নিউইয়র্ক ০২:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সুইডেনের ন্যাটোতে যাওয়ার আশায় জল ঢাললেন এরদোয়ান

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:২৬:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন ২০২৩
  • / ৬৪ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন প্রতিরক্ষা জোট ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার সুইডেনের আশায় জল ঢাললেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তুরস্কের অনুমোদন পেলে আগামী মাসে ন্যাটোতে যোগ দিতে পারত সুইডেন। তবে আপাতত সেটি সম্ভব হচ্ছে না। জুলাইয়ে পশ্চিমা প্রতিরক্ষা জোটের বৈঠকের আগে সুইডেনকে অনুমোদনের বিষয়টি আবারও অস্বীকার করেছেন এরদোয়ান। ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক চাপ প্রত্যাখ্যান করে বুধবার সুইডেনের ন্যাটো সদস্যপদ লাভের অনুমোদনের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেন তিনি। খবর আল জাজিরার

পশ্চিমা কর্মকর্তারা আশা করেছিলেন, গত মাসে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে পুনঃনির্বাচনে জয়লাভের পর এরদোয়ান এই গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক ইস্যুতে তার অবস্থান পরিবর্তন করবেন। কিন্তু তুর্কি ও সুইডিশ কর্মকর্তারা আঙ্কারায় নতুন দফা আলোচনা চালালেও এরদোয়ান কোনো বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেননি। এরদোয়ানকে উদ্ধৃত করে তার অফিস জানিয়েছে, ‘সুইডেনের প্রত্যাশা আছে। এর মানে এই নয় যে, আমরা সেগুলো মেনে চলব। এই প্রত্যাশাগুলো আমরা যাতে পূরণ করতে পারি সে জন্য, প্রথমে সুইডেনকে অবশ্যই তার দায়িত্ব পালন করতে হবে।’

সুইডেন এবং তার নর্ডিক প্রতিবেশী ফিনল্যান্ড কয়েক দশক ধরে সামরিক জোট থেকে বাইরে থাকার নীতির অবসান ঘটিয়েছে এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন প্রতিরক্ষা ব্লকে যোগদানের জন্য আবেদন করে। তুরস্ক এবং আরেক নেটো সদস্য দেশ হাঙ্গেরি – উভয়ই ন্যাটোর সদস্য হওয়ার জন্য প্রথমে অনুমোদন দেয়নি। পরে ফিনল্যান্ডের বিষয়ে অনুমোদন দিলেও দুই দেশ সুইডেনের বিষয়ে আগের অবস্থানে রয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এই প্রতিরক্ষা জোটে নতুন কোনও দেশের অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে সদস্যভুক্ত সবগুলো দেশের সমর্থন প্রয়োজন।

আরোও পড়ুন । ভারতে ফেসবুক বন্ধ করার হুঁশিয়ারি কর্ণাটক হাইকোর্টের

সম্প্রতি পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর এরদোয়ানের সঙ্গে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেসময় তিনি তুরস্কের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান চুক্তির বিষয়ে কথা বলেন। এক্ষেত্রে তিনি সুইডেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার অনুমোদনের বিষয়টিকে সরাসরি এই চুক্তির সঙ্গে যুক্ত করেন। তবুও পিছু হটেননি এরদোয়ান। বাইডেন এই প্রথমবারের মতো সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদানের সাথে এফ-১৬ ফাইটার বিক্রিকে সরাসরি যুক্ত করেছেন। এছাড়া, ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ আগামী জুলাইয়ে লিথুয়ানিয়ায় জোটের শীর্ষ সম্মেলনের আগে, সুইডেনের নেটো-তে যোগদানের বিষয়ে ইস্তাম্বুলে ব্যক্তিগতভাবে এরদোয়ানের সাথে আলোচনা করেন।

বৈঠকের পর এরদোয়ান উল্লেখ করেছেন, স্টলটেনবার্গের সফর এমন এক সময়ে হলো যখন আঙ্কারা কর্তৃক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে অভিহিত একটি কুর্দি গোষ্ঠীর সমর্থকরা স্টকহোমে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করছিল। তুরস্ক সুইডেনকে এই ধরনের সমাবেশ বন্ধ করার জন্য চাপ দিচ্ছে। সুইডিশ পুলিশ গত বছরে স্টকহোমে এরদোয়ান-বিরোধী এবং নেটো-বিরোধী ধারাবাহিক ওই বিক্ষোভের অনুমতি দেওয়ার সময় স্বাধীন মতপ্রকাশ এবং সমাবেশের অধিকারের কথা উল্লেখ করেছিল। তবে, সুইডেন ইতোমধ্যে তার সন্ত্রাসবিরোধী আইন আরও কঠোর করেছে এবং তুরস্কের উদ্বেগ মেটানোর লক্ষ্যে অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

