নিউইয়র্ক ১২:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বিয়ে করলেন মালালা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:২২:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ নভেম্বর ২০২১
  • / ৩৭ বার পঠিত

বিয়ে করলেন পাকিস্তানের নারী শিক্ষা অধিকারকর্মী ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী মালালা ইউসুফজাই। যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে একটি ছোট ঘরোয়া অনুষ্ঠানে বসল পাকিস্তানি এই কন্যার বিয়ের আসর। পাত্র আসার মালিক পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তা।

গতকাল মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) রাতে মালালা এক টুইট বার্তায় নিজের বিয়ের খবর জানিয়েছেন।

বিয়ের ছবি পোস্ট করে মালালা লেখেন, ‘আমার জীবনের একটি মূল্যবান মুহূর্ত। আসার ও আমি আজীবনের সঙ্গী হওয়ার জন্য আজ গাঁটছড়া বাঁধলাম।’

তিনি আরও লেখেন, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে স্বল্পপরিসরে বার্মিংহামের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আমাদের জন্য দোয়া করবেন। বাকি জীবন আমরা একসঙ্গে কাটাতে চাই।

একে তো নোবেলজয়ীর বিয়ের আসর, তার উপর মালালা তার জীবনযুদ্ধের জন্য আন্তর্জাতিক মহলে পরিচিত। তবে বিয়ের আসরে জাঁকজমক ছিল না একেবারেই।

বিয়ের সাজপোশাকে বাহুল্য ছিল না মালালার। পিচ রঙের সালোয়ার কামিজ পরেছিলেন। মাথায় ছিল ওড়না। স্বামী ও মা-বাবার সঙ্গে ছবি দিয়ে টুইটারে মালালা লিখেছেন, ‘আপনারা আশীর্বাদ করুন। আগামীর সফরে একসঙ্গে শুরু করার এই মুহূর্তে আমরা উত্তেজিত।’

বর আসার মালিকও মালালার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার কথা জানাতে নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, তিনি মালালাকে আংটি পরিয়ে দিচ্ছেন।

মালালার বয়স এখন ২৪ বছর। তিনি মেয়েদের শিক্ষা নিয়ে আন্দোলন করেছেন। তালেবানের বাধার পরও নারী শিক্ষা বিস্তারে কাজ করে যাওয়ায় ২০১২ সালে জঙ্গিরা তাকে গুলি করে। কিন্তু ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান। এ সময় চিকিৎসার জন্য তাঁকে যুক্তরাজ্যে নেওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি পরিবারসহ যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন।

এরপর ১৬ বছর বয়সে রাষ্ট্রপুঞ্জে বক্তৃতা দেন মালালা। শিক্ষার অধিকারে লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে বরাবর সরব হয়েছেন তিনি। ২০১৪ সালের ১০ অক্টোবর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয় মালালাকে। ২০২০ সালে মালালার নামে স্কুলও খোলা হয় টেক্সাসে।

এরই মধ্যে আত্মজীবনী লিখেছে এ নোবেলজয়ী কিশোরী। বইয়ের নাম আই অ্যাম মালালা: হাউ ওয়ান গার্ল স্টুড আপ ফর এডুকেশন অ্যান্ড চেঞ্জড দ্য ওয়ার্ল্ড। বইটি ঠাঁই করে নিয়েছে অ্যামাজনের সর্বাধিক বিক্রীত বইয়ের তালিকায়।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বিয়ে করলেন মালালা

প্রকাশের সময় : ০৭:২২:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ নভেম্বর ২০২১

বিয়ে করলেন পাকিস্তানের নারী শিক্ষা অধিকারকর্মী ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী মালালা ইউসুফজাই। যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে একটি ছোট ঘরোয়া অনুষ্ঠানে বসল পাকিস্তানি এই কন্যার বিয়ের আসর। পাত্র আসার মালিক পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তা।

গতকাল মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) রাতে মালালা এক টুইট বার্তায় নিজের বিয়ের খবর জানিয়েছেন।

বিয়ের ছবি পোস্ট করে মালালা লেখেন, ‘আমার জীবনের একটি মূল্যবান মুহূর্ত। আসার ও আমি আজীবনের সঙ্গী হওয়ার জন্য আজ গাঁটছড়া বাঁধলাম।’

তিনি আরও লেখেন, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে স্বল্পপরিসরে বার্মিংহামের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আমাদের জন্য দোয়া করবেন। বাকি জীবন আমরা একসঙ্গে কাটাতে চাই।

একে তো নোবেলজয়ীর বিয়ের আসর, তার উপর মালালা তার জীবনযুদ্ধের জন্য আন্তর্জাতিক মহলে পরিচিত। তবে বিয়ের আসরে জাঁকজমক ছিল না একেবারেই।

বিয়ের সাজপোশাকে বাহুল্য ছিল না মালালার। পিচ রঙের সালোয়ার কামিজ পরেছিলেন। মাথায় ছিল ওড়না। স্বামী ও মা-বাবার সঙ্গে ছবি দিয়ে টুইটারে মালালা লিখেছেন, ‘আপনারা আশীর্বাদ করুন। আগামীর সফরে একসঙ্গে শুরু করার এই মুহূর্তে আমরা উত্তেজিত।’

বর আসার মালিকও মালালার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার কথা জানাতে নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, তিনি মালালাকে আংটি পরিয়ে দিচ্ছেন।

মালালার বয়স এখন ২৪ বছর। তিনি মেয়েদের শিক্ষা নিয়ে আন্দোলন করেছেন। তালেবানের বাধার পরও নারী শিক্ষা বিস্তারে কাজ করে যাওয়ায় ২০১২ সালে জঙ্গিরা তাকে গুলি করে। কিন্তু ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান। এ সময় চিকিৎসার জন্য তাঁকে যুক্তরাজ্যে নেওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি পরিবারসহ যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন।

এরপর ১৬ বছর বয়সে রাষ্ট্রপুঞ্জে বক্তৃতা দেন মালালা। শিক্ষার অধিকারে লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে বরাবর সরব হয়েছেন তিনি। ২০১৪ সালের ১০ অক্টোবর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয় মালালাকে। ২০২০ সালে মালালার নামে স্কুলও খোলা হয় টেক্সাসে।

এরই মধ্যে আত্মজীবনী লিখেছে এ নোবেলজয়ী কিশোরী। বইয়ের নাম আই অ্যাম মালালা: হাউ ওয়ান গার্ল স্টুড আপ ফর এডুকেশন অ্যান্ড চেঞ্জড দ্য ওয়ার্ল্ড। বইটি ঠাঁই করে নিয়েছে অ্যামাজনের সর্বাধিক বিক্রীত বইয়ের তালিকায়।