নিউইয়র্ক ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

প্রবীণদের হাতে বিশ্ব!

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৪১:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪
  • / ৫৪ বার পঠিত

বিশ্বজুড়ে বাড়ছে প্রবীণ নেতাদের সংখ্যা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রাজনীতিতে তারুণদের বদলে প্রাধান্য দেওয়া হয় প্রবীণদের। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই বর্তমানে ক্ষমতায় রয়েছেন বয়স্করা।

এর কারণ হিসেবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, তরুণ নেতাদের দলের শীর্ষে আসতে সময় লাগে। পাশাপাশি রাজনীতির ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতাও কম। তাই দেশের ক্ষমতায় পৌঁছানো কঠিন হয়ে ওঠে তরুণ নেতাদের। তবে ব্যতিক্রমও রয়েছে কিছু দেশ। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার

খবরে বলা হয়েছে, তারুণ্যের জয়গান নয়, এখানে প্রাধান্য বয়স্কদেরই। রাজনীতির ক্ষেত্রে প্রাধান্য প্রবীণদেরই। এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ক্ষমতায় আছেন বয়স্করাই। যারা এখন ক্ষমতায় তাদের বেশিরভাগেরই বয়স ৭০-এর বেশি।

দশ বছর আগে বিশ্বের ১০টি জনবহুল দেশের মধ্যে ভারতই একমাত্র দেশ ছিল যা ৭০ বছরের বেশি বয়সী একজন নেতা দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল। মনমোহন সিং ২০১৪ সালে যখন প্রধানমন্ত্রীত্বর মেয়াদ শেষ করেন তখন তার বয়স ছিল ৮১ বছর। সেই সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ছিলেন ৫২বছর বয়সি। চীনের শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বয়স ছিল প্রায় ৬০ বছর।

তবে এখন বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নেতাদের বয়স উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এখন দশটি সর্বাধিক জনবহুল দেশের সব প্রধানের বয়স ৭০ বছরের বেশি। ভারত, চীন, রাশিয়া, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, পর্তুগালসহ একাধিক দেশের প্রধানের বয়স ৭০ এর বেশি। আবার জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড, ইরান, ফিলিপাইনসহ বিভিন্ন দেশের প্রধানের বয়স ৮০ বছরের বেশি।

তরুণ রাষ্ট্রপ্রধান কেন কমছে?

বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলোর প্রধানদের বয়স হয়েছে, এর কারণ কী? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্ষমতার করিডোরে বার্ধক্যের একটি কারণ হতে পারে একনায়কদের উত্থান। চীনে শি জিনপিং ঐতিহ্য ভেঙ্গে ২০২২ সালে কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান হিসাবে তাঁর তৃতীয় মেয়াদ শুরু করেন। তখন তার বয়স ছিল ৬৯ বছর। ৪৭ বছর বয়সে রাশিয়ার প্রধান হন পুতিন। ২৫ বছর পরেও তিনি ক্ষমতায় রয়েছেন।

বয়স্ক নেতারা কেন ক্ষমতায়?

যুক্তরাষ্ট্রে দ্বি-দলীয় শাসন ব্যবস্থা রয়েছে। সাধারণত তরুণ নেতারা রিপাবলিকান বা ডেমোক্র্যাট দলে যোগ দেন। কিন্তু দলের শীর্ষে উঠতে সময় লাগে। এমন পরিস্থিতিতে অল্প বয়সে দেশে ক্ষমতায় পৌঁছানো কঠিন। অন্যান্য দেশেও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত অভিজ্ঞ ও বয়স্ক রাজনীতিবিদদের পক্ষে তরুণ নেতাদের চেয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সহজ। নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহকারীদের সঙ্গেও এই নেতাদের সুসম্পর্ক রয়েছে।

ব্যতিক্রমও রয়েছে

তবে এর কিছু ব্যতিক্রম আছে। ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ যুব নেতা হিসাবে তার নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন এবং ৩৯ বছর বয়সে তিনি ফ্রান্সের সর্বকনিষ্ঠ প্রেসিডেন্ট হন। এখন তিনি ৩৪ বছর বয়সী গ্যাব্রিয়েল আটালকে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী করেছেন। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের বয়স ৪৩ বছর। যখন জর্জিয়া মেলোনি ইতালির প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন তখন তার বয়স ছিল ৪৫ বছর। এছাড়া ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বয়স ৪৬ বছর।

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

প্রবীণদের হাতে বিশ্ব!

