নিউইয়র্ক ০৮:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সেভেরোদোনেতস্ক থেকে ইউক্রেনীয় বাহিনী প্রত্যাহার

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:২৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জুন ২০২২
  • / ৮২ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনের একজন আঞ্চলিক সামরিক কমান্ডার জানিয়েছেন, ইউক্রেনীয় বাহিনীকে অবরুদ্ধ সেভেরোদোনেতস্ক থেকে প্রত্যাহার করা হবে।
তিনি আরো বলেন, কয়েক মাস ধরে রুশ বাহিনীর ক্রমাগত আক্রমণের মুখে থাকা পূর্বাঞ্চলীয় শহরটিকে ধরে রাখার কোনো অর্থ নেই।
জেলেন্সকি বলেছেন, রাশিয়া পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে ‘ব্যাপক বিমান ও কামান হামলা’ চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, রাশিয়ার লক্ষ্য ‘ধাপে ধাপে পুরো ডনবাসকে ধ্বংস করা।’
যুদ্ধে, সেভেরোদোনেতস্ক ও লিসিচানস্ক শহরদুটোকে অবরুদ্ধ করে রাশিয়া পূর্ব ইউক্রেনে আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। যদি রাশিয়া সফল হয়, তবে ডনবাসের এই দুই শহরের নিয়ন্ত্রণ লুহানস্কের হাতে দিয়ে দেবে। লুহানস্ক ডনবাসের দুটি অঞ্চলের একটি, ইউক্রেনের শিল্পাঞ্চলের কেন্দ্রস্থল হিসেবে পরিচিত।
লুহানস্কের গভর্নর সের্হি হাইদাই এপিকে বলেছেন, রুশ বাহিনী ইউক্রেনের বাহিনীকে ঘিরে ফেলার চেষ্টায় ‘সবকিছু পুড়িয়ে ফেলছে’।
পাশের অঞ্চল দনেস্কের আঞ্চলিক গভর্নর পাভলো কিরিলেনকো রয়টার্সকে বলেছেন, রুশ এবং ইউক্রেনীয় বাহিনীর মধ্যে ক্রমবর্ধমান লড়াইয়ের মধ্যে, এখানকার বাসিন্দাদের জন্য কোনো শহরই নিরাপদ নয়।
বিশ্বের অন্যতম খাদ্য উৎপাদক ইউক্রেনে ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া আক্রমণ করার পর থেকে, দেশটি শস্য রফতানি করতে পারছে না। এর ফলে, বিশ্বব্যাপী খাদ্য সঙ্কট ক্রমাগত বাড়ছে। খাদ্যের ঘাটতি, খাদ্যের দামকে রেকর্ড পরিমাণ উচ্চতায় নিয়ে গেছে; আর লাখ লাখ মানুষকে খাদ্য সংগ্রহের সংগ্রামে ফেলে দিয়েছে।
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা
হককথা/এমউএ

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

সেভেরোদোনেতস্ক থেকে ইউক্রেনীয় বাহিনী প্রত্যাহার

প্রকাশের সময় : ০৬:২৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জুন ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনের একজন আঞ্চলিক সামরিক কমান্ডার জানিয়েছেন, ইউক্রেনীয় বাহিনীকে অবরুদ্ধ সেভেরোদোনেতস্ক থেকে প্রত্যাহার করা হবে।
তিনি আরো বলেন, কয়েক মাস ধরে রুশ বাহিনীর ক্রমাগত আক্রমণের মুখে থাকা পূর্বাঞ্চলীয় শহরটিকে ধরে রাখার কোনো অর্থ নেই।
জেলেন্সকি বলেছেন, রাশিয়া পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে ‘ব্যাপক বিমান ও কামান হামলা’ চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, রাশিয়ার লক্ষ্য ‘ধাপে ধাপে পুরো ডনবাসকে ধ্বংস করা।’
যুদ্ধে, সেভেরোদোনেতস্ক ও লিসিচানস্ক শহরদুটোকে অবরুদ্ধ করে রাশিয়া পূর্ব ইউক্রেনে আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। যদি রাশিয়া সফল হয়, তবে ডনবাসের এই দুই শহরের নিয়ন্ত্রণ লুহানস্কের হাতে দিয়ে দেবে। লুহানস্ক ডনবাসের দুটি অঞ্চলের একটি, ইউক্রেনের শিল্পাঞ্চলের কেন্দ্রস্থল হিসেবে পরিচিত।
লুহানস্কের গভর্নর সের্হি হাইদাই এপিকে বলেছেন, রুশ বাহিনী ইউক্রেনের বাহিনীকে ঘিরে ফেলার চেষ্টায় ‘সবকিছু পুড়িয়ে ফেলছে’।
পাশের অঞ্চল দনেস্কের আঞ্চলিক গভর্নর পাভলো কিরিলেনকো রয়টার্সকে বলেছেন, রুশ এবং ইউক্রেনীয় বাহিনীর মধ্যে ক্রমবর্ধমান লড়াইয়ের মধ্যে, এখানকার বাসিন্দাদের জন্য কোনো শহরই নিরাপদ নয়।
বিশ্বের অন্যতম খাদ্য উৎপাদক ইউক্রেনে ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া আক্রমণ করার পর থেকে, দেশটি শস্য রফতানি করতে পারছে না। এর ফলে, বিশ্বব্যাপী খাদ্য সঙ্কট ক্রমাগত বাড়ছে। খাদ্যের ঘাটতি, খাদ্যের দামকে রেকর্ড পরিমাণ উচ্চতায় নিয়ে গেছে; আর লাখ লাখ মানুষকে খাদ্য সংগ্রহের সংগ্রামে ফেলে দিয়েছে।
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা
হককথা/এমউএ