নিউইয়র্ক ০৭:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

রুশ সেনারা পালিয়েছে : ওয়াগনার প্রধান

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:২১:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩
  • / ৬৭ বার পঠিত

ওয়াগনারের ভাড়াটে দল, ছবি : রয়টার্স

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনের বাখমুতে তীব্র লড়াইয়ের মধ্যেই রাশিয়ার একটি সামরিক ইউনিটের সেনারা পালিয়েছে বলে দাবি করেছেন রুশ ভাড়াটে গোষ্ঠী ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে কিয়েভের সম্ভাব্য পাল্টা আক্রমণের আগেই এমন খবর এলো। টেলিগ্রামে এক ভিডিও বার্তায় মঙ্গলবার তিনি জানান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি ইউনিট, বাখমুতের কাছের নিজেদের অবস্থান পরিত্যক্ত করে আমাদের ফ্ল্যাঙ্ক থেকে পালিয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, কমান্ডারদের নির্বুদ্ধিতার জন্য রুশ সেনারা পালিয়ে যাচ্ছেন। কমান্ডারের বোকামির জন্য কোনও সেনার মৃত্যু কাম্য নয়। তারা যে নির্দেশনা পায় এটি পুরোপুরি বে‌আইনি। ওয়াগনার প্রধানের এমন বিবৃতির পর মঙ্গলবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, অ্যাসল্ট সেনারা বাখমুতে লড়াই অব্যাহত রেখেছে। রুশ প্যারাট্রুপাররা প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।

আরোও পড়ুন । দক্ষিণ কোরিয়া-জার্মানির অভিন্ন ভূরাজনৈতিক দ্বন্দ্ব

কিন্তু বাখমুতে সেনা পালিয়ে যাওয়া নিয়ে ইভজেনি প্রিগোজিন’র অভিযোগ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেখায়নি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ওয়াগনার প্রধান ভিডিও বার্তায় আরও বলেন, এখন আমার ভাড়াটে সেনারা যদি বাখমুতের রণাঙ্গন ছেড়ে চলে যায়, এটি বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে বিবেচনা করা হবে। বাখমুতে গোলাবারুদ সরবরাহ প্রসঙ্গে বলেন, যদি কোনও গোলাবারুদ না থাকে, তাহলে আমাদের অবস্থান ছেড়ে দিয়ে প্রশ্ন রাখবো। কে আসলে মাতৃভূমির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে? স্পষ্টতই, একজন। কম গোলাবারুদ সবরাহের আদেশ যিনি দিয়েছেন।

লড়াইয়ের জন্য আরও কয়েকদিন গোলাবারুদ চেয়ে মস্কোর কাছে আহ্বান জানাবেন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। গোলাবারুদের তীব্র ঘাটতির কথা জানিয়ে সম্প্রতি বাখমুতে থাকা ভাড়াটে সেনাদের সরিয়ে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন প্রিগোজিন। হুমকির কয়েকদিনের মাথায় সামরিক সহায়তা আসতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। প্রায় ৯ মাস ধরে বাখমুত দখলের জন্য আক্রমণ চালিয়ে আসছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। এখানে লড়াই শুরুর আগে ৭০ হাজারের বেশি মানুষ বাস করতেন। কিন্তু এখন একেবারই জনশূন্য। বেশিরভাগই পালিয়ে গেছে।

সূত্র : আল জাজিরা

বেলী /হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

রুশ সেনারা পালিয়েছে : ওয়াগনার প্রধান

প্রকাশের সময় : ০২:২১:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনের বাখমুতে তীব্র লড়াইয়ের মধ্যেই রাশিয়ার একটি সামরিক ইউনিটের সেনারা পালিয়েছে বলে দাবি করেছেন রুশ ভাড়াটে গোষ্ঠী ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে কিয়েভের সম্ভাব্য পাল্টা আক্রমণের আগেই এমন খবর এলো। টেলিগ্রামে এক ভিডিও বার্তায় মঙ্গলবার তিনি জানান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি ইউনিট, বাখমুতের কাছের নিজেদের অবস্থান পরিত্যক্ত করে আমাদের ফ্ল্যাঙ্ক থেকে পালিয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, কমান্ডারদের নির্বুদ্ধিতার জন্য রুশ সেনারা পালিয়ে যাচ্ছেন। কমান্ডারের বোকামির জন্য কোনও সেনার মৃত্যু কাম্য নয়। তারা যে নির্দেশনা পায় এটি পুরোপুরি বে‌আইনি। ওয়াগনার প্রধানের এমন বিবৃতির পর মঙ্গলবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, অ্যাসল্ট সেনারা বাখমুতে লড়াই অব্যাহত রেখেছে। রুশ প্যারাট্রুপাররা প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।

আরোও পড়ুন । দক্ষিণ কোরিয়া-জার্মানির অভিন্ন ভূরাজনৈতিক দ্বন্দ্ব

কিন্তু বাখমুতে সেনা পালিয়ে যাওয়া নিয়ে ইভজেনি প্রিগোজিন’র অভিযোগ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেখায়নি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ওয়াগনার প্রধান ভিডিও বার্তায় আরও বলেন, এখন আমার ভাড়াটে সেনারা যদি বাখমুতের রণাঙ্গন ছেড়ে চলে যায়, এটি বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে বিবেচনা করা হবে। বাখমুতে গোলাবারুদ সরবরাহ প্রসঙ্গে বলেন, যদি কোনও গোলাবারুদ না থাকে, তাহলে আমাদের অবস্থান ছেড়ে দিয়ে প্রশ্ন রাখবো। কে আসলে মাতৃভূমির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে? স্পষ্টতই, একজন। কম গোলাবারুদ সবরাহের আদেশ যিনি দিয়েছেন।

লড়াইয়ের জন্য আরও কয়েকদিন গোলাবারুদ চেয়ে মস্কোর কাছে আহ্বান জানাবেন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। গোলাবারুদের তীব্র ঘাটতির কথা জানিয়ে সম্প্রতি বাখমুতে থাকা ভাড়াটে সেনাদের সরিয়ে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন প্রিগোজিন। হুমকির কয়েকদিনের মাথায় সামরিক সহায়তা আসতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। প্রায় ৯ মাস ধরে বাখমুত দখলের জন্য আক্রমণ চালিয়ে আসছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। এখানে লড়াই শুরুর আগে ৭০ হাজারের বেশি মানুষ বাস করতেন। কিন্তু এখন একেবারই জনশূন্য। বেশিরভাগই পালিয়ে গেছে।

সূত্র : আল জাজিরা

বেলী /হককথা