আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোতে সেনাবাহিনীর বিদ্রোহের একদিন পর দেশটির প্রেসিডেন্ট রক কাবোরেকে বিদ্রোহী সৈন্যরা আটক করে রেখেছে।
নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রগুলো জানিয়েছে, রাজধানী ওয়াগাডুগুর একটি ব্যারাকে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শীর্ষস্থানীয় আরও কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তাও রয়েছেন। গত রবিবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে কাবোরের বাসভবনে গোলাগুলি হয়েছে।
খবরে বলা হচ্ছে, সৈন্যরা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলের অফিস ঘিরে রেখেছে। তবে দেশটিতে ঠিক কী হচ্ছে সেই চিত্রটা খুব একটা পরিষ্কার নয়। ইন্টারনেটসহ যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হওয়ায় রাজধানীর পরিস্থিতি অনেকটাই অস্পষ্ট।
তবে বিভিন্ন সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে, বিদ্রোহী সৈন্যরা বেশ কয়েকজন উর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাসহ প্রেসিডেন্ট রক কাবোরেকে সেনাবাহিনীর একটি ব্যারাকে আটক করে রেখেছে। এর আগে প্রেসিডেন্টের বাসভবন ও সেনাবাহিনীর ব্যারাকে প্রচুর গোলাগুলি হয়।
কিন্তু রবিবার বুরকিনা ফাসোর সরকার সামরিক বাহিনীর অভ্যুত্থান কিম্বা প্রেসিডেন্টকেব গৃহবন্দী করে রাখার খবর অস্বীকার করে।
রাজধানী ওয়াগাডুগু থেকে যেসব ভিডিও পাওয়া যাচ্ছে তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রেসিডেন্ট কাবোরে যেসব সাঁজোয়া গাড়ি ব্যবহার করেন তার অনেকগুলো রাস্তায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। কোনো কোনো গাড়ি গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গেছে।
তবে বর্তমানে শহরের পরিবেশ আপাতত শান্ত। সৈন্যরা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের সদর দপ্তরের ঘিরে রেখেছে এবং গতকাল সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সেখানে লাইভ অনুষ্ঠানের সম্প্রচার বন্ধ ছিল।
এর আগে রবিবার বিদ্রোহী সৈন্যদের সমর্থন জানিয়ে শত শত মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। অনেকে ক্ষমতাসীন দলের কার্যালয়গুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারপরেই রাতে সেখানে কারফিউ জারি করা হয়।
সংবাদদাতারা জানান, গত রাতের পর থেকে প্রেসিডেন্ট কাবোরের পক্ষ থেকে কিছু শোনা যায়নি। কিন্তু তার আগে তিনি আফ্রিকা কাপ অব ন্যাশন্সের একটি ম্যাচে বুরকিনা ফাসোর বিজয়ের পর জাতীয় দলকে অভিনন্দন জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন।
গত কয়েক মাস ধরেই বারকিনা ফাসোর সরকারের ওপর সেনাবাহিনীর কিছু অংশ এবং জনগণের দিক থেকে চাপ তৈরি হচ্ছিল। তাদের অভিযোগ যে ইসলামপন্থী জঙ্গি তৎপরতা বন্ধে কাবোরের সরকার ব্যর্থ হয়েছে। এজন্য তারা সামরিক বাহিনীর প্রধান কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করারও দাবি জানিয়ে আসছিল। -বিবিসি
হককথা/এমউএ