আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, লুহানস্ক দখল করে নেয়ার পর রাশিয়ার সেনা এখন পূর্ব দনেৎস্কের এলাকাগুলি দখল করতে চাইছে।
একদিন আগেই রাশিয়ার সেনা লুহানস্কের ইসেচানস্ক দখল করেছিল। ইউক্রেনও জানিয়েছিল, তাদের সেনা শহর ছেড়ে চলে এসেছে। ইসেচানস্ক দখল করার পর লুহানস্ক পুরোপুরি রাশিয়ার দখলে চলে গেছে। এবার তারা লুহানস্কের পাশের এলাকা দনেৎস্ক দখলের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি তার রাতের ভিডিও ভাষণে বলেছেন, ”গত ২৪ ঘণ্টায় পরিস্থিতির বিশেষ কোনো পরিবর্তন হয়নি। ইউক্রেনের সেনা দিনের পর দিন রাশিয়ার অগ্রগতিকে থামিয়ে দিয়েছে। তাদের পিছু হটতে বাধ্য করেছে। এবার তাদের ছত্রখান করতে হবে। কাজটা কঠিন। এর জন্য সময় ও অতিমানবিক প্রয়াস দরকার। এর কোনো বিকল্প নেই।”
ইউক্রেনের সেনাপ্রধান বলেছেন, ”রাশিয়ার সেনা এখন দনেৎস্কের সিভারেস্ক, ফেরোভিকাও বাখমাট শহরের দিকে নজর দিয়েছে।”
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর তেলের মূল্য বেড়ে গেলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন বলে খবর প্রকাশিত হয়েছিল৷ কিন্তু সালমান তার সঙ্গে কথা বলতে চাননি বলে সেই সময় জানা গিয়েছিল৷ যদিও যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন এই খবর অস্বীকার করেছিল৷ এর কিছুদিন পরই রাশিয়া ও চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেন সালমান৷
লুহানস্কের ইউক্রেনীয় গভর্নর জানিয়েছেন, ”স্লোভিয়ানস্ক, থেকে বাখমুট পর্যন্ত পুরো এলাকা ইউক্রেনের সেনার দখলে আছে। রাশিয়া এখন সমানে স্লোভিয়ানস্কে গোলা ফেলছে।”
আর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুটিন লুহানস্ককে স্বাধীন করার জন্য রাশিয়ার সেনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ইউক্রেনের পুনর্গঠন
ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ইউক্রেনের পুনর্গঠনে সাহায্য করবে ইইউ। ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিন পর্বের রিকভারি পরিকল্পনার জন্য ইউক্রেনের ৭৫০ বিলিয়ান ডলার দরকার।
যুদ্ধ শুরুর পর অনেকেই ইউক্রেন ছেড়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছেন৷ তবে যারা দেশ ছাড়েননি, তারা হয় দেশরক্ষার লড়াইয়ে নেমেছেন, নয়ত নিজেকে তৈরি রাখছেন, তৈরি করছেন দেশ পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখার জন্য৷ যুদ্ধের মাঝেও পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছে শিক্ষার্থীরা৷ ধ্বংসপ্রায় চেরনিহিভের শিক্ষার্থীরা স্কুল ফাইনালও দিয়েছে৷ তাদের কয়েকজনকে নিয়ে স্তানিস্লাভ সেনিকের ফটোশুটটাও ছিল অন্যরকম এক পরীক্ষা৷
তুরস্ক কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার একটি পণ্যবাহী জাহাজ আটকে দিয়েছে। কারণ, ইউক্রেনের অভিযোগ ছিল, তাদের কাছ থেকে দানাশষ্য চুরি করে জাহাজে করে পাঠানো হচ্ছিল। তুরস্ক এই অভিযোগ খতিয়ে দেখছে।
জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)
হককথা/এমউএ