বিতর্ক পিছু ছাড়েনি ঋষি সুনাকের
- প্রকাশের সময় : ০২:০১:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২২
- / ৪৪ বার পঠিত
ব্রিটেনের রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর মসনদে বসেছেন এশিয়ান-ব্রিটিশ ঋষি সুনাক। এর ফলে ইংল্যান্ডের নানা প্রান্তে অনাবাসীদের মধ্যে উদ্দীপনা এখন তুঙ্গে। তবে, সেই সুনাককে নিয়েই দেশটিতে ছড়িয়ে রয়েছে নানা বিতর্ক। আর ৪২ বছর বয়সি এই রাজনীতিককে নিয়ে বিতর্ক শুরু হয় আরও ২০ বছরআগে, তখন তিনি নেহাতই সাধারণ যুবক ছিলেন। ঋষি সাধারণ মানুষের নেতা নন- এই অভিযোগ ব্রিটেনে সব সময়ই ছিল। আর এই বিতর্কের শুরু বিবিসির একটি তথ্যচিত্রের সূত্র ধরে।
মধ্যবিত্ত সমাজ প্রসঙ্গে সেই সময় সুনাকের বক্তব্য ছিল, “তারাই আমার বন্ধু যারা অভিজাত। আমার বন্ধুরা উচ্চবিত্ত শ্রেণির। খেটে খাওয়া মানুষ নন।” ভারতীয় বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণমূর্তির মেয়ে অক্ষতা হলেন ঋষি সুনাকের স্ত্রী। একসময় অক্ষতার বিরুদ্ধে করফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। ব্রিটেনের বাসিন্দা হয়েও স্থায়ী বাড়ি অন্য দেশে দেখিয়ে করফাঁকি দিয়েছিলেন বলে সুনাকের স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। পরে অবশ্য সেই ভুল শুধরে নিয়েছিলেন সুনাক-পত্নী।
সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময়ও অক্ষতা বিতর্কে জড়ান। ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলাকে ব্রিটিশরা মেনে নেননি। অথচ সেই সময়ও রাশিয়ায় ব্যবসা চালিয়ে সেখান থেকে রোজগার করেন সুনাক-পত্নী। তা নিয়েও কম বিতর্ক হয়নি।
অন্যদিকে সুনাক যে সবসময়েই উচ্চবিত্তদের মধ্যেই থেকেছেন সেই বিষয়টি আরও একবার বিবিসির এক সাক্ষাৎকারে উঠে আসে। ব্রিটেনে পাউরুটির দাম বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন সুনাক। তখন তাকে প্রশ্ন করা হয়, বাড়িতে তিনি কি পাউরুটি খান? প্রত্যুত্তরে নারায়ণমূর্তির জামাই জানিয়েছিলেন- প্রায় সব ধরনের পাউরুটিই তার বাড়িতে আসে।
সুনাকের সেই মন্তব্যের জবাবে কটাক্ষ করে ফুড সেক্রেটারি জিম ম্যাকমোহন বলেছিলেন- হয়তো চ্যান্সেলর (তৎকালীন) নিজেও সাধারণ পরিবারের মতোই পাউরুটির জন্য লড়াই করছেন। তবে, যার বাড়িতে কন্টিনেন্টাল ব্রেকফাস্ট হয়, তিনি এমন মন্তব্য না করে যারা খাদ্য সঙ্কটে ভুগছেন, তাদের সাহায্য করতে পারেন। সূত্র: ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউকে, এনডিটিভি, ফার্স্টপোস্ট