নিউইয়র্ক ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বুচা শহরের রাস্তায় ধ্বংস হওয়া ট্যাংক আর লাশের সারি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৫৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ এপ্রিল ২০২২
  • / ৩৬ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাস্তার উপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে মরদেহ। পচা দুর্গন্ধে বাতাস ভারী। প্রায় জনমানবহীন শহর। চারদিকে গোলাবারুদের দগদগে ক্ষত। রাস্তায় পড়ে রয়েছে ধ্বংস হওয়া রাশিয়ার ট্যাংক। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরের বুচা শহর যেন জলজ্যান্ত এক মৃত্যুপুরী।
বুচা শহরের মেয়র গতকাল শনিবার (২ এপ্রিল) বলেছেন, সেখানকার রাস্তায় রাস্তায় মরদেহ পড়ে আছে। ইতোমধ্যে ২৮০ জনকে গণকবরে সমাহিত করা হয়েছে।
কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছোট এই শহরটি ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী পুনর্দখল করার পর এই তথ্য সামনে এসেছে। রাজধানী কিয়েভে প্রবেশ করতে হলে শহরটি পার করতে হয়।
রুশ সেনাদের কাছ থেকে কিয়েভের পুনর্দখল নেওয়ার দাবি করে ইউক্রেনীয় বাহিনী। কিয়েভের‍ উপকণ্ঠে বুচা শহরের অবস্থান। প্রায় এক মাস ধরে রুশ সেনাবাহিনীর দখলে থাকার পর সম্প্রতি এটিরও নিয়ন্ত্রণ নেয় ইউক্রেন। গতকাল এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শহরটির বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেন মেয়র আনাতোলি ফেদোরুক।
টেলিফোনে তিনি বলেন, যুদ্ধে প্রচণ্ডভাবে বিধ্বস্ত শহরটির রাস্তায় রাস্তায় মরদেহ পড়ে আছে। ইতোমধ্যে ২৮০ জনকে গণকবর দেওয়া হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে নারী-পুরুষ রয়েছে। ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরের মরদেহও পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
ফেদোরুক বলেন, শহরের রাস্তায় এমন কিছু গাড়ি পড়ে আছে, যার ভেতরে মৃতদেহ আছে। তাদের অনেককে সপরিবার হত্যা করা হয়েছে। কেউ কেউ বুচানকা নদী পার হয়ে ইউক্রেন নিয়ন্ত্রিত এলাকায় যাওয়ার চেষ্টার সময় হত্যার শিকার হয়।
এএফপি বলেছে, গতকাল শুধু বুচা শহরের একটি রাস্তাতেই কমপক্ষে ২০টি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেছে তারা। তাদের সবার পরনে ছিল বেসামরিক পোশাক।
বুচার মেয়র বলেন, এসব মানুষকে মাথার পেছন দিক থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তবে রুশ বাহিনীর সাথে লড়াইয়ে ঠিক কতজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে, তা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।
ইউক্রেনের ন্যাটো সামরিক জোটে যোগদানের পদক্ষেপকে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি ঘোষণা দিয়ে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে হামলা শুরু করে রাশিয়া। আগ্রাসন শুরুর দুই বা তিনদিনের মধ্যে কিয়েভের কাছে বুচা শহরে পৌঁছে গিয়েছিল রুশ বাহিনী। -এএফপি
হককথা/এমউএ

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বুচা শহরের রাস্তায় ধ্বংস হওয়া ট্যাংক আর লাশের সারি

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ এপ্রিল ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাস্তার উপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে মরদেহ। পচা দুর্গন্ধে বাতাস ভারী। প্রায় জনমানবহীন শহর। চারদিকে গোলাবারুদের দগদগে ক্ষত। রাস্তায় পড়ে রয়েছে ধ্বংস হওয়া রাশিয়ার ট্যাংক। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরের বুচা শহর যেন জলজ্যান্ত এক মৃত্যুপুরী।
বুচা শহরের মেয়র গতকাল শনিবার (২ এপ্রিল) বলেছেন, সেখানকার রাস্তায় রাস্তায় মরদেহ পড়ে আছে। ইতোমধ্যে ২৮০ জনকে গণকবরে সমাহিত করা হয়েছে।
কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছোট এই শহরটি ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী পুনর্দখল করার পর এই তথ্য সামনে এসেছে। রাজধানী কিয়েভে প্রবেশ করতে হলে শহরটি পার করতে হয়।
রুশ সেনাদের কাছ থেকে কিয়েভের পুনর্দখল নেওয়ার দাবি করে ইউক্রেনীয় বাহিনী। কিয়েভের‍ উপকণ্ঠে বুচা শহরের অবস্থান। প্রায় এক মাস ধরে রুশ সেনাবাহিনীর দখলে থাকার পর সম্প্রতি এটিরও নিয়ন্ত্রণ নেয় ইউক্রেন। গতকাল এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শহরটির বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেন মেয়র আনাতোলি ফেদোরুক।
টেলিফোনে তিনি বলেন, যুদ্ধে প্রচণ্ডভাবে বিধ্বস্ত শহরটির রাস্তায় রাস্তায় মরদেহ পড়ে আছে। ইতোমধ্যে ২৮০ জনকে গণকবর দেওয়া হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে নারী-পুরুষ রয়েছে। ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরের মরদেহও পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
ফেদোরুক বলেন, শহরের রাস্তায় এমন কিছু গাড়ি পড়ে আছে, যার ভেতরে মৃতদেহ আছে। তাদের অনেককে সপরিবার হত্যা করা হয়েছে। কেউ কেউ বুচানকা নদী পার হয়ে ইউক্রেন নিয়ন্ত্রিত এলাকায় যাওয়ার চেষ্টার সময় হত্যার শিকার হয়।
এএফপি বলেছে, গতকাল শুধু বুচা শহরের একটি রাস্তাতেই কমপক্ষে ২০টি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেছে তারা। তাদের সবার পরনে ছিল বেসামরিক পোশাক।
বুচার মেয়র বলেন, এসব মানুষকে মাথার পেছন দিক থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তবে রুশ বাহিনীর সাথে লড়াইয়ে ঠিক কতজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে, তা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।
ইউক্রেনের ন্যাটো সামরিক জোটে যোগদানের পদক্ষেপকে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি ঘোষণা দিয়ে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে হামলা শুরু করে রাশিয়া। আগ্রাসন শুরুর দুই বা তিনদিনের মধ্যে কিয়েভের কাছে বুচা শহরে পৌঁছে গিয়েছিল রুশ বাহিনী। -এএফপি
হককথা/এমউএ