নিউইয়র্ক ০৪:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

মণিপুরের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইলেন সুপ্রিম কোর্ট

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৪৭:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ মে ২০২৩
  • / ৪২ বার পঠিত

ইম্ফলে রবিবার সতর্কাবস্থায় সেনারা। ছবি : এএফপি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে সহিংসতার ছয় দিনের মাথায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মুখ খুলেছেন। বলেছেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে’, যদিও সহিংসতা এড়াতে রাজ্যজুড়ে এখনো বলবৎ রাখা হয়েছে কারফিউ। এদিকে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে মণিপুরের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে চেয়েছেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। মণিপুরের সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই জনগোষ্ঠীর তফসিলি উপজাতিভুক্ত হওয়ার দাবি নিয়ে আদালতের রায়ের পর গত বুধবার থেকে জ্বলছে রাজ্যটি। গতকাল পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫৪ জনের। সেনা ক্যাম্পে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ২৩ হাজার জনকে। এই অবস্থায় পাওয়া গেল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য।

মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল সোমবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেকে সাক্ষাৎকার দেন অমিত শাহ। সাক্ষাৎকারে মন্ত্রী বলেন, ‘এই ইস্যুতে আদালতের তরফে একটি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। মণিপুর সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর এ নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।’

এদিকে মণিপুরের সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্যের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে চেয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। গতকাল মণিপুর সহিংসতার বিষয়ে বিশেষ তদন্তের আবেদন সংক্রান্ত শুনানিকালে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো জনগণকে সুরক্ষা দেওয়া, তাদের উদ্ধার করা এবং তাদের পুনর্বাসিত করা।’ পরিস্থিতি জানতে চেয়ে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বাস্তুচ্যুতদের অবশ্যই বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করতে হবে। উপাসনালয়গুলো সুরক্ষিত করতে হবে।

আরোও পড়ুন । গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ১২

মেইতেই জনগোষ্ঠীকে তফসিলি উপজাতিভুক্ত করা হবে কি না, এসংক্রান্ত একটি মামলায় তাৎপর্যপূর্ণ রায় দেন মণিপুর হাইকোর্ট। মেইতেইদের তফসিলি উপজাতিমুক্ত করার প্রস্তাব কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে গত বুধবার পথে নামে কুকি গোষ্ঠী। মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে মিছিলও করে কুকিরা। সেই মিছিলে সহিংসতার ঘটনায় পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে।

মেইতেইরা তফসিলি উপজাতিভুক্ত হলে এই তালিকাভুক্ত অন্যান্য উপজাতি গোষ্ঠীগুলো বনভূমিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে অধিকার হারাবে এমন আশঙ্কা তাদের আগে থেকেই। আদালতের নির্দেশের পর কুকিরা পথে নামলে সেই আশঙ্কা সহিংসতায় রূপ নেয়। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় গতকাল রাজ্যের ১১টি জেলায় কিছু সময়ের জন্য কারফিউ শিথিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে বাসিন্দাদের বাড়ির বাইরে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। সূত্র : এই সময়, হিন্দুস্তান টাইমস

বেলী /হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

মণিপুরের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইলেন সুপ্রিম কোর্ট

প্রকাশের সময় : ০৩:৪৭:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ মে ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে সহিংসতার ছয় দিনের মাথায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মুখ খুলেছেন। বলেছেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে’, যদিও সহিংসতা এড়াতে রাজ্যজুড়ে এখনো বলবৎ রাখা হয়েছে কারফিউ। এদিকে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে মণিপুরের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে চেয়েছেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। মণিপুরের সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই জনগোষ্ঠীর তফসিলি উপজাতিভুক্ত হওয়ার দাবি নিয়ে আদালতের রায়ের পর গত বুধবার থেকে জ্বলছে রাজ্যটি। গতকাল পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫৪ জনের। সেনা ক্যাম্পে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ২৩ হাজার জনকে। এই অবস্থায় পাওয়া গেল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য।

মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল সোমবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেকে সাক্ষাৎকার দেন অমিত শাহ। সাক্ষাৎকারে মন্ত্রী বলেন, ‘এই ইস্যুতে আদালতের তরফে একটি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। মণিপুর সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর এ নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।’

এদিকে মণিপুরের সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্যের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে চেয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। গতকাল মণিপুর সহিংসতার বিষয়ে বিশেষ তদন্তের আবেদন সংক্রান্ত শুনানিকালে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো জনগণকে সুরক্ষা দেওয়া, তাদের উদ্ধার করা এবং তাদের পুনর্বাসিত করা।’ পরিস্থিতি জানতে চেয়ে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বাস্তুচ্যুতদের অবশ্যই বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করতে হবে। উপাসনালয়গুলো সুরক্ষিত করতে হবে।

আরোও পড়ুন । গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ১২

মেইতেই জনগোষ্ঠীকে তফসিলি উপজাতিভুক্ত করা হবে কি না, এসংক্রান্ত একটি মামলায় তাৎপর্যপূর্ণ রায় দেন মণিপুর হাইকোর্ট। মেইতেইদের তফসিলি উপজাতিমুক্ত করার প্রস্তাব কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে গত বুধবার পথে নামে কুকি গোষ্ঠী। মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে মিছিলও করে কুকিরা। সেই মিছিলে সহিংসতার ঘটনায় পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে।

মেইতেইরা তফসিলি উপজাতিভুক্ত হলে এই তালিকাভুক্ত অন্যান্য উপজাতি গোষ্ঠীগুলো বনভূমিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে অধিকার হারাবে এমন আশঙ্কা তাদের আগে থেকেই। আদালতের নির্দেশের পর কুকিরা পথে নামলে সেই আশঙ্কা সহিংসতায় রূপ নেয়। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় গতকাল রাজ্যের ১১টি জেলায় কিছু সময়ের জন্য কারফিউ শিথিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে বাসিন্দাদের বাড়ির বাইরে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। সূত্র : এই সময়, হিন্দুস্তান টাইমস

বেলী /হককথা