নিউইয়র্ক ০৭:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ভবন নির্মাণকারী ১১৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা তুরস্কের

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:১৩:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৬৫ বার পঠিত

আল জাজিরার প্রতিবেদন বলছে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি আঘাত হানা ভূমিকম্পটি এই অঞ্চলের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ। এর আগে, ১৯৯৯ সালে আগস্টে তুরস্কে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয় সেসময় ১৭ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়। এবার সেই রেকর্ড ভেঙে এখন পর্যন্ত দেশটিতে এককভাবে সাড়ে ২৪ হাজারের বেশি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

কেন এত মৃত্যু? কেন এত ধ্বংস? বিষয়টি নিয়ে প্রথম থেকেই নানান প্রশ্ন? ব্যাপক প্রাণহানির পাশাপাশি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে সাড়ে ছয় হাজারের বেশি ভবন। সুত্র বলছে, ভেঙ্গে পড়া এসব ভবন বিগত কয়েক বছরে নির্মান করা হয়েছে। তাই জনমনে ক্ষোভ, এসব ভবণ নিমার্ণে আইন মানা হয় নি।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইন এবং বিল্ডিং কোড মেনে এসব বিল্ডিং নির্মাণ করা হলে ভূমিকম্পের পরেও সেগুলো টিকে থাকার সম্ভাবনা ছিল। যদিও তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে আঘাত হানা ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮।

তুরস্কের বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভবন নির্মাণের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে সামনের দিনগুলোতে পরোয়ানা জারি ও গ্রেফতারের সংখ্যা আরও বাড়বে। রয়টার্স বলছে, এই ভূমিকম্পের প্রভাব প্রেসিডেন্ট যদি ঠিকমতো সামাল দিতে না পারেন তবে তার প্রভাব পড়বে আসন্ন নির্বাচনে। কারন চলতি বছর মে মাসে তুরস্কে নির্বাচনের কথা রয়েছে। ভবন নির্মাণকারী কোম্পানিগুলোর অদক্ষতা, দুর্নীতি ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের যোগসাজশের প্রতিবাদে তুরস্কের ভূমিকম্পপ্রবণ দক্ষিণাঞ্চলে এরই মধ্যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ভবন নির্মাণকারী ১১৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা তুরস্কের

প্রকাশের সময় : ০২:১৩:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

আল জাজিরার প্রতিবেদন বলছে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি আঘাত হানা ভূমিকম্পটি এই অঞ্চলের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ। এর আগে, ১৯৯৯ সালে আগস্টে তুরস্কে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয় সেসময় ১৭ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়। এবার সেই রেকর্ড ভেঙে এখন পর্যন্ত দেশটিতে এককভাবে সাড়ে ২৪ হাজারের বেশি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

কেন এত মৃত্যু? কেন এত ধ্বংস? বিষয়টি নিয়ে প্রথম থেকেই নানান প্রশ্ন? ব্যাপক প্রাণহানির পাশাপাশি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে সাড়ে ছয় হাজারের বেশি ভবন। সুত্র বলছে, ভেঙ্গে পড়া এসব ভবন বিগত কয়েক বছরে নির্মান করা হয়েছে। তাই জনমনে ক্ষোভ, এসব ভবণ নিমার্ণে আইন মানা হয় নি।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইন এবং বিল্ডিং কোড মেনে এসব বিল্ডিং নির্মাণ করা হলে ভূমিকম্পের পরেও সেগুলো টিকে থাকার সম্ভাবনা ছিল। যদিও তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে আঘাত হানা ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮।

তুরস্কের বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভবন নির্মাণের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে সামনের দিনগুলোতে পরোয়ানা জারি ও গ্রেফতারের সংখ্যা আরও বাড়বে। রয়টার্স বলছে, এই ভূমিকম্পের প্রভাব প্রেসিডেন্ট যদি ঠিকমতো সামাল দিতে না পারেন তবে তার প্রভাব পড়বে আসন্ন নির্বাচনে। কারন চলতি বছর মে মাসে তুরস্কে নির্বাচনের কথা রয়েছে। ভবন নির্মাণকারী কোম্পানিগুলোর অদক্ষতা, দুর্নীতি ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের যোগসাজশের প্রতিবাদে তুরস্কের ভূমিকম্পপ্রবণ দক্ষিণাঞ্চলে এরই মধ্যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।