মৃত্যুপুরী বাখমুত
- প্রকাশের সময় : ০২:৫২:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩
- / ৩০ বার পঠিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুমুল যুদ্ধে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে পূর্ব ইউক্রেনের বাখমুত। শহরটিকে বিভক্ত করা সরু একটি নদীর এক প্রান্তে অবস্থান নিয়েছে রুশ সেনারা। অন্যপ্রান্তে নদীর পূর্ব অংশে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবরে বলা হয়, বাখমুতে রাশিয়ান আক্রমণের নেতৃত্ব দিচ্ছে ওয়াগনার গ্রুপের যোদ্ধারা। অভিযানের মুখে ইউক্রেনীয় সেনারা নদীর পূর্ব অংশে অবস্থান নিয়েছে। রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয় পক্ষই দাবি করেছে, গত চব্বিশ ঘণ্টায় একে অপরের হাতে তাদের প্রতিপক্ষের দুই শতাধিক সেনা নিহত হয়েছে। দাবি অনুসারে, উভয়পক্ষের মোট ৪৩১ সেনা নিহত হয়েছে। রবিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর এএফপির।
আরোও পড়ুন । ইউক্রেনে রাশিয়ার হাতে আরও এক এলাকা?
ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাখমুত শহরকে দুই ভাগে বিভক্তকারী নদী এখন উভয় পক্ষের নতুন ফ্রন্ট লাইন। ইউক্রেনীয়রা দাবি করেছে, তারা রুশ সৈন্যদের অপ্রতিরোধ্য আক্রমণ সাহসিকতার সঙ্গে ঠেকিয়ে যাচ্ছে। বাখমুতে রাশিয়ার হয়ে লড়াই করে যাচ্ছে দেশটির সেনা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াগনার। ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র সেরহি শেরেভাতি বলেছেন, গত ২৪ ঘণ্টার যুদ্ধে অন্তত ২২১ জন রুশপন্থী সেনা নিহত হয়েছে। এ সময়ে আহত হয়েছে আরও অন্তত তিন শতাধিক সেনা। এদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, একই সময়ে রুশপন্থি সেনাদের হাতে অন্তত ২১০ জন ইউক্রেনীয় সেনা প্রাণ হারিয়েছে। তবে মস্কো ক্ষয়ক্ষতি এবং আহতদের সংখ্যার বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কোনো তথ্য দেয়নি। ইউক্রেনের দোনেৎস্কের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত বাখমুত শহরটিকে কেন্দ্র করে শুরু থেকেই লড়াই চলছে। এক বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও রাশিয়ার পক্ষ থেকে শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেয়া সম্ভব হয়নি।
আরোও পড়ুন । যেভাবে ১০ ঘণ্টার ট্রেনযাত্রায় গোপনে ইউক্রেনে যান বাইডেন
তবে সাম্প্রতিক সময়ে ওয়াগনার দাবি করেছে, তারা শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার দ্বারপ্রান্তে। ব্রিটিশ সামরিক গোয়েন্দারা জানিয়েছেন যে, রাশিয়ার সেনা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াগনার বাখমুতের পূর্বাঞ্চলের বেশিরভাগ অংশেরই নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এর আগে, গত বুধবার ওয়াগনারের প্রতিষ্ঠাতা ইয়েভজেনি প্রিগোজিনও একই দাবি করেছিলেন। ইউক্রেনের পূর্ব বাহিনীর একজন সামরিক মুখপাত্র সেরহি চেরেভাতি বলেছেন, রাশিয়ানরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৬টি হামলা চালিয়েছে। দু’পক্ষের ২৩ দফায় সংঘর্ষ হয়েছে সেখানে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির এক সহযোগী বলেছেন কিয়েভ বাখমুতে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সাথী / হককথা