নিউইয়র্ক ০৫:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

শস্যচুক্তি আর নবায়ন করেনি রাশিয়া

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:২২:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩
  • / ৭১ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় গত বছর ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যে শস্য চুক্তি হয়েছিল, তা থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছে রাশিয়া। সোমবার রাজধানী মস্কোতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের মুখপাত্র ও প্রেস সেক্রেটারি দিমিত্রি পেসকভ এই ঘোষণা দিয়েছেন।

সোমবারের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে পেসকভ বলেন, ‘শস্য চুক্তি এখন আর নেই। রাশিয়া এই চুক্তির শর্তগুলো আর মেনে না চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

চলতি মাসের শুরু থেকেই অবশ্য রাশিয়া একাধিকবার শস্যচুক্তি থেকে সরে আসার বার্তা দিয়ে আসছিল, তবে এই চুক্তির অপর দুই অংশীদার তুরস্ক ও জাতিসংঘ এই চুক্তির মেয়াদ আরও এক দফা বাড়ানোর ব্যাপারে আশাবাদী ছিল।

সোমবার ছিল এই চুক্তির শেষ দিন; আর এই দিনই এই চুক্তি থেকে সরে দাঁড়াল রাশিয়া।

২০২২ সালে রুশ বাহিনী ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে কৃষ্ণসাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ গম রপ্তানিকারী দেশ ইউক্রেনের শস্যগুদামগুলোতে আটকা পড়ে লাখ লাখ টন গম, ভুট্টা, ও সূর্যমুখীর বীজ।

এতে ইউরোপ ও এশিয়ার বাজারগুলোতে গম ও ভোজ্যতেলের যোগান সংখট শুরু হয়, ফলে বিশ্বজুড়ে হু হু করে বাড়তে থাকে খাদ্যশস্য ও ভোজ্যতেলের দাম। এই পরিস্থিতিতে ২০২২ সালের আগস্টে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। গত বছর আগস্টে চুক্তি সম্পাদনের পর থেকে এ পর্যন্ত কয়েক দফা বাড়ানো হয়েছে সেটির মেয়াদ। সর্বশেষ মেয়াদ বৃদ্ধির সময়সূচি অনুযায়ী, ১৭ জুলাই ছিল এই চুক্তির শেষ দিন।

চুক্তিতে ইউক্রেনের শর্ত ছিল— কৃষ্ণ সাগরের জাহাজ চলাচলের পথ থেকে সব মাইন অপসারণ করতে হবে এবং শস্যবাহী বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে নিরাপত্তা দিতে হবে।

অন্যদিকে রাশিয়ার শর্ত ছিল, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার শস্য ও কৃষিপণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোীয় মিত্ররা যেসব আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সেসব তুলে নিতে হবে।

কিন্তু চুক্তি সম্পাদনের পর দেখা যায়, শর্ত অনুযায়ী রাশিয়া শস্যবাহী জাহাজগুলোকে নিরাপত্তা দিলেও রাশিয়ার শস্য ও কৃষিপণ্যের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেনি পশ্চিমা বিশ্ব।

এই ব্যাপারটিতে যে রাশিয়া খুবই ক্ষুব্ধ— তা গত কয়েক মাস ধরেই জানান দিচ্ছে মস্কো। গত ১৮ জুন রুশ দৈনিক ইজভেস্তিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পেসকভ বলেছিলেন, ‘এই চুক্তির পেছনে আমাদের কিছু শর্ত ছিল। দুঃখজনক হলেও সত্য— সেসবের কোনোটিই মানা হয়নি। ভবিষ্যতে কী হবে— তা এখন বলা খুবই কঠিন; তবে আমরা বলতে পারি— মস্কো আর এই চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে আগ্রহী নয়। আমরা অনেক ভদ্রতা দেখিয়েছি, অনেক ছাড় দিয়েছি…কিন্তু আর নয়।’
– সূত্র : ঢাকা পোস্ট

