নিউইয়র্ক ০৩:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বুরুন্ডিতে কারাগারে অগ্নিকাণ্ডে ৩৮ বন্দির মৃত্যু

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:১১:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ৬২ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বুরুন্ডির রাজধানী গিটেগায় সেন্ট্রাল জেলে আগুন লেগে অন্ততপক্ষে ৩৮ জন বন্দির মৃত্যু হয়েছে। জনাকীর্ন কারাগারটিতে গতকাল মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় ভোররাত ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এতে আরও ৬৯ জন আহত হয়েছে ও কারাগারে বেশকিছু কক্ষ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রসপার বাজোমবানজা এ কথা জানিয়েছেন। তিনি কয়েকজন সিনিয়র মন্ত্রীর সাথে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এক বন্দি জানিয়েছেন, আগুন লাগার পরেও রক্ষীরা সেলগুলো খোলার ব্যাপারে দ্বিধাগ্রস্ত ছিল। আমরা যখন আগুন দেখি, তখনই চিৎকার করে সেল খুলতে বলি। আমরা বলি, সেল না খুললে আমরা জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মারা যাব। কিন্তু রক্ষীরা তাও সেলের দরজা খুলতে রাজি হয়নি।

আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এই নিয়ে ওই কারাগারে চলতি বছরে দ্বিতীয়বার আগুন লাগলো। গত আগস্টে একবার আগুন লেগেছিল। তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, শর্ট সার্কিটের জন্যই আগুন লাগে। ওই সময়ে কারও মৃত্যু হয়নি।

স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে, ওই জেলে চারশ জন বন্দি থাকার কথা; কিন্তু ছিল এক হাজার ৫০০ জন। এটা অবশ্য বুরুন্ডির বরাবরের সমস্যা। গত জুনে জেলগুলো খালি করার জন্য পাঁচ হাজার ২৫৫ জন বন্দিকে মুক্তি দেয়া হয়।

এখন বুরুন্ডির কারাগারে ১৩ হাজার ২০০ জন বন্দি আছে। অথচ কারাগারে থাকার জায়গা আছে মাত্র চার হাজার একশ জনের। -ডয়চে ভেলে ও আল জাজিরা

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বুরুন্ডিতে কারাগারে অগ্নিকাণ্ডে ৩৮ বন্দির মৃত্যু

প্রকাশের সময় : ০১:১১:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বুরুন্ডির রাজধানী গিটেগায় সেন্ট্রাল জেলে আগুন লেগে অন্ততপক্ষে ৩৮ জন বন্দির মৃত্যু হয়েছে। জনাকীর্ন কারাগারটিতে গতকাল মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় ভোররাত ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এতে আরও ৬৯ জন আহত হয়েছে ও কারাগারে বেশকিছু কক্ষ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রসপার বাজোমবানজা এ কথা জানিয়েছেন। তিনি কয়েকজন সিনিয়র মন্ত্রীর সাথে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এক বন্দি জানিয়েছেন, আগুন লাগার পরেও রক্ষীরা সেলগুলো খোলার ব্যাপারে দ্বিধাগ্রস্ত ছিল। আমরা যখন আগুন দেখি, তখনই চিৎকার করে সেল খুলতে বলি। আমরা বলি, সেল না খুললে আমরা জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মারা যাব। কিন্তু রক্ষীরা তাও সেলের দরজা খুলতে রাজি হয়নি।

আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এই নিয়ে ওই কারাগারে চলতি বছরে দ্বিতীয়বার আগুন লাগলো। গত আগস্টে একবার আগুন লেগেছিল। তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, শর্ট সার্কিটের জন্যই আগুন লাগে। ওই সময়ে কারও মৃত্যু হয়নি।

স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে, ওই জেলে চারশ জন বন্দি থাকার কথা; কিন্তু ছিল এক হাজার ৫০০ জন। এটা অবশ্য বুরুন্ডির বরাবরের সমস্যা। গত জুনে জেলগুলো খালি করার জন্য পাঁচ হাজার ২৫৫ জন বন্দিকে মুক্তি দেয়া হয়।

এখন বুরুন্ডির কারাগারে ১৩ হাজার ২০০ জন বন্দি আছে। অথচ কারাগারে থাকার জায়গা আছে মাত্র চার হাজার একশ জনের। -ডয়চে ভেলে ও আল জাজিরা