নিউইয়র্ক ১২:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ভারতে বিবিসি কার্যালয়ে কর অভিযান দ্বিতীয় দিনে, ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ চালু

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:২৬:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৩৮ বার পঠিত

বিবিসির দিল্লি-মুম্বাই কার্যালয়ে ভারতের আয়কর কর্মকর্তারা অভিযান চালিয়েছেন। ছবি: টুইটার

দিল্লি ও মুম্বাইয়ে বিবিসির অফিসে আজ দ্বিতীয় দিনেও অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছেন ভারতের আয়কর কর্মকর্তারা। গতকাল মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া অনুসন্ধান অভিযান আজও চলছে। এদিকে সম্প্রচার চালু রাখতে কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে বিবিসি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র প্রকাশের কয়েক সপ্তাহ পর গণমাধ্যমটির কার্যালয়ে অভিযান চালায় ভারতের আয়কর কর্মকর্তারা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবিসি তাদের কর্মচারীদের একটি ই-মেল করে তাদের সম্প্রচার বিভাগ ছাড়া সবাইকে বাড়ি থেকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে। ই-মেল বার্তায় বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত আয়ের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তাঁরা উত্তর দেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারেন। কিন্তু তাঁদের বেতন সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন। কর কর্মকর্তাদের সহযোগিতা করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বজুড়ে মুক্ত গণমাধ্যমের গুরুত্বকে সমর্থন করি। আমরা মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতার গুরুত্বকে মানবাধিকার হিসেবে তুলে ধরেছি, যা বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে অবদান রাখে। এটি একটি দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে। এটা ভারতের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করেছে।’ যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। সূত্র জানিয়েছে, আজ আয়কর কর্মকর্তারা অ্যাকাউন্টগুলোতে ফোকাস করবেন এবং বিবিসির সিনিয়র কর্মকর্তাদের প্রশ্ন করবেন।

২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গায় নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা নিয়ে ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোশ্চেন’ নামে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশন (বিবিসি)। গত ১৭ জানুয়ারি দুই পর্বের তথ্যচিত্রটির প্রথম পর্ব লন্ডনে প্রকাশ করেছে বিবিসি। এরপর ২৪ জানুয়ারি দেখানো হয়েছে দ্বিতীয় পর্ব। ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোশ্চেন’ তথ্যচিত্রের প্রথম পর্ব প্রকাশের পর ২১ জানুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি আইনের অধীনে জরুরি ক্ষমতা ব্যবহার করে সরকার এই তথ্যচিত্রের ভিডিও লিংক ব্লক করার জন্য ইউটিউব ও টুইটারকে নির্দেশ দেয়। এরপর গোটা ভারত উত্তাল হয়ে ওঠে। দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে প্রদর্শিত হতে থাকে তথ্যচিত্রটি। এর প্রদর্শনী বন্ধ করতে পুলিশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চড়াও হয়। আটক করে অনেক শিক্ষার্থীকে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ভারতে বিবিসি কার্যালয়ে কর অভিযান দ্বিতীয় দিনে, ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ চালু

প্রকাশের সময় : ১১:২৬:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

দিল্লি ও মুম্বাইয়ে বিবিসির অফিসে আজ দ্বিতীয় দিনেও অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছেন ভারতের আয়কর কর্মকর্তারা। গতকাল মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া অনুসন্ধান অভিযান আজও চলছে। এদিকে সম্প্রচার চালু রাখতে কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে বিবিসি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র প্রকাশের কয়েক সপ্তাহ পর গণমাধ্যমটির কার্যালয়ে অভিযান চালায় ভারতের আয়কর কর্মকর্তারা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবিসি তাদের কর্মচারীদের একটি ই-মেল করে তাদের সম্প্রচার বিভাগ ছাড়া সবাইকে বাড়ি থেকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে। ই-মেল বার্তায় বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত আয়ের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তাঁরা উত্তর দেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারেন। কিন্তু তাঁদের বেতন সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন। কর কর্মকর্তাদের সহযোগিতা করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বজুড়ে মুক্ত গণমাধ্যমের গুরুত্বকে সমর্থন করি। আমরা মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতার গুরুত্বকে মানবাধিকার হিসেবে তুলে ধরেছি, যা বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে অবদান রাখে। এটি একটি দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে। এটা ভারতের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করেছে।’ যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। সূত্র জানিয়েছে, আজ আয়কর কর্মকর্তারা অ্যাকাউন্টগুলোতে ফোকাস করবেন এবং বিবিসির সিনিয়র কর্মকর্তাদের প্রশ্ন করবেন।

২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গায় নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা নিয়ে ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোশ্চেন’ নামে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশন (বিবিসি)। গত ১৭ জানুয়ারি দুই পর্বের তথ্যচিত্রটির প্রথম পর্ব লন্ডনে প্রকাশ করেছে বিবিসি। এরপর ২৪ জানুয়ারি দেখানো হয়েছে দ্বিতীয় পর্ব। ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোশ্চেন’ তথ্যচিত্রের প্রথম পর্ব প্রকাশের পর ২১ জানুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি আইনের অধীনে জরুরি ক্ষমতা ব্যবহার করে সরকার এই তথ্যচিত্রের ভিডিও লিংক ব্লক করার জন্য ইউটিউব ও টুইটারকে নির্দেশ দেয়। এরপর গোটা ভারত উত্তাল হয়ে ওঠে। দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে প্রদর্শিত হতে থাকে তথ্যচিত্রটি। এর প্রদর্শনী বন্ধ করতে পুলিশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চড়াও হয়। আটক করে অনেক শিক্ষার্থীকে।