নাসরিন /হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

শস্যচুক্তি আর নবায়ন করেনি রাশিয়া

প্রকাশের সময় : ০৬:২২:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় গত বছর ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যে শস্য চুক্তি হয়েছিল, তা থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছে রাশিয়া। সোমবার রাজধানী মস্কোতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের মুখপাত্র ও প্রেস সেক্রেটারি দিমিত্রি পেসকভ এই ঘোষণা দিয়েছেন।

সোমবারের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে পেসকভ বলেন, ‘শস্য চুক্তি এখন আর নেই। রাশিয়া এই চুক্তির শর্তগুলো আর মেনে না চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

চলতি মাসের শুরু থেকেই অবশ্য রাশিয়া একাধিকবার শস্যচুক্তি থেকে সরে আসার বার্তা দিয়ে আসছিল, তবে এই চুক্তির অপর দুই অংশীদার তুরস্ক ও জাতিসংঘ এই চুক্তির মেয়াদ আরও এক দফা বাড়ানোর ব্যাপারে আশাবাদী ছিল।

সোমবার ছিল এই চুক্তির শেষ দিন; আর এই দিনই এই চুক্তি থেকে সরে দাঁড়াল রাশিয়া।

২০২২ সালে রুশ বাহিনী ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে কৃষ্ণসাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ গম রপ্তানিকারী দেশ ইউক্রেনের শস্যগুদামগুলোতে আটকা পড়ে লাখ লাখ টন গম, ভুট্টা, ও সূর্যমুখীর বীজ।

এতে ইউরোপ ও এশিয়ার বাজারগুলোতে গম ও ভোজ্যতেলের যোগান সংখট শুরু হয়, ফলে বিশ্বজুড়ে হু হু করে বাড়তে থাকে খাদ্যশস্য ও ভোজ্যতেলের দাম। এই পরিস্থিতিতে ২০২২ সালের আগস্টে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। গত বছর আগস্টে চুক্তি সম্পাদনের পর থেকে এ পর্যন্ত কয়েক দফা বাড়ানো হয়েছে সেটির মেয়াদ। সর্বশেষ মেয়াদ বৃদ্ধির সময়সূচি অনুযায়ী, ১৭ জুলাই ছিল এই চুক্তির শেষ দিন।

চুক্তিতে ইউক্রেনের শর্ত ছিল— কৃষ্ণ সাগরের জাহাজ চলাচলের পথ থেকে সব মাইন অপসারণ করতে হবে এবং শস্যবাহী বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে নিরাপত্তা দিতে হবে।

অন্যদিকে রাশিয়ার শর্ত ছিল, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার শস্য ও কৃষিপণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোীয় মিত্ররা যেসব আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সেসব তুলে নিতে হবে।

কিন্তু চুক্তি সম্পাদনের পর দেখা যায়, শর্ত অনুযায়ী রাশিয়া শস্যবাহী জাহাজগুলোকে নিরাপত্তা দিলেও রাশিয়ার শস্য ও কৃষিপণ্যের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেনি পশ্চিমা বিশ্ব।

এই ব্যাপারটিতে যে রাশিয়া খুবই ক্ষুব্ধ— তা গত কয়েক মাস ধরেই জানান দিচ্ছে মস্কো। গত ১৮ জুন রুশ দৈনিক ইজভেস্তিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পেসকভ বলেছিলেন, ‘এই চুক্তির পেছনে আমাদের কিছু শর্ত ছিল। দুঃখজনক হলেও সত্য— সেসবের কোনোটিই মানা হয়নি। ভবিষ্যতে কী হবে— তা এখন বলা খুবই কঠিন; তবে আমরা বলতে পারি— মস্কো আর এই চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে আগ্রহী নয়। আমরা অনেক ভদ্রতা দেখিয়েছি, অনেক ছাড় দিয়েছি…কিন্তু আর নয়।’
– সূত্র : ঢাকা পোস্ট

নাসরিন /হককথা