নিউইয়র্ক ০৪:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

১০০ কোটি রুপির মামলায় কংগ্রেস সভাপতিকে আদালতে তলব

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:১৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০২৩
  • / ৪৩ বার পঠিত

ভারতের কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে তলব করলেন পাঞ্জাবের সাঙরুরের আদালত। (ফাইল চিত্র)

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে কংগ্রেসের কর্ণাটক জয়ের পর রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা দাবি করেছিলেন, মল্লিকার্জুন খাড়গের বুদ্ধিতেই সে রাজ্যে সংখ্যালঘু ভোট একজোট হয়েছে, যা কংগ্রেসের পক্ষে গেছে। দলের নির্বাচনী ইশতেহারে বলা হয়েছিল, ‘ক্ষমতায় এলে বজরং দলকে নিষিদ্ধ করা হবে।’ তার জেরেই ১০০ কোটি রুপির মানহানি মামলায় পাঞ্জাবের সাঙরুরের আদালত তলব করলেন কংগ্রেস সভাপতিকে। তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন বজরং দল হিন্দুস্তান নামের একটি সংগঠনের সভাপতি হীতেশ ভরদ্বাজ। সে সূত্রেই তার নামে সমন পাঠালেন আদালত। শনিবার কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে ১৩৫টি আসনে জিতে সে রাজ্য দখল করেছে কংগ্রেস। যার পর সম্মানের লড়াইয়ে অস্বস্তিতে বিজিপি। বারবার সে রাজ্যে গিয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রচার চালিয়েছিলেন। তার পরও শোচনীয় হারে দায়ভার কার ঘাড়ে চাপানো হবে তা নিয়ে সংশয়ে বিজেপি। এমন রাজনৈতিক আবহে কংগ্রেস সভাপতি খাড়গের বিরুদ্ধে মামলা হয় পাঞ্জাবের আদালতে।

আরোও পড়ুন । তুরস্কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় রাউন্ড ২৮ মে

উল্লেখ্য, কংগ্রেসের নির্বাচনী ইশতেহারে বলা হয়েছিল, ধর্ম ও জাতের ভিত্তিতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘৃণা ছড়ানো ব্যক্তি এবং সংগঠনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর কংগ্রেস। জানানো হয়, ক্ষমতায় এলে বজরং দল, পিএফআইয়ের মতো চরমপন্থী সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ করা হবে। বজরং দলের পক্ষে আইনজীবী দাবি করেন, কংগ্রেসের ইশতেহারে বজরং দলের সঙ্গে সিমি এবং আল-কায়েদার মতো জঙ্গি সংগঠনের তুলনা টানা হয়েছিল। অন্যদিকে বিতর্কিত ইশতেহার নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি বলেছিলেন, জাতি এবং ধর্মের ভিত্তিতে ঘৃণা ছড়ানো ব্যক্তি এবং সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কংগ্রেস। যার জেরে খাড়গের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা হয় পাঞ্জাবের সাঙরুরের আদালতে। সেই সূত্রে অভিযুক্ত কংগ্রেস নেতাকে তলব করলেন আদালত।

প্রসঙ্গত, বজরং দলের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদিও। তিনি বলেন, একটা সময় রামনামের ওপর বিধি-নিষেধ জারি করতে সক্রিয় ছিল কংগ্রেস, এখন ‘জয় বজরংবলী’ স্লোগানদাতাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চাইছে তারা। এটা দুর্ভাগ্যজনক। এমন মন্তব্যের পরও অবশ্য কর্ণাটকে হার এড়াতে পারেনি গেরুয়া শিবির। ৬৫ আসনে থেমেছে বাসবরাজ বোম্মাইয়ের দল। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুব সংগঠন বজরং দল হিন্দু চরমপন্থী সংগঠন হিসেবেই পরিচিত। অতীতেও তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) সাধারণ সম্পাদক মিলিন্দ পরান্দে কংগ্রেসের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। পরান্দে বলেছেন, ‘হিন্দুদের প্রতি বিদ্বেষ থেকে যদি বজরং দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়, তবে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ বজরং দল নিষিদ্ধ হওয়ার ভয় পায় না বলেও দাবি করেন তিনি। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন

