মার্কিন প্রতিবেদন : মানবপাচার রোধে উন্নতি বাংলাদেশের

- প্রকাশের সময় : ১১:১৮:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুন ২০২০
- / ৫১ বার পঠিত
হককথা ডেস্ক: টানা তিন বছর ‘টায়ার ২ ওয়াচলিস্টে (নজরদারি তালিকায়)’ থাকার পর অবশেষে এক ধাপ উন্নতির মাধ্যমে ‘টায়ার ২’-তে উঠেছে বাংলাদেশ। গত বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) রাতে ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর প্রকাশিত ২০২০ সালের মানবপাচারবিষয়ক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের এই অগ্রগতি স্থান পেয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “মানবপাচার নির্মূল প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ সরকার ন্যূনতম মান অর্জন করতে না পারলেও এ লক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য চেষ্টা চালিয়েছে। গত এক বছরে বাংলাদেশ আগের এক বছরের তুলনায় সার্বিকভাবে বেশি উদ্যোগ নিয়েছে। এ কারণে বাংলাদেশকে ‘টায়ার ২’-তে উন্নীত করা হলো।”
যুক্তরাষ্ট্র তার প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশের এসব প্রচেষ্টার মধ্যে ছিল আগের বছরের চেয়ে বেশিসংখ্যক পাচারকারীর বিচার করা, পাচারের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার হার বৃদ্ধি, জাতিসংঘের ২০০০ সালের মানবপাচারবিষয়ক প্রটোকল অনুমোদন এবং মানবপাচারবিরোধী আইন অনুযায়ী সাতটি মানবপাচারবিরোধী ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা।
মিয়ানমারে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের প্রতি বাংলাদেশের মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার বিষয়টিও প্রতিবেদনে এসেছে। তবে বেশ কিছু ঘাটতির কথাও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এ ছাড়া গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে সম্প্রতি কুয়েতে মানবপাচারের অভিযোগে লক্ষীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শহিদ ইসলাম পাপুল গ্রেপ্তার হওয়া, মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজার নিয়ে সিন্ডিকেটের তথ্যও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে স্থান পেয়েছে। উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের শ্রমিকদের দুঃসহ পরিস্থিতি নিয়ে গত বছর কালের কণ্ঠে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের মানবপাচার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অগ্রগতিকে সুখবর হিসেবে উল্লেখ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। শুক্রবার (২৬ জুন) এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “গত বছর আমাদের ‘টায়ার ২’ দ্বিতীয় পর্যায়ের ‘ওয়াচ লিস্টে’ রেখেছিল। ‘ওয়াচ লিস্টে’ রাখার অর্থ হলো আমি যদি এর চেয়ে নিচে, ‘থার্ড টায়ারে’ নেমে যাই তাহলে আমাদের বড় অমঙ্গল হবে। তাহলে আমাদের উন্নয়ন সহযোগিতা পাওয়া যাবে না। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফের বিভিন্ন ঋণ যে সহজ শর্তে পাই সেগুলো পাব না। আমাদের দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যে সাংস্কৃতিক, শিক্ষা বিনিময় হয় সেগুলো সব বন্ধ হয়ে যাবে।” মন্ত্রী বলেন, ‘টায়ার ২’ নজরদারি তালিকা থেকে এক ধাপ ওপরে ওঠার অর্থ হলো বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে এ ব্যাপারে। (দৈনিক কালের কন্ঠ)