ফ্রাঁ খরচ করা হবে। পুরোপুরি গ্রিন এনার্জির দিকে ঝুঁকবে সুইজারল্যান্ড।

হিমবাহ বিশেষজ্ঞ ম্যাথিয়াস হাস টুইট করে বলেন, ‘আমার ভালো লাগছে যে, মানুষ পরিবেশ বাঁচানোর পক্ষে রায় দিয়েছেন। পরিবেশবিজ্ঞানীদের কথা শুনেছে তারা।’

সোস্য়ালিস্ট পার্টির পার্লামেন্ট সদস্য ভ্যালেরি ক্যালার্ড বলেছেন, ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’

ভোতারা দ্বিতীয় গণভোটের সময় বহুজাতিক সংস্থার ওপর ১৫ শতাংশ হারে পরিবেশ কর চাপানোর সিদ্ধান্তও সমর্থন করেছিলেন। ৭৯ শতাংশের বেশি ভোটদাতা এই পদক্ষেপের পক্ষে। –  সূত্র :   দৈনিক ইত্তেফাক

নাসরিন /হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

২০৫০ এর মধ্যে পেট্রল-ডিজেলের ব্যবহার বন্ধ করবে সুইজারল্যান্ড

প্রকাশের সময় : ০৮:০৭:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুন ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  পরিবেশ বাঁচাতে নতুন জলবায়ু বিলের পক্ষে রায় দিল সুইজারল্যান্ডের সাধারণ মানুষ। এই বিলে ২০৫০ সালের মধ্যে সুইজারল্যান্ডে পেট্রল-ডিজেলের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে। ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্য করার কথা বলা হয়েছে। সেই সময় পুরোপুরি পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির ওপর নির্ভরশীল হবে এই দেশ।

উষ্ণায়নের ফলে সুইজারল্যান্ডে আল্পস হিমবাহের বরফ গলছে। পরিবেশগত বিপর্যয়ের সামনে থাকা এই দেশটি প্রস্তাবিত বিল নিয়ে গণভোটের আয়োজন করে। ৫৯ দশমিক এক শতাংশ মানুষ বিলের পক্ষে রায় দিয়েছেন। দক্ষিণপন্থি সুইস পিপলস পার্টি ছাড়া বাকি সব রাজনৈতিক দল বিলের পক্ষে।

সুইজারল্যান্ডে তেল ও গ্যাসের প্রায় পুরোটাই আমদানি করতে হয়। যার অনেকটাই আসে রাশিয়া থেকে। বিলে বলা হয়েছে, তেল ও গ্যাসের বদলে বিকল্প শক্তির পথে হাঁটবে সুইজারল্যান্ড। সেজন্য আগামী এক দশকে দুইশ কোটি সুইস ফ্রাঁ খরচ করা হবে। পুরোপুরি গ্রিন এনার্জির দিকে ঝুঁকবে সুইজারল্যান্ড।

হিমবাহ বিশেষজ্ঞ ম্যাথিয়াস হাস টুইট করে বলেন, ‘আমার ভালো লাগছে যে, মানুষ পরিবেশ বাঁচানোর পক্ষে রায় দিয়েছেন। পরিবেশবিজ্ঞানীদের কথা শুনেছে তারা।’

সোস্য়ালিস্ট পার্টির পার্লামেন্ট সদস্য ভ্যালেরি ক্যালার্ড বলেছেন, ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’

ভোতারা দ্বিতীয় গণভোটের সময় বহুজাতিক সংস্থার ওপর ১৫ শতাংশ হারে পরিবেশ কর চাপানোর সিদ্ধান্তও সমর্থন করেছিলেন। ৭৯ শতাংশের বেশি ভোটদাতা এই পদক্ষেপের পক্ষে। –  সূত্র :   দৈনিক ইত্তেফাক

নাসরিন /হককথা