বিদ্রোহীদের কাছে ‘মার’ খেয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী

- প্রকাশের সময় : ০৮:১০:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২২
- / ৭২ বার পঠিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটির চিন রাজ্যে বিদ্রোহীদের কাছে ব্যাপক মার খেয়েছে। সেনাবাহিনী থেকে পালিয়ে যাওয়া এক কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সাবেক এই কর্মকর্তার নাম কাউং থু উইন। তিনি সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন পদে নিয়েজিত ছিলেন।
রয়টার্সের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে চিন প্রদেশে জান্তা বাহিনী বিদ্রোহীদের কাছে কিভাবে আচমকা হামলার শিকার হন তার বর্ণনা দিয়েছেন।
কাউং থু উইন বলেন, দেশীয় অস্ত্র নিয়েই বিদ্রোহীরা সেনাবাহিনীর ওপর আক্রমণ করে। এতে অন্তত ৫০ সেনা সদস্য নিহত এবং ২০০ জনের বেশি মারাত্মক আহত হন।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, কাউং থু উইন ২০২১ সালের ডিসেম্বরে সেনাবাহিনীর পক্ষ ত্যাগ করেন। বর্তমান তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। জান্তার সাবেক এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সহকর্মীদের মুখে ক্ষমতা অপব্যবহারের বর্ণনা শুনেই তিনি চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন।
উত্তরপূর্ব ভারতে আশ্রয় নেওয়া ৩২ বছর বয়সী সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা গত বছরের মে থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদ্রোহীদের কাছে সেনা হতাহতের ১২টি ঘটনা বর্ণনা করেছেন।
তার বর্ণনা অনুসারে, ১ ফেব্রুয়ারির পরেই চিন রাজ্যের বিদ্রোহীরা সংঘবদ্ধ হতে শুরু করে। ২০২১ সালের ১৪ মে মিন্ডাত শহরে জান্তার সাতটি সামরিক বহরে হামলা হয়। এখন পর্যন্ত সংগঠিত হওয়া সেনা-বিদ্রোহী সংঘর্ষের মধ্যে এটি ছিল সর্বোচ্চ ভয়াবহ।
তিনি বলেন, ভোরের দিকে বিদ্রোহীরা পাহাড়ের ওপর থেকে সেনাবাহিনীর ওপর আচমকা আক্রমণ করেন। এতে ২৫ সেনা নিহতসহ ৩৭ সেনার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। হাজারের বেশি বিদ্রোহী তাদের ওপর আক্রমণ করেন।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। ঘটনার পর পরই গণতন্ত্রকামী সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ শুরু করে। কিন্তু জান্তা বাহিনী বিক্ষোভে নির্বিচারে গুলি করে। এখন পর্যন্ত ১৫শ’র বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সংগঠিত সশস্ত্র প্রতিরোধও বাড়ছে।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বিদ্রোহীদের দ্বারা হতাহতের তথ্য স্বীকার করেছেন। তবে তাদের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।
হককথা/এমউএ