বিশ্বে খাদ্যের দাম দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন

- প্রকাশের সময় : ০২:৩৯:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ৮৪ বার পঠিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বের প্রধান খাদ্যপণ্যগুলোর দাম গত দুই বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে এখন সর্বনিম্ন। চাল ও চিনির দাম বাড়লেও এর আগের মাসে বেশিরভাগ খাদ্যপণ্যের দাম তুলনামূলক বেশ কমে যাওয়ায় সার্বিক মূল্যসূচক নিম্নমুখী রয়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) গত শুক্রবার আগস্ট মাসের সূচক প্রকাশ করেছে, যেখানে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। সংস্থাটির খাদ্য মূল্যসূচক আগস্টে ১২১ দশমিক ৪-এ নেমে এসেছে, যা গত জুলাই মাসে ছিল ১২৪ পয়েন্ট। ২০২১ সালে মার্চের পর এই সূচক এতটা আর কমেনি।
বৈশ্বিকভাবে সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য হয়, এমন পণ্যদ্রব্যের দাম ওঠানামার ওপর নজর রাখে জাতিসংঘের এ সংস্থাটি। সংস্থাটি বলেছে, এর আগে ২০২২ সালের মার্চে খাদ্য সূচক সর্বকালের রেকর্ড ছুঁয়েছিল। সেই তুলনায় আগস্টে সার্বিক সূচক ২৪ শতাংশ কমেছে। এর অর্থ হলো ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর ২০২২ সালের মার্চে পৌঁছানো সর্বকালের সর্বোচ্চ খাদ্যমূল্যের সূচক এখন ২৪ শতাংশ কমে এসেছে।
দুগ্ধজাত পণ্য, তেলবীজ, মাংস, দানাজাতীয় খাদ্যপণ্যসহ প্রায় সব ধরনের খাবারের দামই কমেছে। ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে শস্যচুক্তি বাতিল হওয়ার পরও গম বা ভুট্টার বাজারে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। ব্রাজিলের উদ্বৃত্ত উৎপাদন আর যুক্তরাষ্ট্রে ফসল তোলার সময় ঘনিয়ে আসায় এই দুই খাদ্যের দামই বরং কমেছে। গত টানা সাত মাসে ভুট্টার দাম প্রায় তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে এসেছে। ভোজ্যতেলের দাম কমেছে ৩ দশমিক ১ শতাংশ। আর দুগ্ধজাত পণ্যের দাম ৪ শতাংশ কমেছে।
তবে ব্যতিক্রম চালের বাজার। জুলাই মাসে ভারত ইন্ডিকা সাদা চালের রপ্তানি নিষিদ্ধ করে। এতে নতুন ফসল ওঠার আগে চালের বাণিজ্য ব্যাহত হওয়ায় এই পণ্যের দাম বেড়ে যায়। ভারতের এই রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় বিশ্ববাজারে এর দাম ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। জুলাইয়ের তুলনায় আগস্টে চালের দাম ১০ শতাংশ বেড়েছে।
এল নিনো আবহাওয়া পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে চিনি সরবরাহ হুমকির মুখে পড়েছে বলে মনে করে এফএও। এ কারণে চিনির সূচক আগস্টে ১ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে, যা চলতি বছরের আগের তুলনায় ৩৪ শতাংশ বেশি। এতে অন্যান্য পণ্যের দাম কমলেও এটির বেড়েছে। গত মাসে চিনির মূল্যসূচক বেড়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। তবে সামগ্রিক সূচকে দুগ্ধজাত পণ্য, উদ্ভিজ্জ তেল, মাংস ও খাদ্যশস্যের দাম কমে গেছে।
খাদ্যশস্যের সরবরাহ ও চাহিদা সম্পর্কিত একটি পৃথক প্রতিবেদনে এফএও চলতি বছর বিশ্ব শস্য উৎপাদনের পূর্বাভাস দিয়েছে ২ দশমিক ৮১৫ বিলিয়ন টন, যা আগের ধারণা করা ২ দশমিক ৮১৯ বিলিয়ন টনের থেকে সামান্য কম। সূত্র : আমাদের সময়
বেলী/হককথা