রাশিয়ার হামলার মুখে ইউক্রেনে প্রশাসনিক রদবদল
- প্রকাশের সময় : ০১:২৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / ৬০ বার পঠিত
রাশিয়ার জোরালো হামলার মোকাবিলা করছে ইউক্রেনের বাহিনী। এমন সংকটের মাঝেই প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে সরানো হবে বলে জল্পনাকল্পনা চলছে। আরো বড় হামলার আগে সেই কাজ সেরে ফেলতে পারেন জেলেনস্কি।
রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার সেনাবাহিনী ইউক্রেনের বাখমুত শহর ঘিরে ফেলার তোড়জোড় করেছে। ইউক্রেনের সেনারা পিছিয়ে যেতে প্রস্তুত না হওয়ায় জোরালো সংঘর্ষের ইঙ্গিত দিয়েছে রাশিয়ার ওয়াগনার ভাড়াটে বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন।
রাশিয়ার জোরালো হামলার মোকাবিলা করছে ইউক্রেনের বাহিনী।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও সেই শহরে রাশিয়ার বাড়তি তৎপরতার খবর দিয়েছে। বাখমুত ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে বলে লন্ডন থেকে জানানো হয়েছে। খেরসন ও খারকিভ অঞ্চলেও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। রাশিয়ার হামলার বর্যপূর্তির সময় আরও বড় সামরিক অভিযানের আশঙ্কা করছে ইউক্রেন। তার আগে সেনাবাহিনীকে যথেষ্ট প্রস্তুত করতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে রদবদলের সম্ভাবনা বাড়ছে। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির রাজনৈতিক জোটের প্রধানের সূত্র অনুযায়ী প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভকে সরিয়ে সেই পদে আনা হচ্ছে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা জিইউআর এর প্রধান কিরিলো বুদানভকে।
বাখমুত ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে বলে লন্ডন থেকে জানানো হয়েছে।
‘জনগণের ভৃত্য’ নামের সংসদীয় গোষ্ঠীর প্রধান ডাভিড আরখামিয়া এমন দাবি করেছেন। তার মতে, যুদ্ধের সময় ইউক্রেনের বাহিনীগুলোর শীর্ষে রাজনীতিকদের থাকা উচিত নয়। প্রতিরক্ষা বা নিরাপত্তার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মানুষের সেই কাজ করা উচিত।
কবে এমন সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে, সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি। রেজনিকভ নিজে রোববার জানান, জেলেনস্কি মন্ত্রীসভায় রদবদলের সিদ্ধান্ত নিতেই পারেন। তবে তাকে কৌশলগত শিল্পক্ষেত্রের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী করা হবে বলে আরখামিয়া যে দাবি করেছেন, সেটি সত্য হলে তিনি উপযুক্ত অভিজ্ঞতার অভাবে এমন প্রস্তাব নাকচ করে দেবেন বলে জানিয়েছেন।
‘জনগণের ভৃত্য’ নামের সংসদীয় গোষ্ঠীর প্রধান ডাভিড আরখামিয়া এমন দাবি করেছেন। প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলো পদলইয়াক জানান, সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে রেজনিকভ বিশেষ দক্ষতা দেখিয়েছেন। সহযোগীদের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্কও ইউক্রেনের জন্য কোটি কোটি ডলার অংকের সামরিক সহায়তা আনতে সাহায্য করেছে।
ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণ প্রান্তে রুশ সেনাবাহিনীর জোরালো হামলার মুখে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের শীর্ষে রদবদলের সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনাকল্পনা চলছে। রাশিয়ার আরও বড় সামরিক অভিযান সামলাতে এবং পশ্চিমা বিশ্বের পাঠানো ব্যাটেল ট্যাংকসহ অন্যান্য সরঞ্জাম কাজে লাগানোর বিষয়টিকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে চাইছে জেলেনস্কির সরকার।
প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলো পদলইয়াক
সম্প্রতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়েও দুর্নীতির এক ঘটনার জের ধরে এক উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রীসহ দুই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। রেজনিকভ নিজে দুর্নীতির জোরালো বিরোধিতা করলেও তার মন্ত্রণালয়ে এমন ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোয় যোগদানের পথে দুর্নীতি বড় অন্তরায় হয়ে উঠতে পারে বলে জেলেনস্কি আশঙ্কা করছেন। ইত্তেফাক/ডিএস