নিউইয়র্ক ০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বার্লিনে মুসলমানরা বর্ণবাদের শিকার: রিপোর্ট

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৪১:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ৯৮ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ২০২০ সালে জার্মানির হানাউ শহরে একজন উগ্র ডানপন্থী দুটি সিসা বারে হামলা চালিয়েছিলেন৷ এতে নয় জন প্রাণ হারান ৷ পরে হামলাকারী তার মাকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করেন ৷ ঐ দুই বারে সাধারণত তুর্কি ও কুর্দিরা যাতায়াত করতেন ৷

হানাউয়ের ঘটনার পর বার্লিন রাজ্যের সেনেট মুসলমানদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন, তা জানতে একটি কমিশন গঠন করে৷ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও গবেষকদের নিয়ে কমিশনটি গঠন করা হয় ৷ সরকারি হিসেব না থাকলেও বার্লিনের ৩৮ লাখ বাসিন্দার প্রায় ১০ শতাংশ মুসলিম বলে মনে করা হয় ৷

চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে কমিশন তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে৷ তারা বলছে বার্লিনের মুসলিমরা বর্ণবাদ ও বৈষম্যের শিকার হন, চাকরিতে নিয়োগসহ বিভিন্ন সেবা পেতে সমস্যায় পড়েন৷ এছাড়া সচেতনতার অভাবে মুসলিমবিরোধী আচরণ ও অপরাধগুলোর খবর ঠিকমতো প্রচার পায় না বলেও কমিশন মনে করছে ৷

মুসলমানদের প্রতি বৈষম্যের বিষয়টি যেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিচারক, পুলিশরা আরও ভালভাবে বুঝতে পারেন সেজন্য তাদের প্রশিক্ষণ দিতে বলা হয়েছে ৷ গণমাধ্যমে মুসলমানদের আরও যথাযথভাবে তুলে ধরতে হবে যেন সাধারণ মানুষের মনে তাদের সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা না থাকে ৷ মুসলিমবিরোধী বর্ণবাদ তদন্ত করতে বার্লিন রাজ্য পুলিশে আলাদা বিভাগ চালু করতে হবে

২০০৫ সালে বার্লিনে চালু হওয়ায় ‘নিরপেক্ষতা আইন’ বাতিল করতে হবে৷ এই আইনের কারণে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ধর্মীয় বা মতাদর্শিক প্রতীক বহন করে এমন কোনো পোশাক পরতে পারেন না৷ এই আইনের কারণে মুসলিম নারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন৷ শুধু হেডস্কার্ফ পরার কারণে বেশি যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও তাদের চাকরি না দেয়ার উদাহরণ রয়েছে৷ যদিও ২০১৫ সালে জার্মানির সাংবিধানিক আদালত হেডস্কার্ফের উপর নিষেধাজ্ঞা সংবিধানের পরিপন্থি বলে রায় দিয়েছে৷ ২০২০ সালে ফেডারেল লেবার কোর্টও একই মত দিয়েছে ৷
হককথা/এমউএ

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বার্লিনে মুসলমানরা বর্ণবাদের শিকার: রিপোর্ট

প্রকাশের সময় : ০৭:৪১:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ২০২০ সালে জার্মানির হানাউ শহরে একজন উগ্র ডানপন্থী দুটি সিসা বারে হামলা চালিয়েছিলেন৷ এতে নয় জন প্রাণ হারান ৷ পরে হামলাকারী তার মাকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করেন ৷ ঐ দুই বারে সাধারণত তুর্কি ও কুর্দিরা যাতায়াত করতেন ৷

হানাউয়ের ঘটনার পর বার্লিন রাজ্যের সেনেট মুসলমানদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন, তা জানতে একটি কমিশন গঠন করে৷ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও গবেষকদের নিয়ে কমিশনটি গঠন করা হয় ৷ সরকারি হিসেব না থাকলেও বার্লিনের ৩৮ লাখ বাসিন্দার প্রায় ১০ শতাংশ মুসলিম বলে মনে করা হয় ৷

চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে কমিশন তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে৷ তারা বলছে বার্লিনের মুসলিমরা বর্ণবাদ ও বৈষম্যের শিকার হন, চাকরিতে নিয়োগসহ বিভিন্ন সেবা পেতে সমস্যায় পড়েন৷ এছাড়া সচেতনতার অভাবে মুসলিমবিরোধী আচরণ ও অপরাধগুলোর খবর ঠিকমতো প্রচার পায় না বলেও কমিশন মনে করছে ৷

মুসলমানদের প্রতি বৈষম্যের বিষয়টি যেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিচারক, পুলিশরা আরও ভালভাবে বুঝতে পারেন সেজন্য তাদের প্রশিক্ষণ দিতে বলা হয়েছে ৷ গণমাধ্যমে মুসলমানদের আরও যথাযথভাবে তুলে ধরতে হবে যেন সাধারণ মানুষের মনে তাদের সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা না থাকে ৷ মুসলিমবিরোধী বর্ণবাদ তদন্ত করতে বার্লিন রাজ্য পুলিশে আলাদা বিভাগ চালু করতে হবে

২০০৫ সালে বার্লিনে চালু হওয়ায় ‘নিরপেক্ষতা আইন’ বাতিল করতে হবে৷ এই আইনের কারণে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ধর্মীয় বা মতাদর্শিক প্রতীক বহন করে এমন কোনো পোশাক পরতে পারেন না৷ এই আইনের কারণে মুসলিম নারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন৷ শুধু হেডস্কার্ফ পরার কারণে বেশি যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও তাদের চাকরি না দেয়ার উদাহরণ রয়েছে৷ যদিও ২০১৫ সালে জার্মানির সাংবিধানিক আদালত হেডস্কার্ফের উপর নিষেধাজ্ঞা সংবিধানের পরিপন্থি বলে রায় দিয়েছে৷ ২০২০ সালে ফেডারেল লেবার কোর্টও একই মত দিয়েছে ৷
হককথা/এমউএ