আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাসের নতুন উদ্বেকজনক ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ রোধে ছুটিতে বেড়ানোসহ অন্যান্য পরিকল্পনা বাতিলের অনুরোধ জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

সংস্থাটির প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রেয়াসুস বলেছেন, জীবন হারানোর চেয়ে ছুটির জন্য করা পরিকল্পনা বাতিল করা অনেক ভালো।

তিনি আরও বলেন, করোনার সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা পেতে আমাদের কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কিছু ক্ষেত্রে আমাদের ছুটিতে বেড়ানোর পরিকল্পনা বাতিল করতে হবে অথবা পিছিয়ে দিতে হবে।

করোনার ডেল্টা ধরনের তুলনায় ওেমিক্রন ধরন অনেক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার প্রমাণ রয়েছে এখন। তাই ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে ফ্রান্স, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশে বিধিনিষেধ জোরদার করেছে। ভ্রমণের ক্ষেত্রেও নানা বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। বড়দিনের সময় নেদারল্যান্ডসে কঠোর লকডাউন জারি করা হয়েছে।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের লকডাউন জারির কোনও পরিকল্পনা নেই বলে গতকাল সোমবার (২০ ডিসেম্বর) জানিয়েছে হোয়াইট হাইস।

কিন্তু দেশটির শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউসি এর আগে বড়দিনে ভ্রমণ নিয়ে সতর্কতা জারি করেন। তিনি বলেন, টিকা নেওয়া থাকলেও ওমিক্রন ধরনের সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।

দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক সংস্থা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্পেন, ফিনল্যান্ড, লেবাননসহ আটটি দেশে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে। বোনাইরে, মোনাকো, সান মারিনোসহ বেশ কিছু এলাকায় ভ্রমণে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন স্থানীয় সময় গতকাল বলেছেন, ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার নতুন বিধিনিষেধ জারি করতে পারে। তবে তিনি কোনও বিধিনিষেধ জারির ঘোষণা দেননি।

লন্ডনের ট্রাফালগার স্কয়াসে নতুন বর্ষবরণ উদ্‌যাপনের অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র সাদিক খান।

গত নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রন প্রথম শনাক্ত হয়। ডব্লিউএইচও করোনার নতুন এ ধরন নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে। তেদ্রোস গতকাল বলেন, আমরা সবাই মহামারির কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছি। আমরা পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে চাই। আমরা সবাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাই। কিন্তু জীবন রক্ষার জন্য আমাদের ছুটি নিয়ে পরিকল্পনা বাতিল করতে হবে, অথবা পিছিয়ে দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আগামী বছরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৭০ শতাংশ জনগণের টিকা নিশ্চিত করা গেলে ২০২২ সালের শেষ দিকে মহামারি শেষ হতে পারে। -বিবিসি