নিউইয়র্ক ০৬:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি কানে তোলেননি পুতিন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:১৩:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪
  • / ৪৪ বার পঠিত

মস্কোর কনসার্ট হলে ‘বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলা’য় জড়িতদের শাস্তি দেয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ক্রাকার্স হলের ওই হামলায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪৩। পুতিন বলেছেন, হামলায় জড়িতদের ৪ জন পালিয়ে ইউক্রেনে চলে যাওয়ার চেষ্টাকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে এতে জড়িত থাকার কোনো রকম সম্ভাবনাকে জোর দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। এর দায় ইউক্রেনের ওপর চাপানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। মস্কোর এই হামলার কড়া নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেয়া বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র এই হায়েনার মতো অপরাধে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত সবার প্রতি ও তাদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছে। বলা হয়েছে, সব রকম সন্ত্রাসের নিন্দা করে যুক্তরাষ্ট্র। এই ভয়াবহ ঘটনায় প্রাণহানিতে রাশিয়ার জনগণের পাশে আছে যুক্তরাষ্ট্র। হামলার পর পরই এর দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইএস।

তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে লিখেছে, ‘মেশিনগান, পিস্তল, চুরি ও বোমা ব্যবহার করে আমাদের আইএস যোদ্ধারা এই হামলা চালিয়েছে। ইসলামবিরোধী দেশগুলোর ক্রমবর্ধমান যুদ্ধের অংশ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে।’ এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

দুই দশকের মধ্যে রাশিয়ায় এটা সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা। ইউরোপে আইএসের যত হামলা হয়েছে তার মধ্যে এটা সবচেয়ে প্রাণঘাতী ছিল। রাশিয়ান কর্মকর্তারা মনে করছেন নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ, বিভিন্ন হাসপাতালে এখনও কমপক্ষে একশ মানুষ চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। রাশিয়ার ইনভেস্টিগেটিভ কমিটি বড় অপরাধের তদন্ত করে। তারা বলেছে, শনিবার দিনশেষেও তারা ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করছিল।

যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, তারা এই হামলার আগেই মস্কোকে সতর্ক করেছিল। কিন্তু পুতিন সেই সতর্কতাকে প্রকাশ্যে প্রত্যাখ্যান করেছিল। তিনি মনে করেছিলেন, রাশিয়ার জনগণকে ভয় দেখানোর জন্য এই প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ৭ই মার্চ রাশিয়ায় মার্কিন দূতাবাস থেকে বলা হয় যে, কনসার্ট সহ মস্কোর বড় সমাবেশগুলো উগ্রপন্থিদের অত্যাসন্ন টার্গেটে রয়েছে। এ জন্য ৪৮ ঘণ্টা সতর্কতামূলক অবস্থান নিতে বলা হয়। ওয়াশিংটন বলেছে, হামলার পর মস্কোকে এর বিস্তারিত শেয়ার করেছে তারা। তবে এফএসবির প্রধানের সঙ্গে আলোচনাকালে মঙ্গলবার পুতিন একে একটি প্ররোচণামূলক বিবৃতি হিসেবে আখ্যায়িত করেন। সূত্র : মানবজমিন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি কানে তোলেননি পুতিন

প্রকাশের সময় : ০২:১৩:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪

মস্কোর কনসার্ট হলে ‘বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলা’য় জড়িতদের শাস্তি দেয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ক্রাকার্স হলের ওই হামলায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪৩। পুতিন বলেছেন, হামলায় জড়িতদের ৪ জন পালিয়ে ইউক্রেনে চলে যাওয়ার চেষ্টাকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে এতে জড়িত থাকার কোনো রকম সম্ভাবনাকে জোর দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। এর দায় ইউক্রেনের ওপর চাপানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। মস্কোর এই হামলার কড়া নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেয়া বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র এই হায়েনার মতো অপরাধে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত সবার প্রতি ও তাদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছে। বলা হয়েছে, সব রকম সন্ত্রাসের নিন্দা করে যুক্তরাষ্ট্র। এই ভয়াবহ ঘটনায় প্রাণহানিতে রাশিয়ার জনগণের পাশে আছে যুক্তরাষ্ট্র। হামলার পর পরই এর দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইএস।

তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে লিখেছে, ‘মেশিনগান, পিস্তল, চুরি ও বোমা ব্যবহার করে আমাদের আইএস যোদ্ধারা এই হামলা চালিয়েছে। ইসলামবিরোধী দেশগুলোর ক্রমবর্ধমান যুদ্ধের অংশ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে।’ এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

দুই দশকের মধ্যে রাশিয়ায় এটা সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা। ইউরোপে আইএসের যত হামলা হয়েছে তার মধ্যে এটা সবচেয়ে প্রাণঘাতী ছিল। রাশিয়ান কর্মকর্তারা মনে করছেন নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ, বিভিন্ন হাসপাতালে এখনও কমপক্ষে একশ মানুষ চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। রাশিয়ার ইনভেস্টিগেটিভ কমিটি বড় অপরাধের তদন্ত করে। তারা বলেছে, শনিবার দিনশেষেও তারা ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করছিল।

যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, তারা এই হামলার আগেই মস্কোকে সতর্ক করেছিল। কিন্তু পুতিন সেই সতর্কতাকে প্রকাশ্যে প্রত্যাখ্যান করেছিল। তিনি মনে করেছিলেন, রাশিয়ার জনগণকে ভয় দেখানোর জন্য এই প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ৭ই মার্চ রাশিয়ায় মার্কিন দূতাবাস থেকে বলা হয় যে, কনসার্ট সহ মস্কোর বড় সমাবেশগুলো উগ্রপন্থিদের অত্যাসন্ন টার্গেটে রয়েছে। এ জন্য ৪৮ ঘণ্টা সতর্কতামূলক অবস্থান নিতে বলা হয়। ওয়াশিংটন বলেছে, হামলার পর মস্কোকে এর বিস্তারিত শেয়ার করেছে তারা। তবে এফএসবির প্রধানের সঙ্গে আলোচনাকালে মঙ্গলবার পুতিন একে একটি প্ররোচণামূলক বিবৃতি হিসেবে আখ্যায়িত করেন। সূত্র : মানবজমিন।