ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্র, হাসপাতাল, স্কুল ও আশ্রয়কেন্দ্রের মতো বেসামরিক স্থাপনায় হামলার জেরে রাশিয়াকে সন্ত্রাসবাদে মদদদাতা রাষ্ট্রের আখ্যা দিয়েছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। বুধবার (২৩ নভেম্বর) এসংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনার পক্ষে ভোট দিয়েছেন পার্লামেন্টের আইনপ্রণেতারা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা যায়, এই পদক্ষেপ মূলত প্রতীকী। কারণ এটিকে বাস্তবায়নে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কোনো আইনি কাঠামো নেই। তবে ইউক্রেনে আগ্রাসনের জন্য আগে থেকেই রাশিয়ার ওপর নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে ইইউ।
এদিকে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশের প্রতিও রাশিয়াকে সন্ত্রাসবাদের মদদদাতা রাষ্ট্র ঘোষণা করার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে জেলেনস্কি বলেন, ‘ইউক্রেন এবং বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসবাদের দীর্ঘস্থায়ী নীতির অবসান ঘটাতে রাশিয়াকে অবশ্যই সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে এবং জবাবদিহির সম্মুখীন করতে হবে।’
তবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এখন পর্যন্ত রাশিয়াকে সন্ত্রাসবাদের মদদদাতা দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে রাজি হননি। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উভয় কক্ষ থেকে তাঁকে এমন পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বর্তমানে কিউবা, উত্তর কোরিয়া, ইরান ও সিরিয়াকে সন্ত্রাসবাদের মদদদাতা দেশের তালিকায় রেখেছে। সন্ত্রাসবাদের মদদদাতা দেশের তালিকায় থাকার ফলে ওই সব দেশে কোনো ধরনের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পাঠানো নিষিদ্ধ এবং অর্থনৈতিক বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে লিথুনিয়া, লাটভিয়া, এস্তোনিয়া ও পোল্যান্ড এই চার দেশের পার্লামেন্ট রাশিয়াকে সন্ত্রাসবাদের মদদদাতা রাষ্ট্র ঘোষণা করেছে।