নিউইয়র্ক ১১:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বুশকে জুতা ছুড়ে অনুতপ্ত নন সেই ইরাকি সাংবাদিক

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৩১:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩
  • / ৬২ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মুনতাজার আল-জাইদি। সাবেক যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশকে জুতা ছুড়ে মেরে সারা বিশ্বে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন। বললেন, সেদিনের জন্য মোটেই অনুতপ্ত নন তিনি। যুক্তরাষ্ট্র, বুশ ও ইরাকের রাজনৈতিক ব্যক্তিদের প্রতি এখনও একইভাবেই ক্ষোভ পুষে রেখেছেন এই সাংবাদিক। ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের পতনের ২০ বছর উপলক্ষ্যে রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন তিনি। ২০০৩ সালের ২০ মার্চ ইরাকে আগ্রাসন চালিয়ে বিশ্বজুড়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেন বুশ। তারপর তিনি ২০০৮ সালে বাগদাদ সফরে যান। তার এই সফরকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে ছিল কড়া নিরাপত্তা। তবুও অঘটন এড়াতে পারেনি ইরাক।

সে বছর ১৪ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলনে বুশ অংশ নেন। বুশের ঠিক পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ইরাকের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নুরি আল-মালিকিও। এক ইরাকি টেলিভিশনের সাংবাদিক সংবাদ সম্মেলনে তাকে জুতা ছুড়ে মারেন, সঙ্গে দেন গালিও। বলেছিলেন, ‘কুকুর, এটা আপনার জন্য ইরাকিদের পক্ষ থেকে বিদায়ী ভালোবাসা।’ আরব সংস্কৃতিতে কাউকে জুতা ছুড়ে মারাকে ‘চরম অপমান’ বিবেচনা করা হয়। বুশকে অপমান করতে ঠিক এই কাজটিই করেছিলেন সাংবাদিক জাইদি। ইরাকে যুক্তরাষ্ট্র হামলা শুরুর দুই দশক পেরিয়ে গেছে। জুতার ঘটনারও এক যুগের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। এখনো বুশের প্রতি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি, ইরাকি রাজনীতিকদের প্রতি ক্ষোভ কমেনি জাইদির।

আরোও পড়ুন । ইউক্রেনকে আন্তর্জাতিক নৌপথ থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে রাশিয়া

তিনি বলেন, ২০ বছর আগে আগ্রাসনকারীদের হাত ধরে যারা ক্ষমতায় এসেছিলেন, তারা চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। দুর্নীতির সাগরে ডুবে আছেন তারা। এখনো ক্ষমতায় রয়ে গেছেন। যুক্তরাষ্ট্র খুব ভালো করেই জানে, তারা অন্যায়ভাবে ভুয়া রাজনীতিকদের ক্ষমতায় নিয়ে এসেছিল। জর্জ বুশকে জুতা ছুড়ে মারার কারণে গ্রেফতার হন জাইদি। ছয় মাস কারাগারে থাকতে হয় তাকে। পরে মুক্তি পেয়ে দেশ ছেড়ে লেবাননে পাড়ি জমান। যদিও ২০১৮ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে ইরাকে ফেরেন জাইদি। ইরাকে চলমান লাগামহীন দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়তে ভোটে দাঁড়ান তিনি। কিন্তু জিততে পারেননি।

সাথী / হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বুশকে জুতা ছুড়ে অনুতপ্ত নন সেই ইরাকি সাংবাদিক

প্রকাশের সময় : ০৩:৩১:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মুনতাজার আল-জাইদি। সাবেক যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশকে জুতা ছুড়ে মেরে সারা বিশ্বে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন। বললেন, সেদিনের জন্য মোটেই অনুতপ্ত নন তিনি। যুক্তরাষ্ট্র, বুশ ও ইরাকের রাজনৈতিক ব্যক্তিদের প্রতি এখনও একইভাবেই ক্ষোভ পুষে রেখেছেন এই সাংবাদিক। ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের পতনের ২০ বছর উপলক্ষ্যে রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন তিনি। ২০০৩ সালের ২০ মার্চ ইরাকে আগ্রাসন চালিয়ে বিশ্বজুড়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেন বুশ। তারপর তিনি ২০০৮ সালে বাগদাদ সফরে যান। তার এই সফরকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে ছিল কড়া নিরাপত্তা। তবুও অঘটন এড়াতে পারেনি ইরাক।

সে বছর ১৪ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলনে বুশ অংশ নেন। বুশের ঠিক পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ইরাকের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নুরি আল-মালিকিও। এক ইরাকি টেলিভিশনের সাংবাদিক সংবাদ সম্মেলনে তাকে জুতা ছুড়ে মারেন, সঙ্গে দেন গালিও। বলেছিলেন, ‘কুকুর, এটা আপনার জন্য ইরাকিদের পক্ষ থেকে বিদায়ী ভালোবাসা।’ আরব সংস্কৃতিতে কাউকে জুতা ছুড়ে মারাকে ‘চরম অপমান’ বিবেচনা করা হয়। বুশকে অপমান করতে ঠিক এই কাজটিই করেছিলেন সাংবাদিক জাইদি। ইরাকে যুক্তরাষ্ট্র হামলা শুরুর দুই দশক পেরিয়ে গেছে। জুতার ঘটনারও এক যুগের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। এখনো বুশের প্রতি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি, ইরাকি রাজনীতিকদের প্রতি ক্ষোভ কমেনি জাইদির।

আরোও পড়ুন । ইউক্রেনকে আন্তর্জাতিক নৌপথ থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে রাশিয়া

তিনি বলেন, ২০ বছর আগে আগ্রাসনকারীদের হাত ধরে যারা ক্ষমতায় এসেছিলেন, তারা চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। দুর্নীতির সাগরে ডুবে আছেন তারা। এখনো ক্ষমতায় রয়ে গেছেন। যুক্তরাষ্ট্র খুব ভালো করেই জানে, তারা অন্যায়ভাবে ভুয়া রাজনীতিকদের ক্ষমতায় নিয়ে এসেছিল। জর্জ বুশকে জুতা ছুড়ে মারার কারণে গ্রেফতার হন জাইদি। ছয় মাস কারাগারে থাকতে হয় তাকে। পরে মুক্তি পেয়ে দেশ ছেড়ে লেবাননে পাড়ি জমান। যদিও ২০১৮ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে ইরাকে ফেরেন জাইদি। ইরাকে চলমান লাগামহীন দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়তে ভোটে দাঁড়ান তিনি। কিন্তু জিততে পারেননি।

সাথী / হককথা