সিনানের সমর্থন এরদোয়ানের জন্য কতটা উপকারী হবে?

- প্রকাশের সময় : ০৩:৪৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩
- / ৫৬ বার পঠিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম পর্বে তৃতীয় হওয়া সিনান ওগান দ্বিতীয় পর্বের ভোটের আগে ক্ষমতাসীন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত ধাপে সিনানকে কিংমেকার হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে। সোমবার এরদোয়ানের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করেন সিনান। এতে ২৮ মের নির্বাচনে এরদোয়ানের জয়ের সম্ভাবনা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। অপরদিকে কেমাল কিলিচদারুগ্লুর জন্য জয় আরও চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিল।
আরোও পড়ুন । সীমান্তের ভেতরে সশস্ত্র দলের মুখোমুখি রাশিয়া
কট্টর জাতীয়তাবাদী সিনান ওগান নির্বাচনের আগে খুব বেশি মানুষের কাছে পরিচিত ছিলেন না। তবে ১৪ মে প্রথম ধাপের নির্বাচনে ৫.১৭ শতাংশ ভোট পেয়ে সবাইকে চমকে দেন তিনি। এছাড়া চূড়ান্ত ধাপের নির্বাচনে তিনি কিংমেকারে আবির্ভূত হন। সোমবার আঙ্কারায় এক সংবাদ সম্মেলনে সিনান ওগান বলেন, ‘আমি ঘোষণা করছি, দ্বিতীয় পর্বে আমরা পিপলস অ্যালায়েন্সের রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকেই সমর্থন দিবো।’ দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে এরদোগানকে সমর্থন করার জন্য নিজের সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শেষ সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে আমরা সব ধরনের পরামর্শ করেছি। আমাদের দেশ ও জাতির জন্য এমনটা ভালো হবে বলেই আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দ্বিতীয় ধাপে গড়ানোর পর তৃতীয় অবস্থানে থাকা সিনান ওগান কাকে সমর্থন দিচ্ছেন তা নিয়ে চলছিল নানা জল্পনা-কল্পনা। অবশেষ নির্বাচনে আগে আগে সব জল্পনার অবসান ঘটালেন ওগান নিজেই। এর আগে গত শুক্রবার এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেন সিনান। ঘণ্টাব্যাপী ওই বৈঠকে কী নিয়ে কথা হয়েছিল, তা বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়নি। সিনানের ঘোষণার মধ্যদিয়ে এরদোয়ানের অবস্থান নিশ্চিতভাবেই আরও শক্তিশালী হলো। সোমবার রাতে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম টিআরটিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এরদোয়ান তাকে সমর্থন দেওয়ায় ওগানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এবারের নির্বাচনে অনেক ভোটার এরদোয়ানের নেয়া বিভিন্ন নীতির বিরোধী ছিলেন। তবে তারা মধ্যপন্থী নেতা কিলিচদারুগ্লুর পক্ষেও দাঁড়াননি। এমন ভোটাররাই মূলত ১৪ মে ওগানকে ভোট দিয়েছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, সিনান ওগান প্রথম ধাপে যে ভোট পেয়েছেন, তার সমর্থনের পরও আসন্ন চূড়ান্ত ধাপের নির্বাচনে সব ভোট যে এরদোয়ান পাবেন এমনটি মনে হচ্ছে না। সিনানের অনেক ভোট যেতে পারে কিলিচদারুগ্লুর পক্ষেও।
সিনান মূলত এটিএ অ্যালায়েন্সের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ছিলেন। এই জোটের প্রধান দল ভিক্টোরি পার্টি। এরদোয়ানকে সমর্থন দেয়ার ঘোষণা সিনানের মুখ থেকে এলেও ভিক্টোরি পার্টি এখনও কিছু জানায়নি। প্রথম পর্বের ভোটে প্রেসিডেন্ট হতে না পারলেও এরদোয়ানের দলের নেতৃত্বাধীন জোটই পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে, যা দুই দশকের ক্ষমতাকে আরও সুসংহত করতে চাওয়া ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টকে দ্বিতীয় পর্বের ভোটের আগে বাড়তি সুবিধা দেবে বলেই মনে হচ্ছে। তুরস্কের নির্বাচনী ব্যবস্থা অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে একজন প্রার্থীকে ৫০ শতাংশ ভোট পেতে হয়। প্রথম ধাপের নির্বাচনে কেউই প্রয়োজনীয় ভোট না পাওয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন রানঅফে গড়ায়। আগামী ২৮ মে দেশটিতে দ্বিতীয় দফার ভোট অনুষ্ঠিত হবে। সূত্র : ঢাকা মেইল
বেলী/হককথা