নিউইয়র্ক ০১:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিলো যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:৪৬:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ২১ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিকভাবে একযোগে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়া। এর মধ্য দিয়ে শিল্পোন্নত (জি সেভেন) সাত দেশের মধ্যে যুক্তরাজ্য ও কানাডা প্রথম ফিলিস্তিনকে এই স্বীকৃতি দিল। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) এই তিনটি দেশ যখন ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিল, তখনো গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।
রোববার প্রথম কানাডা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। দেশটির প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি এক বিবৃতিতে বলেন, আজ থেকে কানাডা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। একই সঙ্গে তিনি ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল উভয় রাষ্ট্রের একটি শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার প্রতিশ্রæতি পূরণে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছেন।
এরপর অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির ঘোষণা দেন। এই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রে হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না বলে উল্লেখ করেন তিনি। এই দুই দেশের পর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেন।
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণার সময় ব্রিটশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান ভয়াবহতার মুখে। আমরা শান্তির সম্ভাবনা এবং দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানকে জীবিত রাখার জন্য কাজ করছি- যার অর্থ একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত ইসরায়েল এবং একটি কার্যকর ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র। এই মুহূর্তে আমাদের কাছে এর কোনটিই নেই। ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষ শান্তিতে বসবাসের যোগ্য।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইসরায়েল রাষ্ট্র গঠনে মুখ্য ভূমিকা ছিল ব্রিটেনের। এরপর দীর্ঘকাল ইসরায়েলের মিত্র দেশ হিসেবে ভূমিকা রেখে আসছে যুক্তরাজ্য। সে কারণে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে যুক্তরাজ্যের এই স্বীকৃতির প্রতীকী তাৎপর্য রয়েছে।
লন্ডন আজ এই বলিষ্ঠ পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে বিশ্বের আরও ১৪০টির বেশি দেশের কাতারে নিজেদের অবস্থান জানান দিয়েছে। কিন্তু তাদের এই সিদ্ধান্ত ইসরায়েল ও তার প্রধান মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বিরক্তির কারণ হয়েছে।
তিনি বলেন, এই সমাধান হামাসের জন্য কোনো পুরস্কার নয় কারণ, এর অর্থ হলো- হামাসের কোনো ভবিষ্যৎ থাকতে পারবে না, সরকারে কোন ভূমিকা থাকতে পারে না, নিরাপত্তায় কোনো ভূমিকা থাকতে পারে না। আগামী সপ্তাহগুলোতে হামাসের অন্যান্য নেতাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য আমি কাজ করার নির্দেশ দিয়েছি।
ফিলিস্তিনের গাজায় হামাসের হাতে বন্দীদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্যার কিয়ার স্টারমার। একইসঙ্গে তিনি ইসরায়েল সরকারের প্রতি গাজায় আরও ত্রাণ সরবরাহের সুযোগ দিতে এই উপত্যকার সীমান্তে আরোপিত বিধি-নিষেধ শিথিল করার আহবান জানিয়েছেন।
স্টারমার উল্লেখ করেন, গাজায় মানবসৃষ্ট মানবিক সংকট নতুন গভীরতায় পৌঁছেছে। ইসরায়েলী সরকারের নিরলস ও ক্রমবর্ধমান বোমাবর্ষণ, দুর্ভিক্ষ এবং ধ্বংসযজ্ঞ একেবারেই অসহনীয়।
গম্প্রতি যুক্তরাজ্য সফরে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির বিষয়ে নিজের আপত্তির কথা উল্লেখ করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর রোববার কিয়ার স্টারমারের ঘোষণার পর ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক্সে এক পোস্টে বলেছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি ‘জিহাদি হামাসকে পুরস্কৃত করা ছাড়া আর কিছু নয়’।

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিলো যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশের সময় : ১১:৪৬:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

হককথা ডেস্ক: ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিকভাবে একযোগে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়া। এর মধ্য দিয়ে শিল্পোন্নত (জি সেভেন) সাত দেশের মধ্যে যুক্তরাজ্য ও কানাডা প্রথম ফিলিস্তিনকে এই স্বীকৃতি দিল। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) এই তিনটি দেশ যখন ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিল, তখনো গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।
রোববার প্রথম কানাডা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। দেশটির প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি এক বিবৃতিতে বলেন, আজ থেকে কানাডা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। একই সঙ্গে তিনি ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল উভয় রাষ্ট্রের একটি শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার প্রতিশ্রæতি পূরণে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছেন।
এরপর অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির ঘোষণা দেন। এই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রে হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না বলে উল্লেখ করেন তিনি। এই দুই দেশের পর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেন।
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণার সময় ব্রিটশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান ভয়াবহতার মুখে। আমরা শান্তির সম্ভাবনা এবং দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানকে জীবিত রাখার জন্য কাজ করছি- যার অর্থ একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত ইসরায়েল এবং একটি কার্যকর ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র। এই মুহূর্তে আমাদের কাছে এর কোনটিই নেই। ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষ শান্তিতে বসবাসের যোগ্য।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইসরায়েল রাষ্ট্র গঠনে মুখ্য ভূমিকা ছিল ব্রিটেনের। এরপর দীর্ঘকাল ইসরায়েলের মিত্র দেশ হিসেবে ভূমিকা রেখে আসছে যুক্তরাজ্য। সে কারণে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে যুক্তরাজ্যের এই স্বীকৃতির প্রতীকী তাৎপর্য রয়েছে।
লন্ডন আজ এই বলিষ্ঠ পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে বিশ্বের আরও ১৪০টির বেশি দেশের কাতারে নিজেদের অবস্থান জানান দিয়েছে। কিন্তু তাদের এই সিদ্ধান্ত ইসরায়েল ও তার প্রধান মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বিরক্তির কারণ হয়েছে।
তিনি বলেন, এই সমাধান হামাসের জন্য কোনো পুরস্কার নয় কারণ, এর অর্থ হলো- হামাসের কোনো ভবিষ্যৎ থাকতে পারবে না, সরকারে কোন ভূমিকা থাকতে পারে না, নিরাপত্তায় কোনো ভূমিকা থাকতে পারে না। আগামী সপ্তাহগুলোতে হামাসের অন্যান্য নেতাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য আমি কাজ করার নির্দেশ দিয়েছি।
ফিলিস্তিনের গাজায় হামাসের হাতে বন্দীদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্যার কিয়ার স্টারমার। একইসঙ্গে তিনি ইসরায়েল সরকারের প্রতি গাজায় আরও ত্রাণ সরবরাহের সুযোগ দিতে এই উপত্যকার সীমান্তে আরোপিত বিধি-নিষেধ শিথিল করার আহবান জানিয়েছেন।
স্টারমার উল্লেখ করেন, গাজায় মানবসৃষ্ট মানবিক সংকট নতুন গভীরতায় পৌঁছেছে। ইসরায়েলী সরকারের নিরলস ও ক্রমবর্ধমান বোমাবর্ষণ, দুর্ভিক্ষ এবং ধ্বংসযজ্ঞ একেবারেই অসহনীয়।
গম্প্রতি যুক্তরাজ্য সফরে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির বিষয়ে নিজের আপত্তির কথা উল্লেখ করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর রোববার কিয়ার স্টারমারের ঘোষণার পর ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক্সে এক পোস্টে বলেছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি ‘জিহাদি হামাসকে পুরস্কৃত করা ছাড়া আর কিছু নয়’।