নিউইয়র্ক ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

রাশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিরোধ ভাঙল ইউক্রেন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:২৫:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৮২ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার সেনাদের গড়া প্রতিরোধ ব্যবস্থার সবচেয়ে শক্তিশালী ধাপটি ভেঙে ফেলেছে ইউক্রেনের সৈন্যরা। আর সেই ধাপটি ভেদ করে এখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তারা। ইউক্রেনের সেনাদের দক্ষিণাঞ্চলের জাপোরিজ্জিয়ার দিকে নেতৃত্ব দেওয়া ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওলেক্সান্ডার তারানোসভকি এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দখলকৃত স্থানগুলো থেকে রুশ সেনাদের হটিয়ে দিতে গত জুনে বহুল প্রতীক্ষিত পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইউক্রেন। যদিও এ অভিযান আশানুরূপ হয়নি, তবে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তাদের এ পাল্টা আক্রমণ সফলতার মুখ দেখছে। শনিবার মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে (সাবেক টুইটার) জেলেনস্কি লিখেছেন, ‘অন্যরা কি বলছে সেটি ব্যাপার নয়, সবকিছু সত্ত্বেও ইউক্রেনের সেনারা এগিয়ে যাচ্ছে।’

তবে জেলেনস্কি কাউকে উদ্দেশ্য বা ইঙ্গিত করে এক্সে এমন কথা লিখেছেন কি না সেটি নিশ্চিত নয়। একাধিক পশ্চিমা নেতা ও যুদ্ধ পর্যবেক্ষকরা বলেছেন, পাল্টা আক্রমণে এখন সেনাদের খুব বেশি ব্যবহার করছেন না ইউক্রেন। জুনে পাল্টা আক্রমণ শুরু হলেও ব্রেকথ্রু বা বড় ধরনের কোনো সাফল্য এখনও ইউক্রেনীয় সেনারা পায়নি। শনিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য অবজারভারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওলেক্সান্ডার তারানোসভকি বলেছেন, রাশিয়া তাদের সেনাদের ঠেকাতে তিন ধাপে প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করেছিল। এরমধ্যে প্রথম ধাপে বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে মাইন পুঁতেছিল তারা। দ্বিতীয় ধাপে পরিখা খনন আর তৃতীয় ধাপে ড্রাগন টিথ (ট্যাঙ্ক প্রতিরোধী কংক্রিটের স্তূপ) স্থাপন করা হয়েছিল। এরমধ্যে প্রথম ধাপটি ভেঙে ফেলেছেন তার সেনারা।

আরোও পড়ুন । অস্ট্রেলিয়া গেলেন সেনাপ্রধান

তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রথম ধাপ, অর্থাৎ মাইন পুঁততে রাশিয়া তাদের ৬০ শতাংশ সময় ও সম্পদ ব্যয় করেছিল। আর পরের দুটি ধাপে যথাক্রমে ২০ শতাংশ সময় ব্যয় করেছিল। কারণ রাশিয়া চিন্তা করেনি, ইউক্রেনীয় বাহিনী তাদের প্রতিরোধ ব্যবস্থার প্রথম ধাপ ভেদ করতে পারবে। তিনি বলেছেন, আমরা এখন প্রতিরোধ ব্যবস্থার প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের মাঝামাঝি রয়েছি। আমাদের সেনারা এখন দুই দিক দিয়ে এগোচ্ছে এবং যেসব অঞ্চলে সাম্প্রতিক সময়ে সাফল্য পাওয়া গেছে সেসব অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ শক্তিশালী করছে। তিনি আরও বলেছেন, পাল্টা আক্রমণে আমরা এখন শত্রুদের সেই ইউনিটকে ধ্বংস করছি, যেটি প্রতিরোধ ব্যবস্থার দ্বিতীয় ধাপে থাকা রুশ সেনাদের নিরাপদ পশ্চাদপসারণের জন্য মোতায়েন আছে। বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে মাইন পোঁতায় পাল্টা আক্রমণ শুরুর কয়েক সপ্তাহ কোনো ধরনের সাফল্য পায়নি ইউক্রেন। তারা যখনই কোনো সাঁজোয়া যান বা অন্যান্য সামরিক যান নিয়ে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কাছে যেত তখনই রুশ বাহিনী ড্রোন হামলা ও কামান থেকে গোলা ছুড়ত।

আর এ কারণে সময় নিয়ে হেঁটে হেঁটে এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাতের বেলায় এসব মাইন সরিয়েছেন ইউক্রেনের সেনারা। আর সেসব মাইন পরিষ্কার হয়ে যাওয়ায় এখন আবার যুদ্ধযান নিয়ে এগিয়ে যেতে পারবে তারা। এ জেনারেল জানিয়েছেন, রাশিয়া এখন সেখানে আরও সেনাদের নিয়ে আসছে। তবে তিনি দাবি করেছেন, এ বিষয়টি ইউক্রেনের জন্যই ভালো হবে, কারণ তারা রাশিয়ার সেরা সেনাদের খতম করে দিতে পারবেন এবং দ্রুত সময়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবেন। এদিকে দক্ষিণাঞ্চলে যে পাল্টা আক্রমণ ইউক্রেন চালাচ্ছে, সেটির লক্ষ্য হলো-রুশ বাহিনীকে প্রতিহত করে আজভ সাগর পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়া এবং তাদে দুই ভাগে বিভক্ত করে ফেলা। সূত্র : সময়ের আলো

