নিউইয়র্ক ০৮:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

পিঁপড়ার শহর : রয়েছে হাইওয়ে-সাবওয়ে, অবাক বিজ্ঞানীরা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৩৬:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০২৩
  • / ১৯৩ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :   শীতের আগেই ঢোকে বাসস্থানে। গরমের সময়ে চলে খাবার মজুতের তোড়জোড়। ফের গরম আসতেই বেরিয়ে পড়ে ঘর থেকে। আবারও শুরু হয় খাবারের সন্ধান। পিঁপড়াদের জীবনের রোজনামচার পরতে পরতে রয়েছে রোমাঞ্চ। কিন্তু পিঁপড়ারা থাকেই বা কোথায়? কেমন হয় তাদের ঘর-বাড়ি ? সেই কৌতূহলের নিরসন করলেন বিজ্ঞানীরা। মাটির তলায় পিঁপড়াদের ঘর-বাড়ি নিয়ে গবেষণা করেছেন তারা। এর ফলাফল তাদের অবাক করেছে। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে ইন্ডিয়া টাইমস।

পিঁপড়ার বিশাল বাসার ভেতরে তিনদিন ধরে দশ টন সিমেন্ট ঢেলেছেন প্রফেসর লুইস ফর্স ও অন্যান্য বিজ্ঞানীরা। এরপর কয়েক সপ্তাহ ধরে সেটি খনন করার পর এই চিত্তাকর্ষক কাঠামো প্রকাশ পায়। মাটি খুঁড়ে পিঁপড়াদের বাড়ি বের করতে গিয়ে পুরোদস্তুর শহরই যেন খুঁজে বের করে ফেলেছেন বিজ্ঞানীরা। পিঁপড়া জোটবদ্ধ প্রাণী। দলবদ্ধ হয়ে তারা খাবারের খোঁজে যায়। একসঙ্গে বাঁধে ঘর-বাড়িও। এই খুদে প্রাণীদের জীবনের রহস্যের শেষ নেই। মাটির নিচে পিঁপড়াদের সামগ্রিক বাসস্থান নিয়ে গবেষণা করেছেন এই বিজ্ঞানীরা।

কী কী রয়েছে পিঁপড়াদের শহরে ? হাইওয়ে থেকে সাবওয়ে সবই রয়েছে মাটির নিচে। ছোট ছোট গলিও খুঁজে পাওয়া গেছে। সেইসব রাস্তাতে রয়েছে খাবার সংগ্রহের জায়গাও। বড় শহরের মতো কখনও আবর্জনার স্তুপে, আবার কখনও চাষের জমির নিচে জালের মতো ছড়িয়ে রয়েছে পিপঁড়াদের শহরের রাস্তা-ঘাট। রয়েছে বাড়ি, খাবার মজুতের গুদামঘরও। আবার বড় রাস্তার দুই পাশে কিছুদূর অন্তর ডিম্বাকৃতি বা গোলাকার প্রকোষ্ঠ রয়েছে। এগুলো মূলত পিঁপড়াদের বিশ্রামঘর।

টুইটারে এই ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। ঠিক কীভাবে গবেষণা চালানো হয়েছে? জানা গেছে, মাটির নিচে পিঁপড়াদের রাজ্যের সন্ধানে প্রথমে ১০ টন তরল সিমেন্ট তিন দিন ধরে প্রবেশ করিয়ে সেটি জমাট বাঁধা পর্যন্ত অপেক্ষা করা হয়। এর ফলে মাটির তলায় যত ফাঁকা অংশ ছিল সেগুলো সিমেন্টে ভরাট হয়ে যায়। এরপর মাটির আবরণ কংক্রিট থেকে সরালেই বেরিয়ে আসে পিঁপড়াদের শহরের চিত্র। শুধু আকারেই বড় নয়, একেবারে পরিকল্পনামাফিক শহরের মতোই তৈরি করা পিঁপড়াদের বাসস্থান। সূত্র : ঢাকা মেইল
সুমি/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