প্রকাশের সময় : ০৬:৪১:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪

বিশ্বজুড়ে বাড়ছে প্রবীণ নেতাদের সংখ্যা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রাজনীতিতে তারুণদের বদলে প্রাধান্য দেওয়া হয় প্রবীণদের। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই বর্তমানে ক্ষমতায় রয়েছেন বয়স্করা।

এর কারণ হিসেবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, তরুণ নেতাদের দলের শীর্ষে আসতে সময় লাগে। পাশাপাশি রাজনীতির ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতাও কম। তাই দেশের ক্ষমতায় পৌঁছানো কঠিন হয়ে ওঠে তরুণ নেতাদের। তবে ব্যতিক্রমও রয়েছে কিছু দেশ। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার

খবরে বলা হয়েছে, তারুণ্যের জয়গান নয়, এখানে প্রাধান্য বয়স্কদেরই। রাজনীতির ক্ষেত্রে প্রাধান্য প্রবীণদেরই। এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ক্ষমতায় আছেন বয়স্করাই। যারা এখন ক্ষমতায় তাদের বেশিরভাগেরই বয়স ৭০-এর বেশি।

দশ বছর আগে বিশ্বের ১০টি জনবহুল দেশের মধ্যে ভারতই একমাত্র দেশ ছিল যা ৭০ বছরের বেশি বয়সী একজন নেতা দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল। মনমোহন সিং ২০১৪ সালে যখন প্রধানমন্ত্রীত্বর মেয়াদ শেষ করেন তখন তার বয়স ছিল ৮১ বছর। সেই সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ছিলেন ৫২বছর বয়সি। চীনের শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বয়স ছিল প্রায় ৬০ বছর।

তবে এখন বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নেতাদের বয়স উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এখন দশটি সর্বাধিক জনবহুল দেশের সব প্রধানের বয়স ৭০ বছরের বেশি। ভারত, চীন, রাশিয়া, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, পর্তুগালসহ একাধিক দেশের প্রধানের বয়স ৭০ এর বেশি। আবার জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড, ইরান, ফিলিপাইনসহ বিভিন্ন দেশের প্রধানের বয়স ৮০ বছরের বেশি।

তরুণ রাষ্ট্রপ্রধান কেন কমছে?

বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলোর প্রধানদের বয়স হয়েছে, এর কারণ কী? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্ষমতার করিডোরে বার্ধক্যের একটি কারণ হতে পারে একনায়কদের উত্থান। চীনে শি জিনপিং ঐতিহ্য ভেঙ্গে ২০২২ সালে কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান হিসাবে তাঁর তৃতীয় মেয়াদ শুরু করেন। তখন তার বয়স ছিল ৬৯ বছর। ৪৭ বছর বয়সে রাশিয়ার প্রধান হন পুতিন। ২৫ বছর পরেও তিনি ক্ষমতায় রয়েছেন।

বয়স্ক নেতারা কেন ক্ষমতায়?

যুক্তরাষ্ট্রে দ্বি-দলীয় শাসন ব্যবস্থা রয়েছে। সাধারণত তরুণ নেতারা রিপাবলিকান বা ডেমোক্র্যাট দলে যোগ দেন। কিন্তু দলের শীর্ষে উঠতে সময় লাগে। এমন পরিস্থিতিতে অল্প বয়সে দেশে ক্ষমতায় পৌঁছানো কঠিন। অন্যান্য দেশেও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত অভিজ্ঞ ও বয়স্ক রাজনীতিবিদদের পক্ষে তরুণ নেতাদের চেয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সহজ। নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহকারীদের সঙ্গেও এই নেতাদের সুসম্পর্ক রয়েছে।

ব্যতিক্রমও রয়েছে

তবে এর কিছু ব্যতিক্রম আছে। ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ যুব নেতা হিসাবে তার নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন এবং ৩৯ বছর বয়সে তিনি ফ্রান্সের সর্বকনিষ্ঠ প্রেসিডেন্ট হন। এখন তিনি ৩৪ বছর বয়সী গ্যাব্রিয়েল আটালকে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী করেছেন। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের বয়স ৪৩ বছর। যখন জর্জিয়া মেলোনি ইতালির প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন তখন তার বয়স ছিল ৪৫ বছর। এছাড়া ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বয়স ৪৬ বছর।

হককথা/নাছরিন