নিউইয়র্ক ০২:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সন্তান চায় না চীনের তরুণ প্রজন্ম

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:২১:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪২ বার পঠিত

চীনে অধিক জনসংখ্যাকে একসময় সমস্যা হিসেবে দেখা হতো। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে দেশটি এক সন্তান নীতি গ্রহণ করেছিল। তবে গত সপ্তাহে সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ছয় দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো দেশটির জনসংখ্যা কমেছে। ফলে এখন জনসংখ্যা বাড়াতে চায় চীন। এজন্য ২০১৬ সালে সরকার ঘোষণা করেছিল, পরিবারগুলো চাইলে দুটি সন্তান নিতে পারবে।

গত বছরে পরিবারগুলোকে ৩ সন্তান নেওয়ারও অনুমতি দেওয়া হয়। তবে দেশটির জনগণের মধ্যে সন্তান নেওয়ার বিষয়ে দারুণ অনীহা দেখা যায়। চীনের শহরাঞ্চলের তরুণীদের কাছে সন্তান নেওয়ার সম্ভাবনার কথা জানতে চাইলে তাঁরা এ বিষয়ে আগ্রহী নন বলে জানান। ২৬ বছর বয়সী গবেষক কংকং বলেন, সন্তানদের একটি সুন্দর জীবন দিতে অনেক টাকার প্রয়োজন। তারা স্কুলে যা শিখবে তা শুধু প্রচার, তাই আমি তাঁদের আন্তর্জাতিক স্কুলে বা বিদেশে পাঠাতে চাইব। কিন্তু এটা আমার পক্ষে বহন করা সম্ভব না। এজন্য সন্তান না নেওয়ার বিষয়ে প্রতিজ্ঞা করেছেন তিনি।

গত বছর চীনে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল- যেখানে দেখা গেছে, এক যুবককে একটি কোয়ারেন্টাইন শিবিরে নিয়ে যেতে চাইছে পুলিশ। যুবকটি সেখানে যেতে অস্বীকার করে। এ সময় পুলিশ তাঁকে সতর্ক করে বলে, তাঁর শাস্তি তাঁর তিন প্রজন্মকে ভোগ করতে হবে। তবে তিনি শান্তভাবে উত্তর দিলেন, আমিই শেষ প্রজন্ম, আপনাকে ধন্যবাদ।

নারীরা যে কারণে সন্তান নিতে চান না, সে মূল কারণটার জন্য তাঁরা দায়ী নন; বরং সেটার জন্য দায়ী সন্তান লালনপালনে সমাজ এবং পুরুষের দায়িত্ব নেওয়ার ব্যর্থতা। যেসব নারী সন্তান জন্ম দেন, তাঁদের জীবনযাপনের মান ও আধ্যাত্মিক জীবনবোধ মারাত্মকভাবে কমে যায়। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

সন্তান চায় না চীনের তরুণ প্রজন্ম

প্রকাশের সময় : ১২:২১:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৩

চীনে অধিক জনসংখ্যাকে একসময় সমস্যা হিসেবে দেখা হতো। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে দেশটি এক সন্তান নীতি গ্রহণ করেছিল। তবে গত সপ্তাহে সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ছয় দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো দেশটির জনসংখ্যা কমেছে। ফলে এখন জনসংখ্যা বাড়াতে চায় চীন। এজন্য ২০১৬ সালে সরকার ঘোষণা করেছিল, পরিবারগুলো চাইলে দুটি সন্তান নিতে পারবে।

গত বছরে পরিবারগুলোকে ৩ সন্তান নেওয়ারও অনুমতি দেওয়া হয়। তবে দেশটির জনগণের মধ্যে সন্তান নেওয়ার বিষয়ে দারুণ অনীহা দেখা যায়। চীনের শহরাঞ্চলের তরুণীদের কাছে সন্তান নেওয়ার সম্ভাবনার কথা জানতে চাইলে তাঁরা এ বিষয়ে আগ্রহী নন বলে জানান। ২৬ বছর বয়সী গবেষক কংকং বলেন, সন্তানদের একটি সুন্দর জীবন দিতে অনেক টাকার প্রয়োজন। তারা স্কুলে যা শিখবে তা শুধু প্রচার, তাই আমি তাঁদের আন্তর্জাতিক স্কুলে বা বিদেশে পাঠাতে চাইব। কিন্তু এটা আমার পক্ষে বহন করা সম্ভব না। এজন্য সন্তান না নেওয়ার বিষয়ে প্রতিজ্ঞা করেছেন তিনি।

গত বছর চীনে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল- যেখানে দেখা গেছে, এক যুবককে একটি কোয়ারেন্টাইন শিবিরে নিয়ে যেতে চাইছে পুলিশ। যুবকটি সেখানে যেতে অস্বীকার করে। এ সময় পুলিশ তাঁকে সতর্ক করে বলে, তাঁর শাস্তি তাঁর তিন প্রজন্মকে ভোগ করতে হবে। তবে তিনি শান্তভাবে উত্তর দিলেন, আমিই শেষ প্রজন্ম, আপনাকে ধন্যবাদ।

নারীরা যে কারণে সন্তান নিতে চান না, সে মূল কারণটার জন্য তাঁরা দায়ী নন; বরং সেটার জন্য দায়ী সন্তান লালনপালনে সমাজ এবং পুরুষের দায়িত্ব নেওয়ার ব্যর্থতা। যেসব নারী সন্তান জন্ম দেন, তাঁদের জীবনযাপনের মান ও আধ্যাত্মিক জীবনবোধ মারাত্মকভাবে কমে যায়। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।