বেলী/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

সুইডেনের ন্যাটোতে যাওয়ার আশায় জল ঢাললেন এরদোয়ান

প্রকাশের সময় : ০৩:২৬:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন প্রতিরক্ষা জোট ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার সুইডেনের আশায় জল ঢাললেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তুরস্কের অনুমোদন পেলে আগামী মাসে ন্যাটোতে যোগ দিতে পারত সুইডেন। তবে আপাতত সেটি সম্ভব হচ্ছে না। জুলাইয়ে পশ্চিমা প্রতিরক্ষা জোটের বৈঠকের আগে সুইডেনকে অনুমোদনের বিষয়টি আবারও অস্বীকার করেছেন এরদোয়ান। ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক চাপ প্রত্যাখ্যান করে বুধবার সুইডেনের ন্যাটো সদস্যপদ লাভের অনুমোদনের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেন তিনি। খবর আল জাজিরার

পশ্চিমা কর্মকর্তারা আশা করেছিলেন, গত মাসে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে পুনঃনির্বাচনে জয়লাভের পর এরদোয়ান এই গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক ইস্যুতে তার অবস্থান পরিবর্তন করবেন। কিন্তু তুর্কি ও সুইডিশ কর্মকর্তারা আঙ্কারায় নতুন দফা আলোচনা চালালেও এরদোয়ান কোনো বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেননি। এরদোয়ানকে উদ্ধৃত করে তার অফিস জানিয়েছে, ‘সুইডেনের প্রত্যাশা আছে। এর মানে এই নয় যে, আমরা সেগুলো মেনে চলব। এই প্রত্যাশাগুলো আমরা যাতে পূরণ করতে পারি সে জন্য, প্রথমে সুইডেনকে অবশ্যই তার দায়িত্ব পালন করতে হবে।’

সুইডেন এবং তার নর্ডিক প্রতিবেশী ফিনল্যান্ড কয়েক দশক ধরে সামরিক জোট থেকে বাইরে থাকার নীতির অবসান ঘটিয়েছে এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন প্রতিরক্ষা ব্লকে যোগদানের জন্য আবেদন করে। তুরস্ক এবং আরেক নেটো সদস্য দেশ হাঙ্গেরি – উভয়ই ন্যাটোর সদস্য হওয়ার জন্য প্রথমে অনুমোদন দেয়নি। পরে ফিনল্যান্ডের বিষয়ে অনুমোদন দিলেও দুই দেশ সুইডেনের বিষয়ে আগের অবস্থানে রয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এই প্রতিরক্ষা জোটে নতুন কোনও দেশের অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে সদস্যভুক্ত সবগুলো দেশের সমর্থন প্রয়োজন।

আরোও পড়ুন । ভারতে ফেসবুক বন্ধ করার হুঁশিয়ারি কর্ণাটক হাইকোর্টের

সম্প্রতি পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর এরদোয়ানের সঙ্গে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেসময় তিনি তুরস্কের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান চুক্তির বিষয়ে কথা বলেন। এক্ষেত্রে তিনি সুইডেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার অনুমোদনের বিষয়টিকে সরাসরি এই চুক্তির সঙ্গে যুক্ত করেন। তবুও পিছু হটেননি এরদোয়ান। বাইডেন এই প্রথমবারের মতো সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদানের সাথে এফ-১৬ ফাইটার বিক্রিকে সরাসরি যুক্ত করেছেন। এছাড়া, ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ আগামী জুলাইয়ে লিথুয়ানিয়ায় জোটের শীর্ষ সম্মেলনের আগে, সুইডেনের নেটো-তে যোগদানের বিষয়ে ইস্তাম্বুলে ব্যক্তিগতভাবে এরদোয়ানের সাথে আলোচনা করেন।

বৈঠকের পর এরদোয়ান উল্লেখ করেছেন, স্টলটেনবার্গের সফর এমন এক সময়ে হলো যখন আঙ্কারা কর্তৃক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে অভিহিত একটি কুর্দি গোষ্ঠীর সমর্থকরা স্টকহোমে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করছিল। তুরস্ক সুইডেনকে এই ধরনের সমাবেশ বন্ধ করার জন্য চাপ দিচ্ছে। সুইডিশ পুলিশ গত বছরে স্টকহোমে এরদোয়ান-বিরোধী এবং নেটো-বিরোধী ধারাবাহিক ওই বিক্ষোভের অনুমতি দেওয়ার সময় স্বাধীন মতপ্রকাশ এবং সমাবেশের অধিকারের কথা উল্লেখ করেছিল। তবে, সুইডেন ইতোমধ্যে তার সন্ত্রাসবিরোধী আইন আরও কঠোর করেছে এবং তুরস্কের উদ্বেগ মেটানোর লক্ষ্যে অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

বেলী/হককথা