ভারতে গণবিয়ের আসর নিয়ে বিতর্ক
- প্রকাশের সময় : ১১:৫২:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩
- / ১৭ বার পঠিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের মধ্যপ্রদেশে একটি গণবিয়ের আসর নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে উপহার হিসেবে দেওয়া প্রসাধনী বাক্সের ভিতরে জন্মনিরোধক পাওয়া গেছে। স্থানীয় জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, পরিবার পরিকল্পনা নিয়ে সচেতন করার জন্যই সম্ভবত এই উপহার দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
মধ্যপ্রদেশে শিবরাজ সিংহ চৌহান সরকারের কন্যা বিবাহ বা নিকাহ যোজনার অধীনে আর্থিকভাবে দুর্বল নারীদের বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সোমবার ঝাবুয়া জেলার ঠান্ডলায় গণবিবাহের আসর বসে। সেখানেই নববধূদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে প্রসাধনী বাক্স, যাতে রয়েছে জন্মনিরোধক সামগ্রী। জানা গেছে, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর ওই প্রকল্পের অধীনেই এই উপহার দেওয়া হয়েছে। প্রবীণ জেলা কর্মকর্তা ভুরসিংহ রাওয়াত জানিয়েছেন, ‘সম্ভবত রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরই এই জন্মনিরোধক বিলিয়েছে। পরিবার পরিকল্পনা নিয়ে সচেতন করতেই তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘‘আমরা কোনো জন্মনিরোধক বিলি করিনি। পরিবার পরিকল্পনা প্রকল্পের আওতায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর হয়তো বিলি করেছে এগুলো। মুখ্যমন্ত্রী কন্যা বিবাহ বা নিকাহ যোজনায় আমরা সরাসরি সুবিধাভোগীর অ্যাকাউন্টে ৪৯ হাজার রুপি ট্রান্সফার করে দেই। খাবার, পানি ও তাঁবু বাবদ খরচ করা হয় ছয় হাজার টাকা। যে প্যাকেট দেওয়া হয়েছিল, তার মধ্যে কী রয়েছে জানি না।’’
২০০৬ সালে মধ্যপ্রদেশে ‘কন্যা বিবাহ বা নিকাহ যোজনা’ চালু করা হয়। এই প্রকল্পের অধীনে আর্থিকভাবে অসচ্ছল পরিবারের নারীদের বিয়ের ব্যবস্থা করে সরকার। কনের পরিবারকে ৫৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। গত মাসেও মধ্যপ্রদেশের দিনদোরির গদসরাইয়ে একটি গণবিবাহের আসরকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়। অভিযোগ ওঠে, সেখানে কনেরা অন্তঃসত্ত্বা কিনা, পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষায় দেখা যায়, এক নারী গর্ভবতী। তিনি জানিয়েছিলেন, বিয়ের আগে থেকেই পাত্রের সঙ্গে একত্রবাস করছিলেন। দিনদোরির মুখ্য মেডিকেল কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, বর, কনের বয়স, শারীরিক সক্ষমতা মাপের জন্যই এই পরীক্ষা করা হয়েছিল। সূত্র : এবিপি
সুমি/হককথা