বেলী/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

রাশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিরোধ ভাঙল ইউক্রেন

প্রকাশের সময় : ১২:২৫:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার সেনাদের গড়া প্রতিরোধ ব্যবস্থার সবচেয়ে শক্তিশালী ধাপটি ভেঙে ফেলেছে ইউক্রেনের সৈন্যরা। আর সেই ধাপটি ভেদ করে এখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তারা। ইউক্রেনের সেনাদের দক্ষিণাঞ্চলের জাপোরিজ্জিয়ার দিকে নেতৃত্ব দেওয়া ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওলেক্সান্ডার তারানোসভকি এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দখলকৃত স্থানগুলো থেকে রুশ সেনাদের হটিয়ে দিতে গত জুনে বহুল প্রতীক্ষিত পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইউক্রেন। যদিও এ অভিযান আশানুরূপ হয়নি, তবে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তাদের এ পাল্টা আক্রমণ সফলতার মুখ দেখছে। শনিবার মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে (সাবেক টুইটার) জেলেনস্কি লিখেছেন, ‘অন্যরা কি বলছে সেটি ব্যাপার নয়, সবকিছু সত্ত্বেও ইউক্রেনের সেনারা এগিয়ে যাচ্ছে।’

তবে জেলেনস্কি কাউকে উদ্দেশ্য বা ইঙ্গিত করে এক্সে এমন কথা লিখেছেন কি না সেটি নিশ্চিত নয়। একাধিক পশ্চিমা নেতা ও যুদ্ধ পর্যবেক্ষকরা বলেছেন, পাল্টা আক্রমণে এখন সেনাদের খুব বেশি ব্যবহার করছেন না ইউক্রেন। জুনে পাল্টা আক্রমণ শুরু হলেও ব্রেকথ্রু বা বড় ধরনের কোনো সাফল্য এখনও ইউক্রেনীয় সেনারা পায়নি। শনিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য অবজারভারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওলেক্সান্ডার তারানোসভকি বলেছেন, রাশিয়া তাদের সেনাদের ঠেকাতে তিন ধাপে প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করেছিল। এরমধ্যে প্রথম ধাপে বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে মাইন পুঁতেছিল তারা। দ্বিতীয় ধাপে পরিখা খনন আর তৃতীয় ধাপে ড্রাগন টিথ (ট্যাঙ্ক প্রতিরোধী কংক্রিটের স্তূপ) স্থাপন করা হয়েছিল। এরমধ্যে প্রথম ধাপটি ভেঙে ফেলেছেন তার সেনারা।

আরোও পড়ুন । অস্ট্রেলিয়া গেলেন সেনাপ্রধান

তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রথম ধাপ, অর্থাৎ মাইন পুঁততে রাশিয়া তাদের ৬০ শতাংশ সময় ও সম্পদ ব্যয় করেছিল। আর পরের দুটি ধাপে যথাক্রমে ২০ শতাংশ সময় ব্যয় করেছিল। কারণ রাশিয়া চিন্তা করেনি, ইউক্রেনীয় বাহিনী তাদের প্রতিরোধ ব্যবস্থার প্রথম ধাপ ভেদ করতে পারবে। তিনি বলেছেন, আমরা এখন প্রতিরোধ ব্যবস্থার প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের মাঝামাঝি রয়েছি। আমাদের সেনারা এখন দুই দিক দিয়ে এগোচ্ছে এবং যেসব অঞ্চলে সাম্প্রতিক সময়ে সাফল্য পাওয়া গেছে সেসব অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ শক্তিশালী করছে। তিনি আরও বলেছেন, পাল্টা আক্রমণে আমরা এখন শত্রুদের সেই ইউনিটকে ধ্বংস করছি, যেটি প্রতিরোধ ব্যবস্থার দ্বিতীয় ধাপে থাকা রুশ সেনাদের নিরাপদ পশ্চাদপসারণের জন্য মোতায়েন আছে। বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে মাইন পোঁতায় পাল্টা আক্রমণ শুরুর কয়েক সপ্তাহ কোনো ধরনের সাফল্য পায়নি ইউক্রেন। তারা যখনই কোনো সাঁজোয়া যান বা অন্যান্য সামরিক যান নিয়ে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কাছে যেত তখনই রুশ বাহিনী ড্রোন হামলা ও কামান থেকে গোলা ছুড়ত।

আর এ কারণে সময় নিয়ে হেঁটে হেঁটে এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাতের বেলায় এসব মাইন সরিয়েছেন ইউক্রেনের সেনারা। আর সেসব মাইন পরিষ্কার হয়ে যাওয়ায় এখন আবার যুদ্ধযান নিয়ে এগিয়ে যেতে পারবে তারা। এ জেনারেল জানিয়েছেন, রাশিয়া এখন সেখানে আরও সেনাদের নিয়ে আসছে। তবে তিনি দাবি করেছেন, এ বিষয়টি ইউক্রেনের জন্যই ভালো হবে, কারণ তারা রাশিয়ার সেরা সেনাদের খতম করে দিতে পারবেন এবং দ্রুত সময়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবেন। এদিকে দক্ষিণাঞ্চলে যে পাল্টা আক্রমণ ইউক্রেন চালাচ্ছে, সেটির লক্ষ্য হলো-রুশ বাহিনীকে প্রতিহত করে আজভ সাগর পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়া এবং তাদে দুই ভাগে বিভক্ত করে ফেলা। সূত্র : সময়ের আলো

বেলী/হককথা