বিশ্ব নেতারা কেন রাতের ট্রেনে কিয়েভ যান?

- প্রকাশের সময় : ০৮:৫০:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জুন ২০২২
- / ৬৩ বার পঠিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করে ২৪ ফেব্রুয়ারি৷ এর প্রায় তিন সপ্তাহ পর যুদ্ধের মধ্যেই কিয়েভ সফর করেন পোল্যান্ড, স্লোভেনিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্রের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ৷ এরপর পশ্চিমা আরও অনেক নেতা কিয়েভ সফর করেছেন৷
সবশেষে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ ও ইটালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাগি বৃহস্পতিবারসকালে ট্রেনে করে কিয়েভ পৌঁছান৷
তাদের আগে কিয়েভ যাওয়া সব নেতৃবৃন্দই ট্রেনেকরে সেখানে গেছেন৷ কারণ যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত কিয়েভের আকাশসীমা বন্ধ আছে৷ আর এখনও যুদ্ধ চলায় কিয়েভে ঢোকার সড়কপথও নিরাপদ নয়৷ তাই রেলপথ ছাড়া কোনো উপায় নেই৷ যদিও পশ্চিমা অস্ত্র পরিবহন বাধাগ্রস্ত করতে বিভিন্ন সময় রেলস্টেশন ও রেলপথে হামলা করেছে রাশিয়া৷ যেমন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন যেদিন কিয়েভ সফর করেন সেদিন পূর্ব ইউক্রেনের ক্রামাটোর্স্ক শহরের রেলস্টেশনে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় ৫০ জনের বেশি মানুষ মারা যান৷
আরও যে নেতারা কিয়েভ সফর করেছেন তাদের মধ্যে আছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো,যুক্তরাষ্ট্রের মাপররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন, জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক, জার্মানির বিরোধী দলের নেতা ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস৷
নিরাপত্তা ব্যবস্থা
পোল্যান্ড ও ইউক্রেনের রেল লাইনের প্রস্থ আলাদা হওয়ায় পশ্চিমা নেতাদের পোল্যান্ড সীমান্ত থেকে ট্রেন পরিবর্তন করে ইউক্রেনের ট্রেনে উঠতে হয়েছে৷ এই সময় নেতাদের নিরাপত্তায় ইউক্রেনের নিরাপত্তা কর্মীরা ছাড়াও যার যার নিজস্ব দেশের নিরাপত্তা কর্মীরাও মোতায়েন ছিলেন৷
এছাড়া নেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সফরের খবর যতটা সম্ভবগোপন রাখার চেষ্টা করা হয়েছে৷ যেমন গত এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সফর শেষ হওয়ার পর সেই সংবাদ প্রচার করা হয়েছিল৷ কিন্তু ব্যতিক্রমও হয়েছে৷ যেমন কিয়েভ যাওয়ার সময়ই সেই সফরের খবর প্রকাশ করে দিয়েছিলেন পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাটেওশ মোরাভিয়েৎস্কি৷ বিষয়টিতে খুশি হননি ইউক্রেনের রেলওয়ের প্রধান ওলেকজান্ডার কামিশিন৷ সিএনএনকে তিনি বলেছিলেন, ‘‘সংহতি প্রকাশের বিষয়টি প্রশংসার যোগ্য, কিন্তু বিজ্ঞাপন করাটা একটু তাড়াতাড়ি হয়ে গেছে৷” যুদ্ধ শুরুর পর থেকে কামিশিন তার দল নিয়ে একটি ট্রেনে অফিস করছেন৷ এবং এই ট্রেন নিয়মিত তার স্থান পরিবর্তন করে৷ কখন কোথায় থাকেন সেটি তিনি তার সন্তানদেরও জানান না এবং সন্তানদেরও তাদের অবস্থান প্রকাশ না করার পরামর্শ দিয়েছেন৷ ‘‘সবাইকে বুঝতে হবে যে যুদ্ধ চলছে৷ কিন্তু আমিতো প্রধানমন্ত্রীদের পরামর্শ দিতে পারি না৷”
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট ফন ডেয়ার লাইয়েনও যাত্রা শুরুর আগে তার ঘোষণা দিয়েছিলেন৷ আর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসন কিয়েভে থাকার সময়ই টুইটারে সেটি প্রকাশ করেছিল লন্ডনের ইউক্রেন দূতাবাস৷
হককথা/এমউএ