নিউইয়র্ক ১০:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় ‍মুসলিম বিশ্বের নিন্দা, বিক্ষোভ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ জুন ২০২৩
  • / ৪০ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সুইডেনে মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআনের কপি পোড়ানোর এক ঘটনার প্রতিবাদে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের সুইডিশ দূতাবাসে এক দল লোক জোর করে ঢুকে পড়েছে।

বুধবার (২৮ ‍জুন) স্টকহোম শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদের বাইরে কোরআনের একটি কপিতে আগুন ধরিয়ে দেয় এক ব্যক্তি।

তার নাম সালওয়ান মোমিকা এবং তিনি সুইডেনে বসবাসরত একজন ইরাকি বলে জানানো হয়েছে।

তুরস্ক, ইরাক, ইরান, মিসর ও সৌদি আরবসহ বেশ কয়েকটি মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা করে।

ইরাকের একজন ক্ষমতাধর ধর্মীয় নেতা মোকতাদা আল-সদর এর প্রতিবাদ জানানোর ডাক দিলে বৃহস্পতিবার রাজধানী বাগদাদে সুইডিশ দূতাবাসের সামনে একদল লোক জড়ো হয়।

সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে বেশ কিছু লোককে ভবনটির প্রাঙ্গণে হাঁটতে দেখা যায়। ঘটনাস্থলে থাকা এএফপির একজন ফটোসাংবাদিক বলেছেন, কিছু লোক দূতাবাস ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়ে এবং প্রায় ১৫ মিনিট সেখানে অবস্থান করে। পরে স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনী আসার পর তারা সেখান থেকে চলে যায়।

সুইডেনের কর্তৃপক্ষ বলছে, মোমিকাকে দেশের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত আইনের আওতায় মসজিদের বাইরে প্রতিবাদ করার অনুমতি দেয়া হয়েছিল। তবে কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটার পর পুলিশ বলছে যে তারা এখন ঘৃণা উস্কে দেয়ার দায়ে ঘটনাটির তদন্ত করছে।

তুরস্ক এ ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে এ ধরনের ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড অগ্রহণযোগ্য।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান বলেছেন, ‘উদ্ধত পশ্চিমাদের আমরা একসময় শিক্ষা দেবো যে মুসলিমদের অপমান করা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নয়।’

মরক্কো ও জর্ডান এ ঘটনার প্রতিবাদে স্টকহোম থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতদের দেশে ফিরে আসতে বলেছে। মরক্কোর রাবাতে সুইডিশ রাষ্ট্রদূতকে তলবও করা হয়।

মিসর বলেছে, যখন মুসলিমরা ঈদুল আজহা পালন করছে তখন এই লজ্জাজনক ঘটনা বিশেষভাবে উস্কানিমূলক।

সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উল্ফ ক্রিস্টারসন বলেছেন, এ ঘটনা ‘আইনগতভাবে বৈধ’ হলেও অনুচিত ছিল।

সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর পরিকল্পনাকে কেন্দ্র করে এর আগে দাঙ্গা হয়েছে।

ন্যাটো সদস্য তুরস্ক এর আগে সুইডেনকে এ জোটের সদস্যপদ দেয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করেনি এবং এর একটি কারণ হিসেবে এধরনের ঘটনার কথা উল্লেখ করেছে। – সূত্র : বিবিসি

নাসরিন /হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় ‍মুসলিম বিশ্বের নিন্দা, বিক্ষোভ

প্রকাশের সময় : ০১:০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ জুন ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সুইডেনে মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআনের কপি পোড়ানোর এক ঘটনার প্রতিবাদে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের সুইডিশ দূতাবাসে এক দল লোক জোর করে ঢুকে পড়েছে।

বুধবার (২৮ ‍জুন) স্টকহোম শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদের বাইরে কোরআনের একটি কপিতে আগুন ধরিয়ে দেয় এক ব্যক্তি।

তার নাম সালওয়ান মোমিকা এবং তিনি সুইডেনে বসবাসরত একজন ইরাকি বলে জানানো হয়েছে।

তুরস্ক, ইরাক, ইরান, মিসর ও সৌদি আরবসহ বেশ কয়েকটি মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা করে।

ইরাকের একজন ক্ষমতাধর ধর্মীয় নেতা মোকতাদা আল-সদর এর প্রতিবাদ জানানোর ডাক দিলে বৃহস্পতিবার রাজধানী বাগদাদে সুইডিশ দূতাবাসের সামনে একদল লোক জড়ো হয়।

সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে বেশ কিছু লোককে ভবনটির প্রাঙ্গণে হাঁটতে দেখা যায়। ঘটনাস্থলে থাকা এএফপির একজন ফটোসাংবাদিক বলেছেন, কিছু লোক দূতাবাস ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়ে এবং প্রায় ১৫ মিনিট সেখানে অবস্থান করে। পরে স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনী আসার পর তারা সেখান থেকে চলে যায়।

সুইডেনের কর্তৃপক্ষ বলছে, মোমিকাকে দেশের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত আইনের আওতায় মসজিদের বাইরে প্রতিবাদ করার অনুমতি দেয়া হয়েছিল। তবে কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটার পর পুলিশ বলছে যে তারা এখন ঘৃণা উস্কে দেয়ার দায়ে ঘটনাটির তদন্ত করছে।

তুরস্ক এ ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে এ ধরনের ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড অগ্রহণযোগ্য।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান বলেছেন, ‘উদ্ধত পশ্চিমাদের আমরা একসময় শিক্ষা দেবো যে মুসলিমদের অপমান করা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নয়।’

মরক্কো ও জর্ডান এ ঘটনার প্রতিবাদে স্টকহোম থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতদের দেশে ফিরে আসতে বলেছে। মরক্কোর রাবাতে সুইডিশ রাষ্ট্রদূতকে তলবও করা হয়।

মিসর বলেছে, যখন মুসলিমরা ঈদুল আজহা পালন করছে তখন এই লজ্জাজনক ঘটনা বিশেষভাবে উস্কানিমূলক।

সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উল্ফ ক্রিস্টারসন বলেছেন, এ ঘটনা ‘আইনগতভাবে বৈধ’ হলেও অনুচিত ছিল।

সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর পরিকল্পনাকে কেন্দ্র করে এর আগে দাঙ্গা হয়েছে।

ন্যাটো সদস্য তুরস্ক এর আগে সুইডেনকে এ জোটের সদস্যপদ দেয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করেনি এবং এর একটি কারণ হিসেবে এধরনের ঘটনার কথা উল্লেখ করেছে। – সূত্র : বিবিসি

নাসরিন /হককথা