নিউইয়র্ক ০৭:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

মিয়ানমারের ৩৭ শহরে সামরিক আইন জারি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:৫৫:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ২৯ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারে বিভিন্ন অঞ্চলে সামরিক সরকার ও বিদ্রোহী সংগঠনগুলোর মধ্যে তীব্র সংঘাত চলছে। চলমান এ সংঘর্ষের মধ্যে দেশটির ৩৭টি শহরে সামরিক আইন (মার্শাল ল’) জারি করেছে জান্তা সরকার। এসব শহরের মধ্যে বিদ্রোহীদের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত সাগাইন এবং মগওয়ে অঞ্চলও রয়েছে। মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর এক প্রতিবেদনের বরাতে এ খবর জানিয়েছে আল-জাজিরা।

নতুন করে মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ছয় মাস বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়ার মাত্র এক দিন পরই ৩৭টি শহরে সামরিক আইন জারির ঘোষণা এল। ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে শাসনক্ষমতা দখল করে জান্তা বাহিনী। এর পর থেকে দফায় দফায় দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।

গত বুধবার মিয়ানমারের ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি কাউন্সিলের এক বৈঠকে জানানো হয়, ৩৩০টি শহরের মধ্যে অন্তত ৬০টি শহরের নিরাপত্তাব্যবস্থা কঠোর করা হবে। যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুনরুদ্ধার করা যায়।

জান্তা সরকারের জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মার্শাল ল’ জারীকৃত ওই ৩৭টি শহর এখন থেকে সরাসরি স্থানীয় কামান্ডারের হুকুমে পরিচালিত হবে। ৩৭টি শহরের মধ্যে রয়েছে সাগাইনের ১১টি, মগওয়ে এবং অঞ্চলের ৫টি করে মোট ১০টি শহর রয়েছে। এর বাইরে রয়েছে তানিনথারির দুটি শহর। চীন রাজ্যের সাতটি শহর, কায়াহ রাজ্যের চারটি, কারেনের দুটি এবং মন রাজ্যের একটি শহর।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এখন থেকে জান্তা বাহিনী স্থাপিত আদালত এসব এলাকার যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ মামলার বিচারকাজ চালাতে পারবে। জান্তা বাহিনী সতর্ক করে বলেছে, প্রয়োজনে আদালত মৃত্যুদণ্ড এবং যাবজ্জীবনের মতো দণ্ড দিতেও দ্বিধা করবে না। এমনকি এসব মামলার ক্ষেত্রে কোনো আপিলের সুযোগ থাকবে না। তবে কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হলে সে আপিল করতে পারবে এবং সেই আপিল এককভাবে বিবেচনা করবেন জান্তাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং।

স্থানীয় গণমাধ্যম ইরাবতী জানায়, দেশটির প্রায় সাড়ে ৩০০ শহরের মধ্যে ৬০টিতে নিরাপত্তাব্যবস্থা কঠোর করার নির্দেশ দিয়েছে মিয়ানমারের ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি কাউন্সিল।

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানে অং সান সু চির সরকারকে উৎখাতের পর জান্তা সরকার ইয়াঙ্গুন, মান্দালয় ও চীন রাজ্যের কিছু অংশে সামরিক আইন জারি করে। সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত ওই অঞ্চলগুলোতে শতাধিক মানুষকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে জান্তা বাহিনী পরিচালিত সামরিক আদালত। গত দুই বছরে সেনা সরকারকে উৎখাতের জন্য আন্দোলন চালিয়ে আসছেন স্বাধীনতাকামী মিয়ানমারের নাগরিক। বিক্ষোভ দমাতে এখন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন অন্তত ২ হাজার ৯৪৮ জন বেসামরিক মানুষ। এ ছাড়া বিদ্রোহীদের সঙ্গে প্রায়ই সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে বহু মানুষের ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে, আহত হয়েছেন অগণিত মানুষ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

মিয়ানমারের ৩৭ শহরে সামরিক আইন জারি

প্রকাশের সময় : ০২:৫৫:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারে বিভিন্ন অঞ্চলে সামরিক সরকার ও বিদ্রোহী সংগঠনগুলোর মধ্যে তীব্র সংঘাত চলছে। চলমান এ সংঘর্ষের মধ্যে দেশটির ৩৭টি শহরে সামরিক আইন (মার্শাল ল’) জারি করেছে জান্তা সরকার। এসব শহরের মধ্যে বিদ্রোহীদের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত সাগাইন এবং মগওয়ে অঞ্চলও রয়েছে। মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর এক প্রতিবেদনের বরাতে এ খবর জানিয়েছে আল-জাজিরা।

নতুন করে মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ছয় মাস বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়ার মাত্র এক দিন পরই ৩৭টি শহরে সামরিক আইন জারির ঘোষণা এল। ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে শাসনক্ষমতা দখল করে জান্তা বাহিনী। এর পর থেকে দফায় দফায় দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।

গত বুধবার মিয়ানমারের ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি কাউন্সিলের এক বৈঠকে জানানো হয়, ৩৩০টি শহরের মধ্যে অন্তত ৬০টি শহরের নিরাপত্তাব্যবস্থা কঠোর করা হবে। যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুনরুদ্ধার করা যায়।

জান্তা সরকারের জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মার্শাল ল’ জারীকৃত ওই ৩৭টি শহর এখন থেকে সরাসরি স্থানীয় কামান্ডারের হুকুমে পরিচালিত হবে। ৩৭টি শহরের মধ্যে রয়েছে সাগাইনের ১১টি, মগওয়ে এবং অঞ্চলের ৫টি করে মোট ১০টি শহর রয়েছে। এর বাইরে রয়েছে তানিনথারির দুটি শহর। চীন রাজ্যের সাতটি শহর, কায়াহ রাজ্যের চারটি, কারেনের দুটি এবং মন রাজ্যের একটি শহর।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এখন থেকে জান্তা বাহিনী স্থাপিত আদালত এসব এলাকার যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ মামলার বিচারকাজ চালাতে পারবে। জান্তা বাহিনী সতর্ক করে বলেছে, প্রয়োজনে আদালত মৃত্যুদণ্ড এবং যাবজ্জীবনের মতো দণ্ড দিতেও দ্বিধা করবে না। এমনকি এসব মামলার ক্ষেত্রে কোনো আপিলের সুযোগ থাকবে না। তবে কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হলে সে আপিল করতে পারবে এবং সেই আপিল এককভাবে বিবেচনা করবেন জান্তাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং।

স্থানীয় গণমাধ্যম ইরাবতী জানায়, দেশটির প্রায় সাড়ে ৩০০ শহরের মধ্যে ৬০টিতে নিরাপত্তাব্যবস্থা কঠোর করার নির্দেশ দিয়েছে মিয়ানমারের ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি কাউন্সিল।

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানে অং সান সু চির সরকারকে উৎখাতের পর জান্তা সরকার ইয়াঙ্গুন, মান্দালয় ও চীন রাজ্যের কিছু অংশে সামরিক আইন জারি করে। সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত ওই অঞ্চলগুলোতে শতাধিক মানুষকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে জান্তা বাহিনী পরিচালিত সামরিক আদালত। গত দুই বছরে সেনা সরকারকে উৎখাতের জন্য আন্দোলন চালিয়ে আসছেন স্বাধীনতাকামী মিয়ানমারের নাগরিক। বিক্ষোভ দমাতে এখন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন অন্তত ২ হাজার ৯৪৮ জন বেসামরিক মানুষ। এ ছাড়া বিদ্রোহীদের সঙ্গে প্রায়ই সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে বহু মানুষের ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে, আহত হয়েছেন অগণিত মানুষ।