নিউইয়র্ক ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সরকারি দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করা হলো থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৫৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ অগাস্ট ২০২২
  • / ৬৩ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচাকে সব ধরনের সরকারি দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করেছেন। খবর রয়টার্সের।থাইল্যান্ডের সংবিধান অনুযায়ী একজন প্রধানমন্ত্রী সব মিলিয়ে আট বছর শাসন করতে পারবেন। প্রায়ুথ চান-ওচার বিরোধীদের দাবি তার আট বছরের মেয়াদ ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে।

প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচার আট বছর দেশ শাসনের মেয়াদের আইনগত বাধ্যতা পর্যালোচনা করার জন্য একটি আবেদনের শুনানির সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বুধবার তাঁকে বরখাস্ত করা হয়।খবরে বলা হয়, বিরোধী দলগুলোর একটি আবেদনের প্রতিক্রিয়ায় সাংবিধানিক আদালত এ পদক্ষেপ নেন।

এখন উপ-প্রধানমন্ত্রী প্রবিত ওংসুওয়ান অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্যাংকক পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, শুনানিতে ৯ জন বিচারকের মধ্যে ৫ জন বিচারক তাকে দায়িত্ব থেকে সরানোর পক্ষে ভোট দেন। আর প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ভোট দেন ৪ জন বিচারক।

এদিকে ২০১৪ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নারী প্রধানমন্ত্রী ইংলাক চিনাওয়াত্রাকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতা দখল করেন সাবেক সেনা প্রধান প্রায়ুথ চান-ওচা। জান্তা প্রধান হিসেবে তিনি পাঁচবছর থাইল্যান্ডের সরকার প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

একটি জরিপে দেখা গেছে থাইল্যান্ডের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ চান প্রায়ুথ চান-ওচাকে যেন সরিয়ে দেওয়া হয়। তার অধীনে গত ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছে থাইল্যান্ডের অর্থনীতি। সূত্র: রয়টার্স
হককথা/এমউএ

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

সরকারি দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করা হলো থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে

প্রকাশের সময় : ০৮:৫৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ অগাস্ট ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচাকে সব ধরনের সরকারি দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করেছেন। খবর রয়টার্সের।থাইল্যান্ডের সংবিধান অনুযায়ী একজন প্রধানমন্ত্রী সব মিলিয়ে আট বছর শাসন করতে পারবেন। প্রায়ুথ চান-ওচার বিরোধীদের দাবি তার আট বছরের মেয়াদ ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে।

প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচার আট বছর দেশ শাসনের মেয়াদের আইনগত বাধ্যতা পর্যালোচনা করার জন্য একটি আবেদনের শুনানির সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বুধবার তাঁকে বরখাস্ত করা হয়।খবরে বলা হয়, বিরোধী দলগুলোর একটি আবেদনের প্রতিক্রিয়ায় সাংবিধানিক আদালত এ পদক্ষেপ নেন।

এখন উপ-প্রধানমন্ত্রী প্রবিত ওংসুওয়ান অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্যাংকক পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, শুনানিতে ৯ জন বিচারকের মধ্যে ৫ জন বিচারক তাকে দায়িত্ব থেকে সরানোর পক্ষে ভোট দেন। আর প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ভোট দেন ৪ জন বিচারক।

এদিকে ২০১৪ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নারী প্রধানমন্ত্রী ইংলাক চিনাওয়াত্রাকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতা দখল করেন সাবেক সেনা প্রধান প্রায়ুথ চান-ওচা। জান্তা প্রধান হিসেবে তিনি পাঁচবছর থাইল্যান্ডের সরকার প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

একটি জরিপে দেখা গেছে থাইল্যান্ডের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ চান প্রায়ুথ চান-ওচাকে যেন সরিয়ে দেওয়া হয়। তার অধীনে গত ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছে থাইল্যান্ডের অর্থনীতি। সূত্র: রয়টার্স
হককথা/এমউএ