বেলী/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

১০০ কোটি রুপির মামলায় কংগ্রেস সভাপতিকে আদালতে তলব

প্রকাশের সময় : ০৩:১৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে কংগ্রেসের কর্ণাটক জয়ের পর রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা দাবি করেছিলেন, মল্লিকার্জুন খাড়গের বুদ্ধিতেই সে রাজ্যে সংখ্যালঘু ভোট একজোট হয়েছে, যা কংগ্রেসের পক্ষে গেছে। দলের নির্বাচনী ইশতেহারে বলা হয়েছিল, ‘ক্ষমতায় এলে বজরং দলকে নিষিদ্ধ করা হবে।’ তার জেরেই ১০০ কোটি রুপির মানহানি মামলায় পাঞ্জাবের সাঙরুরের আদালত তলব করলেন কংগ্রেস সভাপতিকে। তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন বজরং দল হিন্দুস্তান নামের একটি সংগঠনের সভাপতি হীতেশ ভরদ্বাজ। সে সূত্রেই তার নামে সমন পাঠালেন আদালত। শনিবার কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে ১৩৫টি আসনে জিতে সে রাজ্য দখল করেছে কংগ্রেস। যার পর সম্মানের লড়াইয়ে অস্বস্তিতে বিজিপি। বারবার সে রাজ্যে গিয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রচার চালিয়েছিলেন। তার পরও শোচনীয় হারে দায়ভার কার ঘাড়ে চাপানো হবে তা নিয়ে সংশয়ে বিজেপি। এমন রাজনৈতিক আবহে কংগ্রেস সভাপতি খাড়গের বিরুদ্ধে মামলা হয় পাঞ্জাবের আদালতে।

আরোও পড়ুন । তুরস্কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় রাউন্ড ২৮ মে

উল্লেখ্য, কংগ্রেসের নির্বাচনী ইশতেহারে বলা হয়েছিল, ধর্ম ও জাতের ভিত্তিতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘৃণা ছড়ানো ব্যক্তি এবং সংগঠনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর কংগ্রেস। জানানো হয়, ক্ষমতায় এলে বজরং দল, পিএফআইয়ের মতো চরমপন্থী সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ করা হবে। বজরং দলের পক্ষে আইনজীবী দাবি করেন, কংগ্রেসের ইশতেহারে বজরং দলের সঙ্গে সিমি এবং আল-কায়েদার মতো জঙ্গি সংগঠনের তুলনা টানা হয়েছিল। অন্যদিকে বিতর্কিত ইশতেহার নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি বলেছিলেন, জাতি এবং ধর্মের ভিত্তিতে ঘৃণা ছড়ানো ব্যক্তি এবং সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কংগ্রেস। যার জেরে খাড়গের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা হয় পাঞ্জাবের সাঙরুরের আদালতে। সেই সূত্রে অভিযুক্ত কংগ্রেস নেতাকে তলব করলেন আদালত।

প্রসঙ্গত, বজরং দলের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদিও। তিনি বলেন, একটা সময় রামনামের ওপর বিধি-নিষেধ জারি করতে সক্রিয় ছিল কংগ্রেস, এখন ‘জয় বজরংবলী’ স্লোগানদাতাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চাইছে তারা। এটা দুর্ভাগ্যজনক। এমন মন্তব্যের পরও অবশ্য কর্ণাটকে হার এড়াতে পারেনি গেরুয়া শিবির। ৬৫ আসনে থেমেছে বাসবরাজ বোম্মাইয়ের দল। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুব সংগঠন বজরং দল হিন্দু চরমপন্থী সংগঠন হিসেবেই পরিচিত। অতীতেও তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) সাধারণ সম্পাদক মিলিন্দ পরান্দে কংগ্রেসের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। পরান্দে বলেছেন, ‘হিন্দুদের প্রতি বিদ্বেষ থেকে যদি বজরং দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়, তবে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ বজরং দল নিষিদ্ধ হওয়ার ভয় পায় না বলেও দাবি করেন তিনি। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন

বেলী/হককথা