নিউইয়র্ক ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

শঙ্কা আর উদ্বেগ নিয়ে নতুন বছর শুরু

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:০৪:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ জানুয়ারী ২০২২
  • / ৬২ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিগত বছরে নানা রূপে বিশ্বজুড়ে তাণ্ডব চালিয়েছে করোনা ভাইরাস। বছরের মাঝামাঝি ডেল্টা রূপ নিয়ে করোনা সারা বিশ্বে লাখ লাখ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়।

বছরের শেষটাও ছিল উদ্বেগের, আশঙ্কার। নভেম্বরে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে। দ্রুতই এটি বিশ্বের বহু দেশে পৌঁছে যায়।

ইতোমধ্যে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে ওমিক্রন সবচেয়ে প্রভাববিস্তারকারী ধরন। নতুন বছর ২০২২ সালে কী করোনা ঠেকানো সম্ভব হবে, নাকি এটি আরও ভয়ানক হয়ে উঠবে?

এ রকম নানা শঙ্কা আর উদ্বেগ নিয়ে শুরু হয়েছে বছরটি। তবে আশার পালে হাওয়া দিচ্ছে করোনা প্রতিরোধী ওষুধ ও টিকা।

করোনা ঠেকাতে গত বছর বিশ্বে ব্যাপক হারে টিকাকরণ হয়েছে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার লক্ষ্য পূরণ হয়নি, তবুও কোটি কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনা গেছে।

করোনার মুখে খাওয়ার ওষুধও বিশ্বের নানা দেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশেও মিলছে এ ওষুধ। এসেছে করোনার নতুন কিছু মুখে খাওয়ার ওষুধও।

এসব কারণে আশা জাগছে, করোনা এ বছর এতোটা প্রাণঘাতি হয়ে উঠতে পারবে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) প্রধান ড. টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুর বক্তব্য সেই আশায় আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে।

হু এর প্রধান মনে করেন, ২০২২ সালে বিশ্ব করোনা মহামারিকে পরাজিত করতে সক্ষম হবে। তবে সব দেশকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে বলেও তিনি মনে করছেন।

একইসঙ্গে ড. টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসু ‘সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদ’ ও ‘ভ্যাকসিন মজুত’ করার বিরুদ্ধে সব দেশকে সতর্ক করেছেন।

দুই বছর আগে চীনে প্রথম শনাক্ত হয় করোনা ভাইরাস, যা কোভিড-১৯ ভাইরাস নামেও পরিচিত। ইতোমধ্যে এ ভাইরাস বিশ্বের ৫৪ লাখ ৫২ হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে।

এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানী ঘটেছে ইউরোপ ও আমেরিকায়। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে পুরো করোনা মহামারি পর্বে প্রাণ গেছে ৮ লাখ ৪৬ হাজার ৯০৫ জনের।

করোনা মহামারি নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে বিশ্বে উদযাপিত হয়েছে ইংরেজি নববর্ষ। কিন্তু তাতেও ছিল নানা নির্দেশনা, যদিও অনেক দেশে তা তেমন মানা হয়নি।

গত বছরটিতেও করোনা বিশ্বজুড়ে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত করেছে। অনেক দেশে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়; মাস্ক ছাড়া বের হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়; আক্রান্তদের জন্য ছিল কোয়ারেন্টিনের মতো বন্দীত্ব।

করোনা ভাইরাস চলে যাবে, নাকি তাকে নিয়েই চলতে হবে- এ ধরনের একটি প্রশ্ন সতত থেকে যাচ্ছে? করোনার অমানিশা কাটুক; অবাধ ও সাবলীল জীবন ফিরে পাক মানুষ- নতুন বছরে এটাই থাকবে প্রত্যাশা।খবর বাংলাদেশ জার্নাল

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

শঙ্কা আর উদ্বেগ নিয়ে নতুন বছর শুরু

প্রকাশের সময় : ০৭:০৪:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ জানুয়ারী ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিগত বছরে নানা রূপে বিশ্বজুড়ে তাণ্ডব চালিয়েছে করোনা ভাইরাস। বছরের মাঝামাঝি ডেল্টা রূপ নিয়ে করোনা সারা বিশ্বে লাখ লাখ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়।

বছরের শেষটাও ছিল উদ্বেগের, আশঙ্কার। নভেম্বরে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে। দ্রুতই এটি বিশ্বের বহু দেশে পৌঁছে যায়।

ইতোমধ্যে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে ওমিক্রন সবচেয়ে প্রভাববিস্তারকারী ধরন। নতুন বছর ২০২২ সালে কী করোনা ঠেকানো সম্ভব হবে, নাকি এটি আরও ভয়ানক হয়ে উঠবে?

এ রকম নানা শঙ্কা আর উদ্বেগ নিয়ে শুরু হয়েছে বছরটি। তবে আশার পালে হাওয়া দিচ্ছে করোনা প্রতিরোধী ওষুধ ও টিকা।

করোনা ঠেকাতে গত বছর বিশ্বে ব্যাপক হারে টিকাকরণ হয়েছে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার লক্ষ্য পূরণ হয়নি, তবুও কোটি কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনা গেছে।

করোনার মুখে খাওয়ার ওষুধও বিশ্বের নানা দেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশেও মিলছে এ ওষুধ। এসেছে করোনার নতুন কিছু মুখে খাওয়ার ওষুধও।

এসব কারণে আশা জাগছে, করোনা এ বছর এতোটা প্রাণঘাতি হয়ে উঠতে পারবে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) প্রধান ড. টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুর বক্তব্য সেই আশায় আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে।

হু এর প্রধান মনে করেন, ২০২২ সালে বিশ্ব করোনা মহামারিকে পরাজিত করতে সক্ষম হবে। তবে সব দেশকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে বলেও তিনি মনে করছেন।

একইসঙ্গে ড. টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসু ‘সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদ’ ও ‘ভ্যাকসিন মজুত’ করার বিরুদ্ধে সব দেশকে সতর্ক করেছেন।

দুই বছর আগে চীনে প্রথম শনাক্ত হয় করোনা ভাইরাস, যা কোভিড-১৯ ভাইরাস নামেও পরিচিত। ইতোমধ্যে এ ভাইরাস বিশ্বের ৫৪ লাখ ৫২ হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে।

এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানী ঘটেছে ইউরোপ ও আমেরিকায়। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে পুরো করোনা মহামারি পর্বে প্রাণ গেছে ৮ লাখ ৪৬ হাজার ৯০৫ জনের।

করোনা মহামারি নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে বিশ্বে উদযাপিত হয়েছে ইংরেজি নববর্ষ। কিন্তু তাতেও ছিল নানা নির্দেশনা, যদিও অনেক দেশে তা তেমন মানা হয়নি।

গত বছরটিতেও করোনা বিশ্বজুড়ে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত করেছে। অনেক দেশে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়; মাস্ক ছাড়া বের হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়; আক্রান্তদের জন্য ছিল কোয়ারেন্টিনের মতো বন্দীত্ব।

করোনা ভাইরাস চলে যাবে, নাকি তাকে নিয়েই চলতে হবে- এ ধরনের একটি প্রশ্ন সতত থেকে যাচ্ছে? করোনার অমানিশা কাটুক; অবাধ ও সাবলীল জীবন ফিরে পাক মানুষ- নতুন বছরে এটাই থাকবে প্রত্যাশা।খবর বাংলাদেশ জার্নাল