আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাজ্যে জানুয়ারির পর শুক্রবার করোনার সর্বোচ্চ সংক্রমণ দেখা গেছে। দেশটির এক জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী এ তথ্য জানিয়েছেন। করোনার নতুন ধরনের সংক্রমণ ধীর করতে দেশটির সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ব্রিটেনের কমিউনিটি সেক্রেটারি মাইকেল গোব বলেন, দেশ মারাত্মক উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মুখে। কারণ, ওমিক্রন খুব দ্রুতবেগেই ছড়াচ্ছে। সংক্রমণ সংখ্যা দু’তিন দিনের মধ্যেই দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে।
যুক্তরাজ্য বলছে, শুক্রবার মোট সংক্রমণের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৮ হাজার ১৯৪ জনে। দেশটির আঞ্চলিক নেতাদের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের গোব বলেন, গত ৯ জানুয়ারির পর শুক্রবার করোনার সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছে। তখন করোনার সংক্রমণ ছিল ৫৯ হাজার ৯৩৭ ।
তিনি বলেন, লন্ডনে শনাক্ত করোনার সংক্রমণের ৩০ শতাংশই ওমিক্রন ধরনের। অথচ এ ধরন কেবলমাত্র দুই সপ্তাহ আগে যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হয়েছে।
দেশটির স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংস্থা বলছে, এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী মধ্য ডিসেম্বর নাগাদ ওমিক্রন করোনার নিয়ন্ত্রক ধরন হয়ে উঠবে।
সংস্থাটি বলছে, অ্যাস্ট্রোজেনেকা কিংবা ফাইজার ওমিক্রন প্রতিরোধে অল্পই কার্যকর। কিন্তু বুস্টার ডোজ ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারবে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ইতোমধ্যে বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ ঘোষণা করেছেন। একে তিনি ‘প্ল্যান বি’ নামে বর্ণনা করেছেন।
নতুন ঘোষিত বিধি নিষেধ নিয়ে পার্লামেন্টে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে এবং আগামী সপ্তাহে হাউজ অব কমন্সে ভোটাভুটি হবে। সূত্র: বাসস।