নিউইয়র্ক ০২:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সন্ধ্যায় আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন ২০২৩
  • / ৪৩ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গুজরাটে উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় ৭৪ হাজার লোককে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’- এর কারণে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আজ সন্ধ্যায় ভারতের কুচ জেলায় ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে। রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় কমলা ও হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। খবর এনডিটিভি। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) অনুসারে, বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়টি গুজরাট উপকূল থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। এটি বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে গুজরাটের সৌরাষ্ট্র ও কুচ এবং পাকিস্তানের করাচি উপকূলের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে। এটি খুব তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে।

`বিপর্যয়’ সর্বোচ্চ ১১৫-১২৫ কিমি ঘণ্টা বাতাসের গতিবেগে আঘাত হানতে পারে। তবে বিকেলে বাতাসের গতিবেগ বাড়তে পারে বলেও জানানো হয়েছে। আগামীকাল পর্যন্ত মাছ ধরার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে, বন্দর বন্ধ রয়েছে কারণ সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠেছে এবং নিকটবর্তী ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এই অঞ্চলে অত্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত এবং প্রবল বাতাস রয়েছে। পশ্চিম রেলওয়ে জানায়, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ট্রেন পরিচালনার জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ৭৬ টি ট্রেন বন্ধ রাখা হয়েছে। গুজরাটের দুটি সবচেয়ে বিখ্যাত মন্দির – দেবভূমি দ্বারকার দ্বারকাধীশ মন্দির এবং গির সোমনাথ জেলার সোমনাথ মন্দির – বৃহস্পতিবার ভক্তদের জন্য বন্ধ থাকবে।

আইএমডি বলেছে, ঘূর্ণিঝড় এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে গুজরাট উপকূলে বৃষ্টির তীব্রতা বাড়বে। পোরবন্দর, রাজকোট, মরবি, জুনাগড়, সৌরাষ্ট্র এবং উত্তর গুজরাটের অবশিষ্ট জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) ১৮টি, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এসডিআরএফ) ১২টি, রাজ্য সড়ক ও ভবন বিভাগের ১১৫টি এবং রাজ্য বিদ্যুৎ বিভাগের ৩৯৭টি দল উপকূলীয় জেলাগুলোতে মোতায়েন করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় মোকাবিলায় ভারতের মতো বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে পাকিস্তানও।

আরোও পড়ুন। প্রবল শক্তি নিয়ে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ 

দেশটির জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী শেরি রেহমান বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, বৃহস্পতিবার ঝড়টি সিন্ধ প্রদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে। এর জন্য এখন পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকাগুলো থেকে ৬৬ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের নামকরণ করেছে বাংলাদেশ। মূলত বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়গুলোর নামকরণ করে এ অঞ্চলের ১৩টি দেশ।
সুমি/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

সন্ধ্যায় আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’

প্রকাশের সময় : ০৩:০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গুজরাটে উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় ৭৪ হাজার লোককে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’- এর কারণে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আজ সন্ধ্যায় ভারতের কুচ জেলায় ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে। রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় কমলা ও হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। খবর এনডিটিভি। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) অনুসারে, বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়টি গুজরাট উপকূল থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। এটি বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে গুজরাটের সৌরাষ্ট্র ও কুচ এবং পাকিস্তানের করাচি উপকূলের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে। এটি খুব তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে।

`বিপর্যয়’ সর্বোচ্চ ১১৫-১২৫ কিমি ঘণ্টা বাতাসের গতিবেগে আঘাত হানতে পারে। তবে বিকেলে বাতাসের গতিবেগ বাড়তে পারে বলেও জানানো হয়েছে। আগামীকাল পর্যন্ত মাছ ধরার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে, বন্দর বন্ধ রয়েছে কারণ সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠেছে এবং নিকটবর্তী ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এই অঞ্চলে অত্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত এবং প্রবল বাতাস রয়েছে। পশ্চিম রেলওয়ে জানায়, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ট্রেন পরিচালনার জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ৭৬ টি ট্রেন বন্ধ রাখা হয়েছে। গুজরাটের দুটি সবচেয়ে বিখ্যাত মন্দির – দেবভূমি দ্বারকার দ্বারকাধীশ মন্দির এবং গির সোমনাথ জেলার সোমনাথ মন্দির – বৃহস্পতিবার ভক্তদের জন্য বন্ধ থাকবে।

আইএমডি বলেছে, ঘূর্ণিঝড় এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে গুজরাট উপকূলে বৃষ্টির তীব্রতা বাড়বে। পোরবন্দর, রাজকোট, মরবি, জুনাগড়, সৌরাষ্ট্র এবং উত্তর গুজরাটের অবশিষ্ট জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) ১৮টি, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এসডিআরএফ) ১২টি, রাজ্য সড়ক ও ভবন বিভাগের ১১৫টি এবং রাজ্য বিদ্যুৎ বিভাগের ৩৯৭টি দল উপকূলীয় জেলাগুলোতে মোতায়েন করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় মোকাবিলায় ভারতের মতো বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে পাকিস্তানও।

আরোও পড়ুন। প্রবল শক্তি নিয়ে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ 

দেশটির জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী শেরি রেহমান বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, বৃহস্পতিবার ঝড়টি সিন্ধ প্রদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে। এর জন্য এখন পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকাগুলো থেকে ৬৬ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের নামকরণ করেছে বাংলাদেশ। মূলত বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়গুলোর নামকরণ করে এ অঞ্চলের ১৩টি দেশ।
সুমি/হককথা