২০১১ সালের পর প্রথমবারের মতো সিরিয়া যাচ্ছেন ইরানি প্রেসিডেন্ট

- প্রকাশের সময় : ০১:১৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩
- / ৭৬ বার পঠিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সিরিয়ায় যাচ্ছেন ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। বুধবার তিনি ওই দেশটি সফর করবেন। ২০১১ সালের পর এটা কোনো ইরানি প্রেসিডেন্টের প্রথম সিরিয়া সফর। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনাকে দামেস্কে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত হোসেইন আকবরি বলেন, একটি গুরুত্বপূর্ণ সফরে দুই দিনের জন্য সিরিয়ায় যাবেন রাইসি। রাইসির আসন্ন সিরিয়া সফর হবে গত ১৩ বছরের মধ্যে দেশটিতে কোনো ইরানি প্রেসিডেন্টের প্রথম সফর। সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ ২০১০ সালে সর্বশেষ দামেস্ক সফর করেছিলেন। রোববার ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আকবরি বলেন, পশ্চিমা বিশ্বের আধিপত্যের মোকাবিলায় প্রেসিডেন্ট রাইসির দু’দিনব্যাপী দামেস্ক সফর দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করবে। ইরানি রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রেসিডেন্ট রাইসির এ সফর শুধু তেহরান ও দামেস্কের স্বার্থই রক্ষা করবে না। একইসঙ্গে এর ফলে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশও উপকৃত হবে। আকবরি বলেন, আঞ্চলিক পরিস্থিতিতে যে পরিবর্তন ঘটছে তার প্রেক্ষাপটে এই সফর হবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরোও পড়ুন । পর্তুগালে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত অন্তত ৩
এদিকে ইরানের প্রেসিডেন্টের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ মোহাম্মাদ জামশিদি বলেছেন, রাইসির সফর হবে মার্কিনবিরোধী প্রতিরোধ যুদ্ধের বিজয় উদযাপনের একটি উপলক্ষ। তিনি বলেন, পশ্চিম এশিয়া অঞ্চল দু’টি ভূরাজনৈতিক পরিবর্তনের মাধ্যমে একটি উত্তেজনাপূর্ণ সময় শেষ করেছে। পরিবর্তন দু’টি হচ্ছে, ইরানের বিজয় এবং আমেরিকার পরাজয়। সম্প্রতি ইরান ও সৌদি আরব পরস্পরের দেশে দূতাবাস পুনরায় চালু করতে সম্মত হয়েছে। এছাড়া, আরব দেশগুলো আবার সিরিয়ার সঙ্গে কূটনীতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করতে শুরু করেছে।
২০১১ সালে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে দেশটিতে উগ্রবাদ ও সহিংসতা চাপিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ইরান ও রাশিয়ার সমর্থন নিয়ে প্রেসিডেন্ট আসাদ এক দশকেরও বেশি সময় পর তার দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের ওপর আবার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছেন। ইরান বলেছে, সিরিয়ার এই ঘটনায় বিশ্বের অন্যান্য দেশও মার্কিন আধিপত্যের বিরুদ্ধে লড়াই করতে অনুপ্রাণিত হবে। দামেস্কে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূত ইরনাকে আরও বলেছেন, প্রেসিডেন্ট রাইসির আসন্ন সিরিয়া সফরের ফলে আরও যেসব দেশ মার্কিন আধিপত্য ও নিষেধাজ্ঞার শিকার, তারাও আশাবাদী হয়ে উঠবে এবং মার্কিন বিরোধী বলয়ে যোগ দিতে উৎসাহী হবে। সূত্র : ইয়েনি শাফাক, প্রেস টিভি
বেলী / হককথা