পিঁপড়ার শহর : রয়েছে হাইওয়ে-সাবওয়ে, অবাক বিজ্ঞানীরা

প্রকাশের সময় : ০৩:৩৬:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :   শীতের আগেই ঢোকে বাসস্থানে। গরমের সময়ে চলে খাবার মজুতের তোড়জোড়। ফের গরম আসতেই বেরিয়ে পড়ে ঘর থেকে। আবারও শুরু হয় খাবারের সন্ধান। পিঁপড়াদের জীবনের রোজনামচার পরতে পরতে রয়েছে রোমাঞ্চ। কিন্তু পিঁপড়ারা থাকেই বা কোথায়? কেমন হয় তাদের ঘর-বাড়ি ? সেই কৌতূহলের নিরসন করলেন বিজ্ঞানীরা। মাটির তলায় পিঁপড়াদের ঘর-বাড়ি নিয়ে গবেষণা করেছেন তারা। এর ফলাফল তাদের অবাক করেছে। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে ইন্ডিয়া টাইমস।

পিঁপড়ার বিশাল বাসার ভেতরে তিনদিন ধরে দশ টন সিমেন্ট ঢেলেছেন প্রফেসর লুইস ফর্স ও অন্যান্য বিজ্ঞানীরা। এরপর কয়েক সপ্তাহ ধরে সেটি খনন করার পর এই চিত্তাকর্ষক কাঠামো প্রকাশ পায়। মাটি খুঁড়ে পিঁপড়াদের বাড়ি বের করতে গিয়ে পুরোদস্তুর শহরই যেন খুঁজে বের করে ফেলেছেন বিজ্ঞানীরা। পিঁপড়া জোটবদ্ধ প্রাণী। দলবদ্ধ হয়ে তারা খাবারের খোঁজে যায়। একসঙ্গে বাঁধে ঘর-বাড়িও। এই খুদে প্রাণীদের জীবনের রহস্যের শেষ নেই। মাটির নিচে পিঁপড়াদের সামগ্রিক বাসস্থান নিয়ে গবেষণা করেছেন এই বিজ্ঞানীরা।

কী কী রয়েছে পিঁপড়াদের শহরে ? হাইওয়ে থেকে সাবওয়ে সবই রয়েছে মাটির নিচে। ছোট ছোট গলিও খুঁজে পাওয়া গেছে। সেইসব রাস্তাতে রয়েছে খাবার সংগ্রহের জায়গাও। বড় শহরের মতো কখনও আবর্জনার স্তুপে, আবার কখনও চাষের জমির নিচে জালের মতো ছড়িয়ে রয়েছে পিপঁড়াদের শহরের রাস্তা-ঘাট। রয়েছে বাড়ি, খাবার মজুতের গুদামঘরও। আবার বড় রাস্তার দুই পাশে কিছুদূর অন্তর ডিম্বাকৃতি বা গোলাকার প্রকোষ্ঠ রয়েছে। এগুলো মূলত পিঁপড়াদের বিশ্রামঘর।

টুইটারে এই ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। ঠিক কীভাবে গবেষণা চালানো হয়েছে? জানা গেছে, মাটির নিচে পিঁপড়াদের রাজ্যের সন্ধানে প্রথমে ১০ টন তরল সিমেন্ট তিন দিন ধরে প্রবেশ করিয়ে সেটি জমাট বাঁধা পর্যন্ত অপেক্ষা করা হয়। এর ফলে মাটির তলায় যত ফাঁকা অংশ ছিল সেগুলো সিমেন্টে ভরাট হয়ে যায়। এরপর মাটির আবরণ কংক্রিট থেকে সরালেই বেরিয়ে আসে পিঁপড়াদের শহরের চিত্র। শুধু আকারেই বড় নয়, একেবারে পরিকল্পনামাফিক শহরের মতোই তৈরি করা পিঁপড়াদের বাসস্থান। সূত্র : ঢাকা মেইল
সুমি/হককথা