নিউইয়র্ক ০৫:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ফ্রান্সে স্কুলে নিষিদ্ধ হচ্ছে আবায়া

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:৩৪:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১৭১ বার পঠিত

আমিরাতি নারীরা ঐতিহ্যবাহী আবায়াে পোশাক পরে আছেন। ছবি : সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  ফ্রান্সে সরকারি স্কুলগুলোতে শিশুদের আবায়া পোশাক নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির শিক্ষামন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল অ্যাটাল। রোববার (২৭ আগস্ট) এ ঘোষণা দেন তিনি। খবর আলজাজিরার।

টিভি চ্যানেল টিএফ১-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গ্যাব্রিয়েল অ্যাটাল বলেন, ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, স্কুলগুলোতে আর আবায়া পরা যাবে না। তিনি বলেন, আপনি যখন ক্লাসরুমে যাবেন, তখন আপনি শুধু পোশাক দেখেই ছাত্রদের ধর্ম শনাক্ত করতে সক্ষম হবেন না। সে জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’ ফ্রান্স ২০০৪ সালে স্কুলে স্কার্ফ পরা নিষিদ্ধ করে। আর ২০১০ সালে প্রকাশ্যে বোরকায় মুখ পুরোপুরি ঢাকাও নিষিদ্ধ করে। এ নিয়ে দেশটির ৫০ লাখ মুসলিম অধিবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

কয়েকটি মুসলিম সংগঠন নিয়ে গঠিত জাতীয় সংস্থা ফ্রেন্স কাউন্সিল অব মুসলিম ফেইথ (সিএফসিএম) জানিয়েছে, শুধু পোশাকের প্রকারভেদগুলো কোনো ধর্মীয় প্রতীক হতে পারে না। ফরাসি স্কুলগুলোতে আবায়া পরা নিয়ে কয়েক মাস ধরে বিতর্ক চলার প্রেক্ষাপটে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলো। স্কুলগুলোতে অনেক দিন ধরেই হিজাব পরা নিষিদ্ধ রয়েছে।

উল্লেখ্য, ফ্রান্সের সরকারি স্কুলগুলোতে বড় ক্রস, ইহুদিদের কিপ্পাস বা মুসলিমদের স্কার্ফ পরা অনুমোদন করে না। দেশটিতে ১৯ শতক থেকেই সরকারি স্কুলগুলোতে ধর্মীয় প্রতীক ব্যবহার করার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ফ্রান্সে স্কুলে নিষিদ্ধ হচ্ছে আবায়া

প্রকাশের সময় : ০১:৩৪:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  ফ্রান্সে সরকারি স্কুলগুলোতে শিশুদের আবায়া পোশাক নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির শিক্ষামন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল অ্যাটাল। রোববার (২৭ আগস্ট) এ ঘোষণা দেন তিনি। খবর আলজাজিরার।

টিভি চ্যানেল টিএফ১-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গ্যাব্রিয়েল অ্যাটাল বলেন, ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, স্কুলগুলোতে আর আবায়া পরা যাবে না। তিনি বলেন, আপনি যখন ক্লাসরুমে যাবেন, তখন আপনি শুধু পোশাক দেখেই ছাত্রদের ধর্ম শনাক্ত করতে সক্ষম হবেন না। সে জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’ ফ্রান্স ২০০৪ সালে স্কুলে স্কার্ফ পরা নিষিদ্ধ করে। আর ২০১০ সালে প্রকাশ্যে বোরকায় মুখ পুরোপুরি ঢাকাও নিষিদ্ধ করে। এ নিয়ে দেশটির ৫০ লাখ মুসলিম অধিবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

কয়েকটি মুসলিম সংগঠন নিয়ে গঠিত জাতীয় সংস্থা ফ্রেন্স কাউন্সিল অব মুসলিম ফেইথ (সিএফসিএম) জানিয়েছে, শুধু পোশাকের প্রকারভেদগুলো কোনো ধর্মীয় প্রতীক হতে পারে না। ফরাসি স্কুলগুলোতে আবায়া পরা নিয়ে কয়েক মাস ধরে বিতর্ক চলার প্রেক্ষাপটে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলো। স্কুলগুলোতে অনেক দিন ধরেই হিজাব পরা নিষিদ্ধ রয়েছে।

উল্লেখ্য, ফ্রান্সের সরকারি স্কুলগুলোতে বড় ক্রস, ইহুদিদের কিপ্পাস বা মুসলিমদের স্কার্ফ পরা অনুমোদন করে না। দেশটিতে ১৯ শতক থেকেই সরকারি স্কুলগুলোতে ধর্মীয় প্রতীক ব্যবহার করার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।